- প্রচ্ছদ
-
- প্রবাসের সংবাদ
- আওয়ামী লীগ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০২১ ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। এখন আমরা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য! যে লক্ষ্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই আশা পূরণ হয়নি।বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। দেশে চলছে গণতন্ত্রের সঙ্কট। এটা শুধু বিএনপির না, সমগ্র জাতির সঙ্কট। গণতন্ত্র এখন আওয়ামী লীগের হাতে বন্দি।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘এশিয়া-প্যাসিফিক বিএনপি’র বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার ও মানবাধিকার নেই।গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আজো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দেশের মানুষ বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে জিম্মি। এর কারণ হচ্ছে- আওয়ামী শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী নয়।এশিয়া-প্যাসিফিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাকিরুল ইসলাম খান শাকিলের সভাপতিত্বে এবং এশিয়া প্যাসিফি বিএনপির সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ইউরোপীয় অঞ্চলের সমন্বয়ক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান,মধ্যপ্রাচ্য স্বাধীনতার সুর্বন জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।
অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, মালয়েশিয়া বিএনপির সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন, নূরে আলম (জাপান), শামসুর রাহমান ফিলিপ (সিঙ্গাপুর), মোহাম্মদ রাশেদুল হক (অস্ট্রেলিয়া), এম জামান সজল (দক্ষিণ কোরিয়া), আজিজ উদ্দিন আহমেদ মামুন (নিউজিল্যান্ড); মো: শহীদুল ইসলাম নান্নু (জাপান); মনিরুল হক জর্জ (অস্ট্রেলিয়া); কাজী এনামুল হক (জাপান); দেলোয়ার হোসেন (অস্ট্রেলিয়া); মোশাররফ হোসেন (হংকং); নাসের উদ্দিন (মালদ্বীপ); মীর রেজাউল করিম রেজা (জাপান); মোহাম্মদ কামরুল (সিঙ্গাপুর); হসিবুল করিম হাসিব (দক্ষিণ কোরিয়া);মাহবুব আলম শাহ (মালেশিয়া); সৈয়দ জাকিরুল আলম (মালেশিয়া); মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন মিঠু (জাপান); এমদাদুল ইসলাম মনি (জাপান); আশরাফুর রহমান খান রবিন (সিঙ্গাপুর); হায়দার আলী (অস্ট্রেলিয়া); অ্যাডভোকেট নাসির উল্লাহ (অস্ট্রেলিয়া); সাখাওয়াত হোসেন রনো (নিউজিল্যান্ড);ইমরান হোসেন তালুকদার (মালদ্বীপ); দেওয়ান সাইফুল আলম মাসুদ (হংকং); এম জে আলম (মালেশিয়া); আব্দুল জলিল লিটন (মালেশিয়া); মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ (অস্ট্রেলিয়া); ইঞ্জিনিয়ার সোহেল মাহমুদ ইকবাল (অস্ট্রেলিয়া); মোঃ মনির হোসাইন (দক্ষিণ কোরিয়া); মোফাজ্জল হোসেন (নিউজিল্যান্ড); আবু সায়েম আজাদ (সিঙ্গাপুর); মোঃ সম্রাট হাওলাদার রাজু (দক্ষিণ কোরিয়া); জাহাঙ্গীর আলম খান (মালেশিয়া); হাবিবুর রহমান রতন (মালেশিয়া); মেহেদী হাসান খান চৌধুরী (নিউজিল্যান্ড);জিয়া উদ্দিন (সিঙ্গাপুর); ইমন রহমান (দক্ষিন কোরিয়া); খাইরুল ইসলাম নিজামী (হংকং); মোঃ খলিলুর রহমান ,রফিকুল ইসলাম(মালদ্বীপ); মুন্নি চৌধুরী মেধা (অস্ট্রেলিয়া); মাছিয়ামা মুনা ইব্রাহিম (জাপান); কানিজ ফাতেমা লিমা (নিউজিল্যান্ড)।কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক সাজু, শওকত আলী কুয়েত ফয়সাল মাহমুদ চৌধুরী বাহরাইন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম (সংযুক্ত আরব আমিরাত), ওয়াসিম আকরাম (লেবানন), আয়ারল্যান্ড বিএনপির সভাপতি হামিদুল নাসির, আমেরিকা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরাফত হোসেন বাবু, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা,ম্যারিল্যান্ড বিএনপির সদস্য কবিরুল ইসলাম, মিশিনগান সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মুর্শেদ, কানাডা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফয়ছল চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনছার উদ্দিন, জার্মান বিএনপির সভাপতি, আকুল মিয়া যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক খান গ্রীস বিএনপির সভাপতি মুখলেছুর রহমান, ফিনল্যান্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল হাসান জনি, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আশরাফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামান সরকার মনির, সামসুল গাজী, অষ্ট্রিয়া বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মাসুদূর রহমান ফ্রান্স বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মহিলা দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও ফ্রান্স মহিলা দলের সভাপতি মমতাজ আলো, সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফাহিমা আক্তার মুকুল ইতালি বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহ তৌহিদ কাদের বেলজিয়াম বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলম হোসেন, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, স্পেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর রাসেল,অষ্ট্রিয়া বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন, ইতালি বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান খোকন সোলেমান বেগ সহ জাপান, সিঙ্গাপুর, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের তিন শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, সুবর্ণজয়ন্তীর থিম সং এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া শীর্ষক ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশন করা হয়।
এছাড়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মধ্যপ্রাচ্য সাংগঠনিক সমন্বয়ক সৌদিআরব বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন কালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ পাকিস্তানীদের মতো বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে।স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তারা রক্ষী বাহিনী গঠন করে যেভাবে নিপীড়ণ করতো এখনো সেইভাবে করছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে কোনো একক ব্যক্তি বা দলের অবদান ছিল না।আমাদের পূর্ব পুরুষ বিশেষ করে মওলানা ভাসানী সহ আরো কয়েকজনের অবদান ছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল।কিন্তু তাদের কথা বলা হচ্ছে না। দেশে এখন সুবর্ণজয়ন্তী পালন হচ্ছে না। বরং মুজিব শতবর্ষ পালন হচ্ছে।এই সুবর্ণজয়ন্তীতে সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণ নেই। এখানে শুধু কিছু আমলা এবং একজন মাত্র ব্যক্তিকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দেশের নতুন প্রজন্মকে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ভ্রান্ত ইতিহাস জানাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করে গেছেন।বর্তমানে বাংলাদেশের যত উন্নয়ন তার সূচনা করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। অথচ আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা ব্যর্থ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নেই। আমরা ন্যায় বিচার পাই না। আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারা অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্যাতন করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। সারাদেশে আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে এক লাখেরও বেশি মামলা। ৫০০ শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। সহস্রাধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব বহির্বিশ্বে দলের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাইকে আরো বেশি সংগঠিত হয়ে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।আমরা আর বিভক্ত না হয়ে সংঘবদ্ধভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন গড়ে তুলি।একইসাথে বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতেও আন্দোলন করতে হবে।বিএনপিতে কোনো গ্রুপ থাকতে পারেনা। সবার একটাই গ্রুপ তা হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গ্রুপ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. শাকিরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে আরো বেশি পরিসরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন হওয়ার কথা। কিন্তু দেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার সেই পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইনশাআল্লাহ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনয়াক তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হবে। কোনো বিভেদ নয় সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
Please follow and like us:
20 20