উল্লেখ্য কুয়েত বিএনপির সর্বশেষ কমিটি হয় ২০০৪ সালে,দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর কাউন্সিল করার কথা থাকলে তখনকার সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী মন্জুরুল আলম কালক্ষেপন করে তারা আর কোনো কমিটি গঠন করেন নি ।তখন থেকে দলটি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । এর পর থেকে কুয়েতে ত্রিদ্বারায় বিএনপির রাজনীতি চলে আসছিলো
কিন্তু প্রায় দেড় বছর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য, মধ্যেপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক আহমেদ আলী মুকিব দুই দুইবার কুয়েত এসে তিনভাগে বিভক্ত নেতৃবন্দদের তাগিদ দিয়েছেল নিজেদের মধ্যে বসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কমিটি গঠনের জন্য ।
তারপরও যখন ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি কুয়েত বিএনপি তখন তিনভাগের নেতাদের দুবাই তে ডেকে এক বছর আগে ৪৭ বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির সুপারিশ করে ঢাকা থেকে অনুমোদিত হয়ে আসে ।
তার দুই/তিনমাস পর বৈশ্বিক মহামারী করোনার ফলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দীর্ঘ কয়েকমাস সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয় ।
এদিকে সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রকাশ্যে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেই কুয়েত বিএনপির সাংগঠনিক ৬টি প্রদেশ থেকে ৩৬ জনকে কাউন্সিলর করা হয় । এর ফলে কুয়েত বিএনপির সম্মেলনের জন্য মোট ৮৩ জন কাউন্সিলর নির্বচিত হলো।
আজকের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আহবায়ক ও সদস্য সচিবসহ আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য চুন্নু মোল্লা, সোয়েব আহমেদ, মাঈন উদ্দিন, আক্তার উজ জামান সামস, আজিজ উদ্দিন মিন্টু, ফয়সাল আহমেদ,মাহফুজুর রহমান, কাদের মোল্লা, এ কে এম হাবিবুল হাসান আল আমিন,ইকবাল আহমেদ,আশফাক আহমেদ, আজাদ নুর, নওশাদ আহমেদ, শাহজাহান সবুজ, ইদ্রিস ব্যাপারী,মোমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, , মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ নিজামুর রহমান টিপু, মোশারফ মোস্তফা, গোল্ডেন সেলিম, আবুল কালাম আজাদ, শফি উল্লাহ লিটন, শিহাব বখত, শেখ মোস্তফা, কোরবান আলী, জাহিদ আহমেদ, মোস্তফা ফারুকী, শামীম আজাদ, মারুফ আহমেদ, তাজ উদ্দিন প্রমূখ ।
আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রধান আলহাজ্জ শওকত আলী বলেন আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব হলো আপনাদের আমানত ।আমি যেন এই আমানত ভালোভাবে রক্ষা করতে পারি ।
কুয়েত বিএনপির কাউন্সিলের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে অনুমোদিত হয়ে আসার পর আমার দায়িত্ব শেষ হবে।সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন ।