- প্রচ্ছদ
-
- ঢাকা
- একজন জনপ্রতিনিধি ইচ্ছা করলে পাল্টে দিতে পারেন তাঁর নির্বাচনী এলাকা
একজন জনপ্রতিনিধি ইচ্ছা করলে পাল্টে দিতে পারেন তাঁর নির্বাচনী এলাকা
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল, ২০২২ ৬:১৯ অপরাহ্ণ
জহির সিকদার:- একজন জনপ্রতিনিধি ইচ্ছা করলে পাল্টে দিতে পারেন তার নির্বাচনী এলাকা। যার জলন্ত উদাহারণ আমাদের শরীয়তপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য ও মাননীয় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম মহোদয়।
গত ২৬ মার্চ ২০২২ উদ্বোধন হল শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর হতে , মোক্তার চর হয়ে জাজিরা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার জয়বাংলা এভিনিউ এর।
এই এভিনিউয়ের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। পরে আসছে সে কথায়..
এই এভিনিউ তথা ওয়াকওয়ে দিনেরাতে কয়েক রকম রুপে সাজে পদ্মাপাড়। সকালে এরকম, দুপুরে এরকম, বিকালে একরকম, সন্ধ্যায় একরকম।
“রাতে আলোয় ঝলমল করে ষ্ট্রিট লাইটের এলইডি বাতিতে। ভাবতেই অবাক লাগে।”
দেশের বাইরে থাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারি নাই। তাই দেশে এসেই চলে গেলাম নড়িয়া নদীরক্ষা বাঁধ। বর্তমানে নড়িয়ার পর্যটন কেন্দ্র খ্যাত জয়বাংলা এভিনিউ এ।
মনে পরে গেল সেই ভয়াল স্মৃতি,
দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরের পদ্মার ভাঙন কবলিত শরীয়তপুরের নড়িয়া এখন পর্যটন কেন্দ্রে রুপ নিয়েছে। এই তো ২০১৮ সালেও সাড়ে ৬ হাজার ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদরাসা নদীগর্ভে চলে গেছে। পদ্মার ভয়াল গ্রাসে রক্ষা পায়নি ভাঙনের হাত থেকে পাকা বাড়ি, দোকানপাট, স্বাস্থ্য ক্লিনিক, কতজনের মা-বাবাসহ আত্মীয়স্বজনের কবর কোনো কিছুই।
“আমি দেখিনি তৎকালিন নড়িয়া যারা এমপি নেতা ছিলেন তারা এ অসহায় নদীভাঙ্গন মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ।”
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালিন সাংগঠনিক সম্পাদকএনামুল হক শামীম সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এ অসহায় মানুষের জন্য। প্রতি সপ্তাহে চলে আসতেন এ অসহায় মানুষের পাসে।
আমাকে রেখে গেলেন নদীরপাড় , বলে গেলেন অসহায় মানুষ তাদের ঘর সরিয়ে নিবে তাতে টাকা লাগবে তুমি তাদের টাকা দিয়ে সাহায্য করো, যাতে তারা তাদের ভিটা চলে গেলেও ঘর যেন সরিয়ে নিতে পারে।
আমি প্রিয়নেতা এনামুল হক শামীমের নির্দেশ মতো ১৮ দিন নদীর পার থেকে তাদের সাহায্য করলাম।
নড়িয়া- সখিপুর থেকে যারা নৌকার কান্ডারী হতে চান তাদের পাই নাই এ অসহায় মানুষের পাসে।
দেখেছি তাদের মিছিল করতে নৌকার কান্ডারি হতে চাই হতে চাই বলে পন্ডিসার থেকে নড়িয়া পৌরসভা পর্যন্ত মিছিল করতো। তবে এনামুল হক শামীম ছাড়াই কেউ ভাঙনের কথা বলে নি।
জানি না সেই নদীভাঙ্গন কবলিত অসহায় মানুষেরা ভুলে গেছেন কিনা সেই কথা। থেমে থাকেনি, ক্লান্ত হননি, ভাঙন কবলিত মানুষের জন্য লক্ষে অবিচল নেতা ছুটে গিয়েছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
পদ্মাপাড়ের কৃতিসন্তান
প্রিয়নেতা এনামুল হক শামীম ই নড়িয়ায় পদ্মান নদীভাঙ্গনের কথা জানিয়ে ছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।
একারণেই, এ অঞ্চলের জনগণ প্রায়ই একটা কথা বলে,” সবাই যা পারে শামীম তা পারে না; আর শামীম যা পারে কেউ তা পারে না।”
আল্লাহর রহমত তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত দুই বছর একটি বাড়িও ভাঙেনি। ৫০ বছরের ভাঙনকবলিত এলাকা এখন পরিণত হয়েছে নিরাপদ বসবাসের স্থানে। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন অট্টালিকা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাননীয় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের উদ্যোগে নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে ১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এ প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
তাইতো ভাঙন চলাকালিন সময়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন এক জনসভায় বলেছিলেন-
“সবাই আসে নৌকার নমিনেশনের জন্য; আর শামীম আসে নদীভাঙ্গন কবলিত অসহায় মানুষের জন্য”
২০১৮ সালে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইনশাআল্লাহ আগামীতেও বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাদার অব হিউম্যানিটি
জননেত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্তই নিবেন।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা…
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু কন্যা
জননেত্রী শেখ হাসিনা
ও
মাননীয় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম
এত অল্প সময়ে এত টেকসই নদী রক্ষা বাঁধ করার জন্য।
লেখকঃ
জহির সিকদার
সাবেক ছাত্রনেতা
ও
সদস্য:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটি।
Please follow and like us:
20 20