আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:৩১
বিডি দিনকাল ডেস্ক:-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতে দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ধর্ষণ অপরাধের সাজা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া (আইন সংশোধন) শুরু করার জন্য। তাই সাজা বাড়াতে আইন সংশোধন করার যে প্রক্রিয়া তা আমরা শুরু করে দিয়েছি। এই বক্তব্য আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়।
বন্ধুরা, আইনমন্ত্রীর আইন সংশোধনের বক্তব্য চরম ধাপ্পাবাজি। দেশজুড়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠছে সেই আন্দোলনকে প্রশমিত করার জন্যই নতুন আইন তৈরীর উদ্যোগের কথা বলা হচ্ছে। বিদ্যমান যে যাবজ্জীবন সাজার বিধান আছে সেটি প্রয়োগ হয়নি কেন ? কারন বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় গুম, খুন, ধর্ষণ মহামারী রুপ ধারণ করেছে। সুতরাং অপরাধীদের অধিকাংশই পায় সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা। তাদের শাস্তি দেয়া দুরের কথা, বরং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ফাঁসির আসামিকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। ফলে অপরাধীরা যা খুশী তাই করার উৎসাহ পাচ্ছে। অপরাধ করে রেহাই পাওয়ার সংস্কৃতির জন্যই দেশে নারী ও শিশুর ওপর নির্যাতন ও সম্ভ্রমহানীসহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধগুলো জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন, ধর্ষণ ও দূর্নীতি করলে পার পাওয়া যায়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে আটক করে না-এটি যেন দেশের অলিখিত বিধান হয়ে গেছে। দেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমার (স্টেট ক্লিমেন্সী) কারনে ভয়ঙ্কর অপরাধীরা রেহাই পাওয়াতে তারা এখন সমাজে প্রভু হয়ে বসেছে। খুন, জখম ও নারীর শ্লীলতাহানীকে তারা নিজেদের অধিকার মনে করছে।
বন্ধুরা, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর খুনের আসামি লক্ষীপুরের তাহেরের ছেলে বিপ্লব এবং নাটোরের যুবদল নেতা গামা হত্যার আসামিসহ ৩০জন ফাঁসির আসামিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। গামা হত্যাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেই রাষ্ট্রপতি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, এক্ষেত্রে তাদেরকে কোন আবেদনই করতে হয়নি। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে মাদারীপুরের খুনের আসামী যুবলীগ নেতা আসলাম জেল থেকে বেরিয়ে আবারও খুন করেছে। আজকে দেশে অনাচারের জন্য রাষ্ট্রপতি অনেকাংশেই দায়ী। তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক হতে পারেননি। তিনি আওয়ামী দুস্কৃতিকারীদেরই অভিভাবক বলেই মানুষ মনে করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের ৭ হাজারের বেশী মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে খুন ও ধর্ষণের মামলাও ছিল। এদিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লা নুর বাবুকে প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্তৃক হত্যার ১২ বছর পার হয়ে গেলেও এখনও আসামাীদের গ্রেফতার করা হয়নি এবং চার্জশিটও হয়নি। সুতরাং বিচারহীনতার সংস্কৃতি যেখানে সরকারের আদর্শ সেখানে আইন করে নারী সম্ভ্রমহানীর আসামীদের বিচারের বিষয়টি নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে।
বন্ধুরা,
গতকাল চাঁদপুর ও জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুটি পৌরসভা নির্বাচন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৪৪ নং ওয়ার্ডে কমিশনার নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপি হয়েছে। শতভাগ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হলেও সেসব এলাকায় বিএনপি’র এজেন্ট ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে, মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। জোর করে শুধুমাত্র নৌকার সমর্থকরাই ভোটকেন্দ্রে ঢুকে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছে। চাঁদপুরে পৌর নির্বাচনে ভোটার’রা ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদের ওপর আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। সেখানে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি’র ২০/২৫ জন নেতাকর্মীসহ ভোটারদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে। জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভায় এপর্যন্ত কোনদিন নৌকা বিজয় লাভ করেনি। কিন্তু সেখানে এবার জোর করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে কেন্দ্র করে দখল করে নৌকায় সিল মেরে তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কেবল একটি মাত্র ওয়ার্ডের ভোট, সেটিও তারা জোর করে কেন্দ্র দখলের মাধ্যমে ছিনিয়ে নিয়েছে।
বন্ধুরা, আজ দেশব্যাপী নারী-শিশু নির্যাতনের মহামারীতে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকেই বেশিরভাগ লিপ্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে, অথচ সরকার এ বিষয়ে নির্বিকার। নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠু ভোট ও গণতন্ত্রের শ্লীলতাহানী করে যাচ্ছেন নিরন্তরভাবে। উপরের নির্বাচনী ঘটনাগুলো আবারও প্রমাণ করলো-বর্তমান নির্লজ্জ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অধীনে দেশের সকল নির্বাচনের সম্ভ্রমহানী ঘটতেই থাকবে।
সাংবাদিক বন্ধুরা,
গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরাস্থ বাসভবনে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল বহিরাগত ব্যক্তি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসার ক্ষতিসাধন করে।
আমি সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় হামলার ঘটনার পেছনে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। নারী ও শিশুর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় সরকারের অবিমৃশ্যকারী আইনের শাসনবিরোধী ভয়ঙ্কর রুপটি ফুঠে উঠেছে। সারাদেশ নারী ও শিশুর ওপর নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। গুম, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতনের যে মহামারী চলছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতেই সরকারের এজেন্টরা দলের মহাসচিবের বাসভবনে এই হামলা চালিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এই অনাকাঙ্খিত সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলাধীন সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা ও তার প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং কুমিল্লার মুরাদনগরে হীরার কান্দা গ্রামে কুমিল্লা সরকারী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান শেষ বর্ষের ছাত্র নাজিম উদ্দিনের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের পৈশাচিক নির্যাতনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমি হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।PRESS CONF. OF BNP SR JOINT SEC GENERAL-11-10-20
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |