আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:৪৭
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র্যাব হেফাজতে গৃহবধূ সুরাইয়া খাতুন (৫২) এর মৃত্যুর ঘটনায় র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট, বিএন মো. ফাহিম ফয়সালসহ চারজনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া অন্য তিনজন হলেন, র্যাবের উপসহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন, করপোরাল মহিবুল ইসলাম ও কনস্টেবল মনির হোসেন।
এছাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী। তিনি সোমবার সকালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের নতুন কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী ক্যাম্প থেকে চারজন প্রত্যাহার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ক্যাম্পে নারীর মৃত্যুর ঘটনার পর শনিবার র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট, বিএন মো. ফাহিম ফয়সালকে এবং পরবর্তীতে বাকি তিনজনকে প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হয়। প্রত্যাহারের পর সোমবার সকালে ক্যাম্প কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে পুত্রবধূ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সুরাইয়া খাতুনকে র্যাব আটক করে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। এদিকে র্যাব হেফাজতে ওই নারীর মৃত্যুর পর আটকের পর নির্যাতন করে সুরাইয়া খাতুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। তবে র্যাবের দাবি, আটকের পর সুরাইয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সুরাইয়া খাতুন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দা গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী।
যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ রেখা আক্তারকে হত্যার অভিযোগে সুরাইয়া খাতুন, তার স্বামী আজিজুল ইসলাম এবং ছেলে তাইজুল ইসলাম লিমন এই তিনজনকে আসামি করে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্ইাব্যুনালে গত ২রা মে মামলা করেছেন নিহত রেখার মা রমিছা বেগম। আদালতের নির্দেশে গত ১৩ই মে নান্দাইল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয় এবং এসআই নাজমুল হাসানকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
পরিবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এসআই নাজমুল হাসান মোবাইল ফোনে সুরাইয়া ও তার স্বামী আজিজুলকে থানায় ডেকে আনেন। তাদের অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিদায় করে দেন। এর পর পরই র্যাব নান্দাইল থানার গেইট থেকে সুরাইয়া ও তার স্বামী আজিজুলকে আটক করে। সেখানে আজিজুলকে ছেড়ে দিয়ে সুরাইয়াকে র্যাবের ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুরাইয়া খাতুনকে মৃত অবস্থায় র্যাব সদস্যরা নিয়ে যান বলে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকার একটি বিস্কুট কারখানায় চাকরি করতেন সুরাইয়ার ছেলে তাইজুল ইসলাম লিমন। একই কারখানায় কাজ করতেন নান্দাইলের ভেলামারী গ্রামের হাসিম উদ্দিনের মেয়ে রেখা আক্তার (২০)। প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি হিসেবে দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাইজুল যৌতুকের জন্য রেখার উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। গত ২৬শে এপ্রিল রাতে অন্তঃসত্ত্বা রেখার উপর যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালানো হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় স্বামী তাইজুল ইসলাম লিমন, শ্বশুর আজিজুল ইসলাম ও শাশুড়ি সুরাইয়া খাতুন তাকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তার স্বামী তাইজুল ও শাশুড়ি সুরাইয়া লাশ রেখে পালিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্মচারীরা শ্বশুর আজিজুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।সূত্র:মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |