- প্রচ্ছদ
-
- প্রধান খবর
- এমন নেতা আর কখনো পাওয়া যাবে?
এমন নেতা আর কখনো পাওয়া যাবে?
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ
ড.আসাদুজ্জামান রিপন :-আজ ১৭ নভেম্বর তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০ তম ওফাত বার্ষিকী । দেশব্যাপী খ্যাতি মওলানা ভাসানী নামে হলেও তিঁনি কারো কাছে হুজুর বা পীর, কারো কাজে মজলুম জননেতা, কারো কাছে ‘খামোশ’ নামের আতঙ্ক, কারো কাছে ‘প্রফেট অব ভায়োলেন্স’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন কিংবদন্তী নেতা সাধারন মানুষের কাছে যিনি পরিচিত ছিলেন মজলুম জননেতা হিসাবে। অন্যায় আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তার ছিল আপসহীন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম ছিল সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে। ছিল পাকিস্তানের স্বৈরচারী শাসকদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তাৎকালীন সরকারের যাবতীয় কালা কানুন, গনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ ও জুলুমের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ হয়ে উঠেছিল সোচ্চার। এই চিরকালীন বিল্পবী পুরুষ কখনো আপোষ করেননি ক্ষমতা আর অর্থের সাথে এবং ক্ষমা করেননি কোন স্বৈরশাসককে।
ভাসানী জীবনের সমস্ত সময়ই ব্যয় করেছেন গনমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে।
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে তিনি সবসময় প্রাধান্য দিতেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন অনাড়ম্বর ও অতি সাধারণ। তাঁর সাধারণ জীবনযাপন এদেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালবাসার প্রতিফলন ।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর রাজশাহী মাদরাসা ময়দানেই এই মহান নেতার শেষ জনসভার ভাষণ।রাজশাহীর মাটি যেন থরথর করে কাঁপছিল, মাঠের আশেপাশে তিল ধারনের ঠাঁই ছিলনা। সেদিন ভাসানীর কন্ঠে ধ্বনিত হচ্ছিল- সিকিম নয়, ভুটান নয়, এ দেশ মোদের বাংলাদেশ। এরপর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ঘরোয়া বৈঠক ছাড়া বাকি জীবনে আর বক্তব্য দেননি।
অনেক কিছু লেখার ছিল , কিন্তু পাঠকদের ধর্য্য বিচ্যুতি হবে তাই শুধুই বলতে চাই , মওলানা ভাসানী ছিলেন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের নেতা। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মুকুটহীন সম্রাট। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে এবং অপশাসন, অপরাজনীতিকে পরাস্ত করতে জাতির এই সংকটের মূহুর্তে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রদর্শিত পথই দেশের মানুষকে শক্তি ও সাহস যোগাবে।
দোয়া করি, মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন উনার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাত নসিব করুন। আমীন ।।
Please follow and like us:
20 20