আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৫৯
বিডি দিনকাল ডেস্ক :কুয়েতে মানব পাচার ও অবৈধভাবে মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক বাংলাদেশি এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন কুয়েতের এমপি সাদাউন হামাদ। দেশটির আরবি দৈনিক আল রাই অনলাইনে প্রকাশিত রিপোর্টে (যা অন্য ইংরেজি দৈনিকগুলোতে এসেছে) এ তথ্য জানানো হয়েছে। কাজী পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাকে অনৈতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনায় মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কুয়েতের দুই সংসদ সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদের বিরুদ্ধে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সালাহ খুরশিদ বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ৫ই নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন তাকে আদালতে হাজির করতে কুয়েত পুলিশের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। পাপুলকাণ্ডে কুয়েতের দুই সংসদ সদস্য ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি (এখন বরখাস্ত) মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহর সম্পৃক্ততার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সিআইডি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার প্রথম দিনের শুনানিতে কাজী শহিদ ইসলাম অবৈধ মুদ্রা পাচার ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
এমপি সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ এবং মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহকে তিনি চেনেন না বলেও আদালতে দাবি করেছিলেন। লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজি শহিদ ইসলাম কুয়েতের রেসিডেন্ট পারমিটধারী একজন ব্যবসায়ীও। তার অবৈধ ব্যবসা এবং জাল-জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে গত ফেব্রুয়ারিতে। তখন তাকে আটকের জন্য কুয়েত সিআইডি অভিযানও চালিয়েছিল। তখন তার দুই সহযোগী গোয়েন্দা জালে আটকা পড়লে তিনি ঢাকায় পালিয়ে নিজেকে রক্ষায় সক্ষম হন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরবর্তীতে তিনি কুয়েত সিটিতে গেলে (গত ৬ জুন) সিআইডি টিম তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। ১৪ জুন তাকে আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। দীর্ঘ সময় তিনি রিমাণ্ডে কাটিয়েছেন, সে সময় তার সহযোগী দেশি-বিদেশি রাগব-বোয়ালদের বিষয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল ২২ সেপ্টম্বর বৃহস্পতিবার ও পাপুল সহ অন্য আসামিদের কারো কোণও জামিন হয় নাই ।১৫ জুন কারাগারে পাঠানোর পর গত ২৫জুন ও ৯জুলাই,১৯জুলাই,২৭জুলাই, ৯ আগস্ট এবং আজ ২৩ আগস্ট,১৭ সেপ্টম্বরে পাপুলকে মহামান্য বিচারকের সামনে হাজির করা হয় ।এই নিয়ে মোট ৭ বার পাপুলকে আদালতে হাজির করা হলো ।এর পরে ১ অক্টোবর পরবর্তী হাজিরার নির্ধারিত তারিখ থাকলেও ঐদিন কুয়েতের আমিরের মৃর্তু জনিত সরকারি ছুটি থাকার কারণে তোলা হয় নাই ।বিচারক নিজের ক্ষমতা বলে গতকাল ২২ অক্টোবর হাজিরার দিন তারিখ ঘোষণা করেন।তারেই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার ২২ অক্টোবর কোর্টে আনা হয় পাপুলসহ অন্য আসামিদের।এই নিয়ে মোট ৮ বার তাকে কোর্টে হাজির করা হলো ।পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হলো আগামী ৫ নভেম্বর ।এইদিন হয়তো রায়ের তারিখ ঘোষণা হতে পারে এমন আবাস পাওয়া গিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ।বিচারক আব্দুল্লাহ ওসমান এর এজলাসে চলছে পাপুলের বিচার কার্য ।
অন্যদিকে আজও পাপুলকে বেশ বিমূর্ষ দেখা গিয়েছে ।পাপুলকে হেন্ডকাপ পড়ায়ে নিয়ে আসা হয়ে একেই সাথে পাপুলকে এক কালারের জেলখানার পোশাক পরিহিত দেখা যায় ।পাপুলের মামলা নাম্বার ৯২৪১/2020
যার সূত্র ধরে ডজনখানেক গ্রেপ্তারও হয়েছেন। পাপুল স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তিনি শাসকদলে এতোটাই প্রভাবশালী যে ভোটে তার প্রতিপক্ষ মহাজোট প্রার্থীকে তিনি কৌশলে নিস্ক্রিয় করে দিয়েছিলেন। পাপুুল শুধু এলাকায় নয়, কুয়েত আওয়ামী লীগেরও প্রভাবশালী সদস্য, তার আর্থিক পৃষ্টপোষকতাই মূখ্য। এর জেরেই তিনি তার স্ত্রীকে আওয়ামী লীগের মনোনীত সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন নিয়ে এমপি বানাতে সক্ষম হয়েছেন বলে চাউর আছে
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |