আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:৪৩
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স-এর প্রেস ব্রিফিং
সাংবাদিক বন্ধুরা,
অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে কিভাবে এ প্রশ্ন করে বলেছেন, “আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে, কখনও দাপট দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখেনি। তাঁর সরকারকে সরাতে একটি পক্ষ চক্রান্ত করছে। তিনি আরও বলেছেন ২০০৮ সালের অভিযোগহীন নির্বাচনেও বিএনপি যেখানে ৩১টি আসন পেয়েছে, সেখানে বিএনপি জনগণের ভোটে আবার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে কিভাবে।” তাঁর বক্তব্য হাস্যকর ও জাতির সঙ্গে চরম তামাশা । গোটা জাতি জানে ১/১১ ছিল শেখ হাসিনা ও দেশী বিদেশী চক্রান্তের একটা ফসল। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ফখরুদ্দিন-মইন উদ্দিনদের সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। সে সরকার ছিল ফখরুদ্দিন- মইন উদ্দিনদের এক্সটেনশন মাত্র। সে থেকে এখন পর্যন্ত জোর করে ও দাপট দেখিয়ে জোর প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারী ১৫৪টি আসনে কোন ভোট হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনাসহ ১৫৪ এমপি। বাকী আসনে শতকরা ৫ভাগ ভোট পড়েনি। ভোট কেন্দ্রে চতুস্পদি প্রাণীদের বিচরণ ছিল। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের রাতে ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করে দিয়েছিল আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তারা। দেশি-বিদেশিসহ আর্ন্তজাতিক মিডিয়ায় সে সব নির্বাচনের খবর প্রকাশিত হয়েছে হেডলাইন হয়ে। দেশেতো নয়ই, বিশে^র কোথাও সে নির্বাচন গ্রহনযোগ্যতা পায়নি। বরং দাতা সংস্থাসহ বিদেশেী রাষ্ট্রদূতগণ বলছেন বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোন দেশে আগের রাতের ভোটের কথা তারা শুনেননি। প্রধানমন্ত্রী এ অবৈধ সরকারকে সরাতে চক্রান্ত করা হবে কেন? ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন মানে চক্রান্ত নয়, আপনিইতো চক্রান্ত করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জোর করে ক্ষমতায় আছেন গায়ের জোরে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গ্রেফতার, নির্যাতন করে। জনগণ কোন চক্রান্ত করছে না। জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে, বাকস্বাধীনতা ফিরে পেতে, ন্যায় বিচার পেতে, ফ্যাসিবাদ থেকে বাঁচতে প্রকাশ্য রাজপথে লড়াই করছে। গনতন্ত্র ও উন্নয়নের নামে তারা লুটের রাজ্য কায়েম করেছে। সুতরাং মিথ্যাচার ও চক্রান্ত করে আর ক্ষমতায় টিকা যাবে না। নিপীড়ন নির্যাতন করে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। আর, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে দেশ ও জনগণের শক্তির বলে, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়, গণতন্ত্র সুশাসন এবং জীবন জীবীকা রক্ষার জন্য। আসলে বিএনপির গণসম্পৃক্ত আন্দোলন, কর্মসুচি এবং সরকারের বিরুদ্ধে গণরোষে সরকারের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। আওয়ামী দু:শাসনের অবসান এবং আওয়ামী লীগ কর্তৃক ভঙ্গুর রাষ্ট্রব্যবস্থা পূর্নগঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্রকাঠামো রুপরেখা ঘোষণার পর সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে অন্যরা পাগলের প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন। ১০ দফা ও রাষ্ট্র মেরামতের রুপরেখা দেশে বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত ও গ্রহনযোগ্যতা পাওয়ায় আমাদের উত্থাপিত দাবি ও রুপ রেখার বিষয়বস্তু নিয়ে কোন বক্তব্য না দিয়ে চিরাচরিত ভাষায় বিএনপির বিরুদ্ধে তারা বিষোদগার শুরু করেছে।
সাংবাদিক বন্ধুরা,
আপনারা জানেন কারাবন্দি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ শীর্ষ নেতারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে একাধিকবার ভয়াবহ করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে গায়েবি মামলায় কারাবন্দি বয়োজেষ্ঠ্য নেতাদের কারাবন্দি করায় তাদের চিকিৎসায় ব্যঘাত সৃষ্টি হয়েছে। কারাগারে তারা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা । হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাবন্দি করায় বর্তমানে কারাগারে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কারাবিধি অনুয়ায়ী অনেক নেতা ডিভিশন পাওয়ার অধিকারী হলেও অনেককে এখনও ডিভিশন দেওয়া হয়নি। কারাবন্দি নেতাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। তাদের ২৪ ঘন্টা লক-আপে রাখা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আব্দুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামছুর রহমান শিমুল বিশ^াস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানী, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাক মিয়াসহ শীর্ষ নেতারা জামিন পাওয়ার অধিকারী হলেও বার বার তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হচ্ছে। তারা জামিন পাওয়া অধিকার। তারা গুরুতর অসুস্থ ও বয়োজ্যেষ্ঠ হলেও সরকারের নির্দেশেই তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আমি আবারও বিএনপি মহাসচিবসহ আটক সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দাবি করছি।
বন্ধুরা,
আপনারা দেখেছেন গাজীপুরে মিথ্যা গায়েবি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা আলী আজম খান তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জানাযার নামাজে অংশ নিতে গেলে তাকে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো হয়। সে এজাহারভুক্ত আসামি নন, এমনকি মামলার বাদী আল্লাহর কছম খেয়ে বলেছেন যে ওই ঘটনার সে কিছুই জানে না। এমনকি এই মামলার বাদীও তিনি নন। পুলিশ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গায়েবি মামলাটি দায়ের করেছেন। সে কোন দুধর্ষ খুনের বা জঙ্গি মামলার আসামি নন। বিচারাধীন এ ধরণের একটি গায়েবি মামলার আসামিকে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানোর ঘটনা বেআইনি, নজিরবিহীন, সংবিধান বিরোধী ও মানবাধিকার পরিপন্থী। সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহি:প্রকাশ। সরকারের এধরনের ঘৃন্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি এবং অবিলম্বে আলী আজমের মুক্তি দাবি করছি।
প্রিয় বন্ধুগণ,
দেশজুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। ২৪ ডিসেম্বর শনিবার গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে নোয়াখালী পৌরসভার ৮/৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রস্তুতিসভা চলাকালীন
নোয়াখালী পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি আবু নাছের, সাধারণ সম্পাদক জাফর উল্লাহ রাসেল, সিঃ সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক জিএস জাকের হোসেন দুলাল, মোবারক হোসেন নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি আবদুল হাই আরাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর, জেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক ভিপি ফজলে এলাহী পলাশ, সদস্য সচিব জিএস আবদুজ্জাহের হারুন, নোয়াখালী সদর উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক মোঃ মমিনুল হক (কালা মিয়া), পৌর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ হান্নান।
নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহিম বাবলু, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মহিউদ্দিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আমান উল্যাহ আমান, ৭নং পৌর ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আহসান উল্যাহ মিঠু, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ সেলিম, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ মজিবুল হক, নোয়াখালী পৌর যুবদল নেতা আরিফ ইকবাল আহবায়ক, নোয়াখালী পৌর ছাত্রদলে আহবায়ক মোঃ ওয়াসিম, পৌর শ্রমিক দলের আহবায়ক মোঃ হারুন, ৯ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি তান্না, ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম,
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আপনারা জানেন গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ দেশব্যাপী এই দাবিতে গণ-মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে একইদিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল থাকায় পরবর্তীতে কর্মসূচি পুঃনবিণ্যাস করে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা ব্যাতিত সকল জেলা ও মহানগরীতে এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির দিনে ঢাকায় গণ-মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
পুঃবিণ্যাসকৃত কর্মসূচি অনুযায়ী এই ব্যর্থ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে এবং বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল ঢাকা ব্যাতিত সকল জেলা ও মহানগরে গণ-মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এই গণ-মিছিলে বিভাগীয় শহরসহ ১৯টি জেলায় দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নেতৃত্ব দেবেন। তালিকা সংযুক্ত:
এছাড়া অন্যান্য জেলা ও মহানগরে সংশ্লিষ্ট নিজ জেলার অধিবাসী কেন্দ্রীয় এবং জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ নেতৃত্ব দেবেন।
দলের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিকবৃন্দ পুরো কর্মসূচির সার্বিক সমন্বয় করছেন।
বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে সকল বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে গণ-মিছিল সফল করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।PRESS BREFING 23-12-2022
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |