আজ সোমবার | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১৩ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:৩০
বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে মিছিল সমাবেশে সরব ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দিনভর নানা কর্মসূচি পালন করেন তারা। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এতে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতিবাচক, ধ্বংস, ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতির রাজনীতি করে বিএনপি অসুস্থ হয়ে গেছে। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাবেন, এ নিয়ে কটাক্ষ নয়। তবে অসুস্থ রাজনীতি করে অসুস্থ হলে সেই অসুস্থ বিএনপিকেও হাসপাতালে নিতে হবে। তাদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেলসহ উন্নয়নের একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে বিএনপি চোখে সর্ষে ফুল দেখছে। কারণ তারা এসব উন্নয়ন কখনোই দেখাতে পারেনি। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় তাদের মনে জ্বালা।
ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, একদিনে শত সেতু উদ্বোধন হওয়ায় তাদের জ্বালা ধরেছে। বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সরকারে আছি। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আগুন নিয়ে সন্ত্রাস, লাঠি নিয়ে খেলা, রাস্তা অবরোধ করে অশান্তি সৃষ্টি করার মতো কাজ করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় আমরা জনগণের পাশে থাকবো। সেজন্যই আজকের এই শান্তি সমাবেশ। কেউ আগুন নিয়ে খেলতে চাইলে তা মেনে নেয়া হবে না। স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, মানুষের জানমাল নিয়ে খেললে, খেলা হবে। যে কোনো নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ।
সরকার হটাতে গিয়ে তারাই হটে যাবে। আওয়ামী লীগ এ দেশে ভেসে আসেনি। বিএনপি সরকার পতন ঘটাবে আর বাংলার মানুষ চুপ করে বসে থাকবে, সেটা ভাবার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি আমার কথার উত্তর দিতে চান না। আমি বলতে চাই, আমার কথার উত্তর দেয়ার মতো সামর্থ্য ও সাহস ফখরুল ইসলামের নেই। আমি সত্য কথা বলি আর ফখরুল সাহেবরা মিথ্যাচার করেন। কথায় কথায় তারা মিথ্যাচার করেন। এটাই হচ্ছে বিএনপি’র রাজনীতি। নির্বাচন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকান সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে। আমাদের দেশে আইন দিয়ে নির্বাচন কমিশন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ত্রুটিমুক্ত, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করবে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের সিটিং গভর্মেন্টের মতো রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা সবই থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে নয়। বিএনপি’র উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এতে ভয় পাচ্ছেন কেন, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। জানি শেখ হাসিনার উন্নয়নে দেশের মানুষ খুশি আর আপনাদের (বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর) মন খারাপ। নির্বাচনে হেরে যাবেন এই ভয়ে ফখরুল সাহেব মাঝেমধ্যে রেগে যান। হেরে গেলেও রেগে যান। আগেভাগে হারার আগে হারছেন কেন? নির্বাচনে আসেন আপনাদের সক্ষমতার একটা পরীক্ষা হয়ে যাক। আমরা রেডি আছি। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস সাহেব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমি তাদের রোগমুক্তি কামনা করি। রোগমুক্তি লাভ করে আমাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখুক সেটাই চাই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে। আর অন্য একটি দল আছে, তারা অশান্তি করতে চায়। বিএনপি যেভাবে ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, সেই চেষ্টা এখনো অব্যাহত আছে।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, জাতি এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ বাধা দেবে না। সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা করলে আমরা জবাব দিতে পারি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মো. হুমায়ুন কবির।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:10 PM |
Magrib | 5:31 PM |
Isha | 6:50 PM |