আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:১৩
মনির হোসেন জীবন- রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মান্দাইলে একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকান্ডে একই পরিবারের দুই শিশুসহ ছয় জন দগ্ধ হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মডেল মান্দাইল জাওলা পাড়া এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ সকাল সোয়া ১০ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া ছয় জন দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, চিকিৎসকরা বলেন, দগ্ধদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দগ্ধরা হলেন- মোছাম্মৎ বেগম (৬০), তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২৬) সোনিয়ার মেয়ে মরিয়ম আক্তার (৮), বেগমের নাতি সাহাদাৎ হোসেন (২০), ও ইয়াছিন (১২) এবং মোছা, ইদুনী বেগম ওরফে পান্না বেগম (৫০)।
হাসপাতালে দগ্ধদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা প্রতিবেশী সাহাদতের বন্ধু নাজমুল হাসান সাকিব জানান, দগ্ধরা দ্বিতীয় তলা বাসার নিচ তলায় থাকতো। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে একটি বাসায় রান্না করার সময় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ হওয়ার শব্দ পাই এবং আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ভোরে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ওই বাসায় ছুটে যায়। এ ঘটনায় দুই শিশুসহ ছয় জন দগ্ধ হয়েছেন।
রফিকুল ইসলাম নামে দগ্ধদের এক স্বজন জানান, আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইদুনি বেগম রান্না ঘরে চুলা জ্বালানোর জন্য দিয়াশলায়ের কাঠি জ্বালানে আগুন ধরে যায় এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে ছয় জন দগ্ধ হন। পরে তাদেরকে অচেতন অবস্হায় উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এখন জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস, এম আইউব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকা থেকে দগ্ধ হয়ে ছয় জন আমাদের এখানে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, নারী শিশুসহ ছয় জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছে। এদের মধ্যে বেগমের ২৩ শতাংস, ইদুনী ওরফে পান্না বেগমের ৩০ শতাংশ, সাহাদতের ৫২ শতাংশ, সোনিয়ার ২৩ শতাংশ, ইয়াছিনের ২৮ শতাংশ ও মরিয়মের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
ইয়াছিনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আর বাকিদের হাই ডিপেনডেন্সি (এইচডিইউ) ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশংকাজনক বলেও জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |