আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৩৮
কামরুল হাসান বাবলু : আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহম্মেদ ।
তিনি বলেন, ঢাকার সমাবেশ নিয়ে এখনো বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। গণমাধ্যমে জানতে পারছি সরকার অন্য জায়গায় অনুমতি দিতে চায়। দলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ হবে। নয়াপল্টনে অতীতেও আমরা অনেক বড় সমাবেশ করেছি। সুশৃঙ্খলভাবে সেসব সমাবেশ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনও জানে কীভাবে নয়াপল্টনে সমাবেশ হয়।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
প্রচার উপকমিটির আহ্বায়ক মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে বিএনপির প্রচার উপকমিটির উদ্যোগে এ মতবিনিময়সভা হয় অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে গঠিত প্রচার উপকমিটির আহ্বায়ক মীর সরফত আলী সপু, সদস্য সচিব প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল তাদের মতাময় ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বাধাবিপত্তি দিলেও কর্মসূচি থাকবে। আমাদের সমাবেশ ঘিরে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পরিবহণ ধর্মঘট ডাকে। যেই বিএনপির সমাবেশ শেষ, তাদের ধর্মঘটও শেষ।
তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যম নানাভাবেই চাপে পড়ে। আমাদের সমাবেশ নিয়ে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন হবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা। সরকার বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। কখনো অনুমতি দেয়, কখনো দেয় না। অনেক সময় অনুমতি দিলেও শারীরিক আক্রমণ করছে। ২২ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত আটজন নেতা মারা গেছেন। সর্বশেষ আমাদের সাবেক এমপি শাজাহান খান মারা গেছেন। শেখ হাসিনার আক্রমণ থেকে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে কেউ বাদ যায়নি।
অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেন, আমাদের দাবিদাওয়া মেনে নিলে তো সমাবেশ করা লাগবে না। তারা আমাদের দাবিসমূহ মানলেই হলো। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। তবে যেখানেই বাধা আসবে, সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, ঢাকায় পাঁচ দিন-সাত দিন আগে সমাবেশ শুরু হবে বলে রিউমার ছড়াচ্ছে। এটি ঠিক নয়। আমাদের সমাবেশ হবে ১০ ডিসেম্বর, একদিন। এখন যদি পরিবহণ ধর্মঘট দেওয়া হয়, তা হলে তো বাধ্য হয়েই নেতাকর্মীরা আগে হবে। এটিই বাস্তবতা। আশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
প্রচার উপকমিটির আহ্বায়ক মীর সরফত আলী সপু বলেন, ‘আমরা ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করতে চাই। এ জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চলছে। আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তারা নয়াপল্টনে বিএনপিকে গণসমাবেশর অনুমতি দিবে। কোনো টালবাহানা করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’
তিনি , নয়াপল্টনেই আমরা দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করব। কারণ সব দিক বিবেচনায় নয়া পল্টন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। সরকার বাধা দিলে বুঝতে হবে তাদের দূরভিসন্ধি রয়েছে এমন কথা বলেন প্রচার উপকমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ।
নেতৃবৃন্দ দের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রচার উপকমিটির নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওমর ফারুক সাফিন, আকরামুল হাসান, ফেরদৌস আহমেদ খোকন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান প্রমুখ।
সদস্য সচিব প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রচার উপকমিটির নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওমর ফারুক সাফিন, আকরামুল হাসান, ফেরদৌস আহমেদ খোকন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, সরকার নাহিদুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।
এদিকে এর আগে গতকাল ২৭ নবেম্বর রবিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের নেতৃবৃন্দদের সাথে যৌথ সভা করে প্রচার উপ-কমিটি ।
প্রচার উপ কমিটির আহ্বায়ক মীর স্রোত আলী সপুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ,বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড.আব্দুস সালাম , মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী,বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহম্মেদ টিটু ,প্রচার উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জি :আশরাফ উদ্দিন বকুল,মিডিয়া সেলের সদস্য অধ্যাপক ড. মোর্শেদ খান সহ উপ কমিটির অন্নান্য নেতৃবৃন্দরা ।।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |