আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:২৫
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ আশুলিয়ায় ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট মালিক মোঃ মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া অনুমতি না পেয়ে জামগড়া এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের সাইনবোর্ড টানিয়ে চাকুরী দেয়ার নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে যুবকদের হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে।
রোববার বিকেলে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় গিয়ে দেখাযায় বিলাশ বহুল একটি নান্দনিক পরিবেশ । এর ডেকরেটর হার মানিয়েছে। ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করে কেউ বুঝতে পারবে না মূল ব্যাংকের মত বহু টাকা। একই মালিকের রয়েছে ৫টি ব্যাংকিং এজেন্ট। অনুসন্ধানে জানাযায়, ইÑব্যাংকের এজেন্ট মালিক মোঃ মোবারক হোসেন ইসলামী ব্যাংকের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ডিলারদের কাছ থেকে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নিয়ে শত কোটির মালিক হয়েছে।
ভুক্ত ভোগী আকিজ গ্রæপের আশুলিয়া এলাকার ডিলার মোঃ সুলতান জানান, ই- ব্যাংকে ব্যবসায়ী লেনদেনের একপর্যায়ে এজেন্ট মালিক মোবারক হোসেনের সাথে তার পরিচয় হয়। এসময় সে তাকে ই-ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করার কথা পরামর্শদেন। এসময় সে তার কাছ থেকে একটি বøাংক চেক নেন । এর পর থেকে তার এজেন্ট ব্যাংক থেকে একদিনের জন্য এক লাখ টাকা নিলে ৫শত টাকা সুদ দিতে হতো। যদি ওই টাকাটা পাঁচ দিনে পরিশোধ করা না হয় তা হলে তাকে ২৫ শত টাকা সুদ দিতে হয়। এমনি করে করোনা কালিন সময় তার মালামাল বিক্রি না হওয়ায় মোবারক তার কাছে দুইলাখ টাকা সুদ ধরে আট লাখ টাকা আসল ঘোষনা করে। পড়ে সে টাকাকে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ ধরে ১৩ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় মামলার ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে সোনালী ব্যাংকের একটি বøাংক চেক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি বøাংক চেক রেখে দেয়। এক পর্যায়ে সুদের টাকার জন্য তার ( সুলতানের )ডিলারশীপ চলে যায়। ব্যবসা হারিয়ে পথে বসেছে সে ।
এব্যাপরে ই-ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের মালিক মোবারক হোসেন জানান, সুলতানের সাথে লেনদেন তার ব্যাক্তিগত ব্যাংকের নয়। ই-ব্যাকের সীল ও ব্যাংক ব্যবহার করে এরকম সুদের ব্যবসা চালাতে পারেন কিনা ? এ প্রশ্নের উত্তরে সে চুপ থাকে। মঙ্গলবার বিকেলে সুলতানের স্ত্রীর কাছ থেকে নেয়া ৯ লাখ টাকার চেক ফেরত দিয়েছে মোবারক হোসেন। এসময় সুলতানের কাছ থেকে একটি স্টাম্পে সাক্ষর রেখে দেন।
এব্যপারে সাভার ব্রাঞ্চের ই-ব্যাংকের এভিপি এন্ড ম্যানেজার অপারেশন সাইদুল ইসলাম এর সাথে দেখা করে জানান, ই-ব্যাংকে সুদ নেয়া হয় না। যদি এজেন্ট ব্যাংক মালিকগণ ব্যাংকের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সুদের ব্যবসা করে তা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ই-ব্যাংকের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এধরনের সুদের ব্যবসা করতে পারবে কিনা?এর উত্তরে সে জানান, ব্যাংকের মধ্যে এরকম কোন কাজ করতে পারবে না। অন্য কোন অফিসে করলে সেটা তার ব্যপার।
এ ছাড়া সে ব্যাংকের বিনা অনুমতিতে জামগড়া এলাকায় ভুঁইয়া প্লাজায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্টের একটি সাইন বোর্ড সাটিয়েছে। দেয়া হয়েছে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি । সেখানে খোজ নিয়ে জানাযায়, ওই স্থানে ইসলামী ব্যাংকের কোন এজেন্ট নেই। ইসলামী ব্যাংকের নামে ফ্লোর ভাড়া নিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। মোবাইল নম্বরে আলাপ করলে এজেন্ট ব্যাংকের মালিক মোঃ মোবারক হোসেন জানান, জামগড়ায় এখনও লিখিত ভাবে তাকে এজেন্ট দেয়া হয়নি। তবে তাকেই এ ব্যাংকের এজেন্ট দেয়া হবে। তাই সে আগাম সাইনবোর্ড দিয়ে গ্রহকদের আমন্ত্রন জানিয়েছেন।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবারক হোসেনের চারটি ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেট রয়েছে। আশুলিয়া এলাকার ডেন্ডাবর , পলাশবাড়ি,ইউনিক ও গাজিরচট শের আলী মার্কেটসহ চারটি ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট রয়েছে।এ এজেন্ট গুলোতে মহাজনি ব্যবসা চলছে ধুমছে।
এব্যাপারে এজেন্ট ব্যাংকের মালিক মোঃ মোবারক হোসেনের কাছে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নেয়ার ডকুমেন্ট দেখিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে সে বলে এরকম টাকা দিলে তো ভালোই হতো ,কিন্তু আমি তার কাছে অনেক টাকা পাই সে দেয়না। দেলদেনের রশিদ ও ক্যাশিয়ারের সই এর ব্যাপারে জানতে চাইলে, সে প্রথমে অস্বীকার করে। পরে তার ডেন্ডবরের ই-ব্যাংকের সিল দেখালে সে ব্যক্তিগত লেনদেনের কথা স্বীকার করেছে। বিষয়টি নিয়ে রেপোর্ট না করে মিটমাট করে দিতে অনুরোধ জানান সে।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |