আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১:৫৩
এম, এ কাশেম, চট্টগ্রাম ব্যুরো ‘বিডি দিনকাল’ : চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এ নানাবিধ: অ-নিয়ম ও অ-ব্যবস্থাপনার কথা ইতোপূর্বে বহুবার শুনে আসছেন মানুষ! কিন্তু, তার সাথে সংযুক্ত হয়েছে দেশের সংখ্যাঘরিষ্ট সম্প্রদায় মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় কঠোর তম: মাস ‘মাহে রমজান মাস’। অতিত সময়ের কথা বাদ দিলে ও চলমান ‘মাহে রমজান’ মাসে রোজাদার মুসলমানদের জন্য সরকার’র স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির যাদুকরী পরশে যদি বসে স্বস্তিতে একটু ইফতার করার জায়গা করে দিতেন কতোই না ভালো হতো। কিন্তু তাতে কারো মাথা ব্যথা আছে বলে বাস্তবিকতায় তা পরিলক্ষিত হয়নি! স্ব চোখে দেখার অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যেতে পারে- কেউ আসবে বিদেশ থেকে কামলা খাটিয়ে দেশের জন্য রেমিটেন্স নিয়ে। আর তার অপেক্ষায় তার আত্মীয়-স্বজনরা ঘন্টার পর ঘন্টা ঠায় দাড়িয়ে অথবা হেঁটে হুঁটে সময় পার করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর থাকেনা এখানে। এ ছাড়া, কেউ যাবে বিদেশের মাটিতে কামলা খাটিয়ে দেশের জন্য রেমিটেন্স পাঠাতে। আর তাদেরকে আগ বাড়িয়ে শেষ বিদায় দেয়ার জন্য তার মা, বাবা, ভাই- বোন এবং স্ত্রী-ছেলে সহ পরিবারের যে কেউ বিমানবন্দরে যান এবং যাওয়ার কথা ও। তাদের ভোগান্তি যে চরম সীমা অতিক্রম করে তা ভূক্তভোগী ছাড়া অন্য কেউ কল্পনা ও করতে পারবেন না সহজে। দুঃখ লাগার কথা যে, যার পরিশ্রমের টাকায় চলছে চালিকা শক্তি। এবং যাদের ঘাম ঝরানো টাকায় আরাম- আয়েসে আছে এ দেশের সরকার, বিভিন্ন পদবী সম্বৃদ্ধ হর্তাকর্তারা এবং সরকার’র মন্ত্রী-এম, পি’রা। বিদেশে কামলগিরি করে পাঠানো টাকার অংশে যারা থাকছেন আলিশান বাসা/বাড়িতে এবং এসি সম্বৃদ্ধ নামী-দামী গাড়ি দিব্যি আরামদায়ক ভাবে ঘুরে বেড়াযচ্ছেন তারা একটু ভাবনায় রাখেন ওই সব কামালের কথা বা তাদের পরিবার- পরজনের কথা? অবস্থাদৃষ্টে কোনো ক্রমেই মনে হওয়ার কথা নয়।
গতকাল ১২ এপ্রিল বুধবার বিকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে অবস্থান করে প্রত্যক্ষ করে দেখা যায়, আগন্তুক নারী- পুরষ ও বাচ্চাদের ভোগান্তি। কারো জন্য নেই কোনো একটু বসার ব্যবস্থা। তবে, বিমানবন্দর এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনকৃত যে ক’টি দোকান রয়েছে সে গুলোর সামনে বসার চেয়ার-টেবিল পেতে রাখা হয়েছে ঠিক-ই কিন্তু, সে গুলোতে বসতে হলে কিছু না কিছু কিনতে হবে নয়তো বসা যায়না/যাবে ও না। আর কিছু না কিছু কিনতে গেলে দিতে হয়/হবে দ্বিগুণ দাম। অথ্যাৎ বাইরে থেকে ১০০ টাকার যে কোনো কিনতে পারা যায় এখান তা কিনতে হয় ২০০ টাকা দিয়ে। বাইরে অন্য দোকানে যে পানির বোতল ১৫/২০ টাকা এখানে তা কিনতে হয় ৩০ টাকায়। বাইরে এক লিটার একটি কোক এর বোতল পাওয়া যায় ৬০ টাকার কিন্তু এখান থেকে কিনতে হয়/ হবে ৮০ টাকায়। একটা গোল্ডলিফ বাইরে থেকে নেয়া যায় ১২ টাকায় কিন্তু এখান থেকে নিতে হয় ১৫ টাকায়। এবং এক কাপ চা বাইরে ১০টাকা হলে ও এখানে ২০ টাকা! আনুপাতিক হারে প্রায় সব জিনিষের- ই ঠিক এক-ই অবস্থা। তবে, সব চেয়ে উদ্বেগজনক হারে অধিক বেশী টাকায় বিক্রি করে যাচ্ছে তারা ছোটো বাচ্চাদের খাববার সহ বিভিন্ন জিনিষাধি। ফলে, অনেকের পক্ষে তা কিনে নেয়ার সাধ থাকলে সাধ্যের বাইরে রয়ে যায়। এ ছাড়া অনেকে তাতে অক্ষম হওয়ায় হেঁটে হুঁটে অথবা দাড়িয়ে সময় পার করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। এমনিতে যেমন বৃষ্টি বাদলের দিন-রাতে তাদের কি অবস্থার মুখোমুখি হতে হয় তা অতি সহজেই অনুমেয়। অন্য সময়ের কথা যেমন-ই রোজার দিনে রোজাদারদের বসে স্বস্তিতে ইফতার করার ব্যবস্থা টা অন্তত: করে দেয়ার মাধ্যমে মানবিকতার পরিচয় টুকু হলে ও দিতে পারতেন সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু তা ও তারা করছেন না কেনো এমন প্রশ্নের কোনো জবাব মিলবে কিনা তা জানার বাইরে রয়েছে।। ফলে, রোজাদারদের দাড়িয়ে এবং ময়লাতে বসে ইফতার করার দৃশ্য দৃষ্টি কটু ঠেকার-ই কথা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এতোটাই উদাসীন যে রোজাদার মুসলমানদের বসে স্বস্তিতে ইফতার করার ব্যবস্থা করে দিতে না পারলে ও অন্তত: যদি ইফতার এর পূর্বে ঝাড়ুদারদের মাধ্যমে যেখানে মানুষ ঠায় দাড়িয়ে থাকে বা থাকতে ও হয় সেই স্থানটি একটু পরিস্কার করে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন তাহলে ও অন্তত: রোজাদারদের জন্য খানিকটা হলে ও বসে ইফতার করার ব্যবস্থা হতো। আর সেখানে রোজাদার রা বসে তৃপ্তি সহকারে ইফতার করতে পারতো। কিন্তু, তাতে ও বিমানবন্দরে দায়িত্ব রত: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা তা জানা যায়নি।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |