আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৪৩
নিজস্ব প্রতিনিধি চট্টগ্রাম থেকে : পেট্রোল বোমা বা বিস্ফোরক বহনকারীদের শনাক্ত করতে গণপরিবহনে যাত্রীদের ছবি তোলা বা ভিডিও করা হবে । এবং রেললাইন, রেলস্টেশন ও বাস স্টেশনে নিরাপত্তার জন্য আনসার-বিজিবি সহ তিন বাহিনীর যৌথ টহল বাড়ানো সহ কন্ট্রোল রুম ও থাকবে।চট্টগ্রাম জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, ট্রেন, বাস ও লঞ্চযোগে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ছবি তোলা বা ভিডিও করার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে পরবর্তীতে তাদের শনাক্ত করা যায়। পাশাপাশি সকল যাত্রীকে সার্চ করতে হবে। যাতে কেউ পেট্রোল বোমা বা বিস্ফোরক জাতীয় কোনো কিছু বহন করতে না পারে।
গতকাল নগরীর সার্কিট হাউজে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। সভায় সিএমপি, জেলা পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিএ ও বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রেললাইন, রেলস্টেশন ও বাস স্টেশনে নিরাপত্তার জন্য আনসার ও বিজিবি নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসক সমন্বয় করে এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো, আজ (গতকাল) সন্ধ্যা থেকে তিন বাহিনীর সমন্বয়ে র্যাব–বিজিবি–পুলিশ যৌথ টহল দেবে। যেন শহরে এবং অন্যান্য স্থানে সন্ত্রাসীদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়। প্রতিটি জেলা এবং বিভাগে সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে একটি কন্ট্রোল রুম করতে হবে। যেকোনো সমস্যা কন্ট্রোল রুমে জানানোর সাথে সাথে তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জনগণের মাঝে লোকাল ডিশ চ্যানেল বা লোকাল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দিতে হবে যেন নাশকতার আগাম খবর পেলে ৯৯৯, জেলা বা বিভাগীয় কন্ট্রোল রুমে তথ্য জানিয়ে দেয়।
মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন নতুন মাদক যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। জেলায় ও মহানগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসমুক্ত করার লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম বৃদ্ধি করার জন্য পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, বিজিবি, গোয়েন্দা, র্যাব, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদেরকে কার্যক্রম বৃদ্ধি করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। পেঁয়াজ, ডিম, চিনি, রসুন, আদা, মসলা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে পণ্য ক্রয়ের রসিদপত্র, মূল্য তালিকা যাচাই, ভেজাল দ্রব্য, অসাধু ব্যবসায়ীদের গুদাম ও পণ্য মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। প্রত্যেক উপজেলায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকদেরকে লাইসেন্সের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সকল ধরনের সাপ্লাই চেইন বহাল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে জেলায় সমন্বয় করে ঢাকামুখী পণ্যবাহী যানবাহন একসাথে জড়ো করে বাহিনীর সহায়তায় জেলা টু জেলায় নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবি এ কাজে নিয়োজিত হয়েছে। এক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী জেলার সাথে সমন্বয় রাখতে হবে। যেকোনো মূল্যে সাপ্লাই চেইন বহাল রাখা হবে।
তিনি বলেন, সরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র উন্নত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিডিকে প্রস্তাব আকারে পত্র প্রেরণের জন্য সভায় বলা হয়েছে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা টিম আকারে নিরাময় কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে নিরাময় কেন্দ্র না থাকায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সকলকে সম্পৃক্ত করার এবং মাদক নির্মূলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বাঁশখালী ও সন্দ্বীপের উপকূলীয় নদীপথ ব্যবহার করে মাদক পাচারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা এখন থেকে সকল আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যের তথ্য এবং কোন জায়গায় পণ্যগুলো সরবরাহ করা হয়েছে তা ড্যাশবোর্ডে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করবেন, যা বাজার মনিটরিংয়ে সহায়ক হবে। চেম্বারের সহায়তায় আমদানিকারক ও মিল মালিকদের থেকে কী পরিমাণ পণ্য সরবরাহ হচ্ছে তা সমন্বয় করার জন্য মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিআরটিএ নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সড়কের পাশে মালিকবিহীন গাড়ি পার্কিং রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃক এ জাতীয় গাড়ি এবং রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম বৃদ্ধি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে। হাটহাজারী, পটিয়া এলাকায় প্রতি মাসে ২/৩ দিন ক্যাম্প করে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা নিতে হবে। হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি রোডে যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট ইউএনও ও এক্সকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের অধিক পরিমাণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কর্তৃক সমাজসেবা পরিচালিত সেফ হোম নিয়মিত পরিদর্শন করে অবস্থানরতদের খোঁজ নিতে হবে।
সভায় বিজিবির অধিনায়ক বলেন, মাদক উদ্ধার কার্যক্রমে বিজিবি কাজ করছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক আসে বিধায় সীমান্তে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। ভবঘুরে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত আছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, মাদক নিরাময় কেন্দ্রের সাথে সিভির সার্জনের সম্পৃক্ততা নেই। তবে এ জাতীয় রোগী এলে তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |