আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:২৬
মনির হোসেন জীবন – রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মান্দাইলে একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ এবং গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মোছা. ইদুলী বেগম পান্না (৫০)। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইদুলী বেগম। তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই দুর্ঘটনায় এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চারজনে।
আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া দগ্ধ এক জন মারা যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, গত ৩০ আগষ্ট ২০২২, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মডেল মান্দাইল জাওলা পাড়া এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস, এম আইয়ুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইদুলী বেগমের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধাীন ছিলেন। এর আগে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ আরও দু’ জন চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। নিহত ইদুলী বেগম পান্নার স্বামী মোক্তার হোসেন জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে তাদের গ্রামের বাড়ি। তিনি কেরানীগঞ্জে অটোরিকশা চালান। পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকতেন। তাদের তিনটি মেয়ে রয়েছে অপরদিকে, হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানায়, এঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে গত ৩০ আগষ্ট,২০২২, দগ্ধ ৮ বছরের শিশু মরিয়ম প্রথম আইসিইউর ৪ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা গিয়েছিল। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এরপর শাহাদাৎ ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা যায়। তার শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোছা, বেগম (৬০)। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
দগ্ধরা হলেন- মোছাম্মৎ বেগম (৬০), তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২৬) সোনিয়ার মেয়ে মরিয়ম ওরফে মারিয়ম আক্তার (৮), বেগমের নাতি সাহাদাৎ হোসেন (২০), ও ইয়াছিন (১২) এবং মোছা, ইদুনী বেগম ওরফে পান্না বেগম (৫০)। অপরদিকে, বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, বর্তমানে মোছা. বেগম ২৩ শতাংশ দগ্ধ, ইদুনী ওরফে পান্না বেগম ৫০ শতাংশ, সোনিয়া ২৩ শতাংশ, ও ইয়াছিন ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে এখন দুই জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচেছন। তাদের অবস্হাও সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |