আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৮:৩৭
ডেস্ক :- জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে সারা দেশে বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার পরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিকদের একাধিক সংগঠন যাত্রী-পণ্যবাহী যান বন্ধ রাখার পক্ষে অবস্থান নেয়।
পরিবহন ধর্মঘটে শুক্রবার কার্যত পুরো দেশ থমকে যায়। হাজারো ভোগান্তি মাথায় চেপে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। সড়কে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য ছোট যানের ভাড়া বেড়ে যায় কয়েকগুণ। যানবাহন না পেয়ে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
এর আগে ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার মালিকরা সাফ জানিয়ে দেন, অতিরিক্ত দামে ডিজেল কিনে পরিবহন চালানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তারা পরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। মালিকদের সাথে একমত হন শ্রমিক নেতারা।
ধর্মঘট অমান্য করে রাজধানীতে যে কয়েকটি গাড়ি চলছে তাতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে।
কল্যাণপুর থেকে বসুন্ধরা যাবেন একজন মহিলা যাত্রী। তিনি বলেন, কল্যাণপুর থেকে বসুন্ধরা পর্যন্ত সিএনজি ভাড়া চাচ্ছে ৫০০ টাকা। এখন বাধ্য হয়ে আমাকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে যেতে হবে।
সংশ্লিষ্ট ও সচেতনরা বলছেন, উদ্ভূত সমস্যার জরুরি সমাধানে দায়িত্বশীলদের উদ্যোগের অভাবে সড়কে পরিবহন ধর্মঘটের পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা উচিত ছিল।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান হচ্ছে না। শনিবারও সারাদেশে বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে। সাধারণ মানুষকে তার খেসারত দিতে হবে। রোববার সমস্যার সমাধান হলে সারাদেশে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মালিক-শ্রমিকদের সাথে রোববার বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ওই বৈঠকে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা না আসা পর্যন্ত পরিবহন খাতের এ অচলাবস্থার নিরসন হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। যদিও সরকারের তরফ থেকে শুক্রবার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। ওই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দরে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। বাজারে নিত্যপণ্য সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। শিল্প-কারখানাগুলোতে উপকরণ সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে লঞ্চ, ট্রেন ও রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস চলাচল করেছে; যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |