আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:২৭
ডেস্কঃ- চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সরওয়ার আলমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) জেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সভায় চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুকেও তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। লিটু এমপি জাফর আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আজ জেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ৩৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুইপক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে পরস্পরকে দায়ী করেছে দু’পক্ষ। হাতাহাতির ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও উভয়পক্ষ মারমুখী অবস্থানে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরীর পক্ষে মাঠে কাজ না করাসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুকে দলের স্বীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ। এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ায়। এই বহিষ্কারাদেশ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বহিষ্কৃত লিটু এমপি জাফর আলমের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই পরিস্থিতিতে রাতেই বিএমচর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানের জানাজায় অংশগ্রহণ করে বাড়ি ফিরছিলেন এমপি জাফর আলম। তাঁর গাড়িতেই ছিলেন পৌর সভাপতি লিটুসহ আরো কয়েকজন। তাদের গাড়িটি পৌরসভার চিংড়ি চত্বরে আসা মাত্রই কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল যুবক এমপির গাড়ি দেখে কটূক্তিমূলক শ্লোগান দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় লিটুসহ গাড়ির ভেতর থাকা লোকজন গাড়ী থেকে নেমে পড়েন। তারা চিংড়ি চত্বরের কাছে দেখতে পান বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীসহ কয়েকজনকে। এ সময় তারা এমপির সাথে দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করেন। ওইসময় দুইপক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এমপি জাফর আলম মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর এক কর্মীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠে।খবর পেয়ে চকরিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী বুধবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন, এমপি জাফর আলমের ভাতিজা জিয়াবুল হক মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই আমার পরাজয় নিশ্চিত করতে এমপি এবং তাঁর অনুসারী জাহেদুল ইসলাম লিটু গোপনে কাজ করছেন। তাই জেলা আওয়ামী লীগ লিটুকে পৌর সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন।’
জাহেদুল ইসলাম লিটু বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার ইন্ধনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারে নামে মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও তার পক্ষের লোকজন। এমনকি এই ঘটনা নিয়ে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ তার পক্ষের নেতারা এমপিকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথাবার্তা বলেছেন। যা চকরিয়ার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার একটি পাঁয়তারা।
এ বিষয়ে এমপি জাফর আলম বলেন, ওই রাতে আমি বিএমচর ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানের জানাজায় অংশ নেওয়ার পর গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল ছেলে আমার গাড়ির গতিরোধ করে কটূক্তিমূলক শ্লোগান দিলে গাড়ি থামিয়ে প্লাস্টিকের একটি লাঠি হাতে একজনকে একটি বারি দিই। এ সময় কাছে বসে থাকা মেয়র আলমগীর চৌধুরী উচ্ছৃঙ্খল ছেলেটিকে কর্মী দাবি করে তার পক্ষ হয়ে আমার কাছে ক্ষমা চান। তখন আমি গাড়িতে উঠে বাড়ি চলে আসি। কিন্তু এই ঘটনাকে বড় করার মাধ্যমে চকরিয়ার শান্ত পরিবেশকে একটি মহল অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এসব কিছুর পেছনে ইন্ধন দিচ্ছেন জেলায় সিন্ডিকেট নির্ভর রাজনীতির হোতারা। বিষয়টি দলের কেন্দ্রের নজরে আনা হয়েছে।’
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |