আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:১৯
নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রস্তাবিত ১০টি নাম নিয়ে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করবে সার্চ কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে সার্চ কমিটির এ সাক্ষাতের কর্মসূচি রয়েছে। সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নাম থেকে অনধিক পাঁচজনকে নিয়ে দু’একদিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন প্রেসিডেন্ট। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রমতে, আজ রাতেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির জন্য সকল প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। সবকিছু নির্ভর করছে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর। প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সার্চ কমিটির সাক্ষাৎ হবে। নাম পাওয়ার পর কবে নাগাদ নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হতে পারে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মহামান্য প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার। তিনি যখন মনে করবেন, তখন নিয়োগ দেবেন। প্রেসিডেন্টের আদেশের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করবে। প্রেসিডেন্টের গঠিত এবারের সার্চ কমিটি মঙ্গলবার তাদের সপ্তম বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে। আজ এ সার্চ কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে সদস্য আছেন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন। কারা কাদের নাম প্রস্তাব করছেন, তা প্রকাশ করেনি সার্চ কমিটি। তারা বলছেন, এটা প্রকাশের এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের। তবে সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দলসহ সবার কাছে নাম চাওয়ার পর যে ৩২২টি নাম এসেছিল, তা প্রকাশ করেছে। আর সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, তারা নিজেরা নতুন কোনো নাম যোগ করেননি, সেহেতু প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম ৩২২ জনের তালিকার মধ্যে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনে বলা হয়েছে, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে সার্চ কমিটি। আইনে বেঁধে দেয়া যোগ্যতা, অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনাম বিবেচনা করে সিইসি পদের জন্য দুইজন এবং নির্বাচন কমিশনারের শূন্য পদের প্রতিটির জন্য দুজনের নাম তারা প্রস্তাব করবে প্রেসিডেন্টের কাছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের। বৃহস্পতিবারই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ২০১৭ সালে তখনকার সার্চ কমিটি যেদিন প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ তুলে দিয়েছিলেন, সেদিনই নিয়োগের আদেশ হয়েছিল। এবারও সেটা হতে পারে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রেসিডেন্টের ওপর। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই হবে। ২০১৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তালিকা জমা দেয়ার দিনই নতুন ইসি নিয়োগ দেয়া হয়। অবশ্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রথম ইসি গঠনের সময় ২০১৩ সালে সুপারিশকৃতদের নাম দেয়ার একদিন পরে ইসি গঠন হয়েছিল। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিদায় নেয়ার পর বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের পদ শূন্য রয়েছে। অবশ্য এই শূন্যতায় কোনো আইনি ব্যত্যয় হচ্ছে না বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগেই জানিয়েছেন।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রেসিডেন্টের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মনোনীত ১০ জনের নাম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। বুধবার তিনি সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর ই-মেইলে এই আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন। ইউনুস আলী গণমাধ্যমকে বলেন, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রেসিডেন্টের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মনোনীত ১০ জনের নাম প্রকাশ করতে আমি আবেদন করেছি। গণমাধ্যমে দেখেছি, সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন সাবেক বিচারপতির নাম এই পদের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লাভজনক পদে যেতে পারেন না।’ এ ছাড়া সার্চ কমিটির সুপারিশকারীসহ নামের তালিকা পেতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। গতকাল সুজন সচিবালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন। আবেদনে তিন দিনের মধ্যে এ তালিকা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছেন সুজন সম্পাদক।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |