- প্রচ্ছদ
-
- বাংলাদেশ
- চন্দ্রগঞ্জে একাধিক মামলা দিয়ে নিরিহ পরিবারের জমি দখল
চন্দ্রগঞ্জে একাধিক মামলা দিয়ে নিরিহ পরিবারের জমি দখল
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট, ২০২২ ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ
নজরুল ইসলাম মানিক, : লক্ষিপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধিন বিরামপুর মৌজার প্রায় ৫০ বছরের মালিকানা দখলকৃত জমির মালিক গংদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী করে জমি দখল করে নিয়েছে এক প্রবাসী ও তার স্বজনরা। এ ঘটনায় প্রত্যেকটি মামলায় বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের তদন্ত কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গ্রহন পুর্বক বাদী পক্ষের তিনাট মামলা খারিজ করে দেন বিজ্ঞ আদালত।
লক্ষিপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধিন বিরামপুর ঘুরতে গিয়ে এই প্রতিবেদক একটি নিরিহ পরিবারের স্বচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেন, লক্ষিপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধিন বিরামপুর মৌজার প্রায় ৫০ বছরের মালিকানা বিরামপুর মৌজার দখলকৃত জমির মালিক আনোয়ার হোসেন গংদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী করে জমি দখল করে নিয়েছে এক প্রবাসী ও তার স্বজনরা। মামলা সুত্রে জানা গেছে, প্রথমে প্রবাসী আব্দুল মান্নান সৌদি আরব রিয়াদ দুতাবাসের মাধ্যমে ভুমি মন্ত্রনালয় বাংলাদেশ সচিবালয় বরাবর একটি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৬/২/২০০৬ ইং তারিখে লক্ষিপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উভয় পক্ষ হাজির হলে ৭/২/২০০৬ ইং তারিখে সরেজমিন তদন্ত করে পুলিশ। এতে অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। এরপর আব্দুল মান্নান আবারো তার স্ত্রী মাকসুরা আক্তারকে দিয়ে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষিপুর বরাবর একটি মিস মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নম্বর ৪৮৪/১১-০৮-২০২১ ইং। এই মামলায় ফৌজদারী কাঃবিঃ আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারা মোতাবেক স্থীতাদেশ জারি করান যার প্রসেস নম্বর ৭৩৫। এই মিস মামলার পরপরই ২৬/০৯/২১ ইং তারিখে দঃবিঃ আইনের ১৮৮ ধারা মোতাবেক আদালতে ৪৪৮ নং একটি মামলা করেন যার প্রসেস নম্বর ৩২২। এবিষয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিস তদন্ত কর্মকর্তা টিপু সুলতান ও লক্ষিপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রেরনকৃত তদন্ত প্রতিবেন বিরামপুর মৌজার আরএস ৫৫৫ খতিয়ান, ১২২ নং দাগ এর নালিশি সম্পত্তির উপর বিবাদী গংদের বাড়ি ঘর নির্মিত ও দখলে রয়েছে। বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের তদন্ত কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে বিজ্ঞ আদালত সকল উল্লেখিত মামলা গুলো খারিজ করে নথিযাত করার আদেশ প্রদান করেন। সকল মামলায় হেরে গিয়ে এবারতার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার রুবি বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষিপুর বরাবর ফৌজদারী কাঃবিঃ আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারা আইনে ১৪/০৩/২২ ইং তারিখে ৩৬৭ নং একটি মিস মামলা দায়ের করেন যার প্রসেস নম্বর ৭০৪। এরপর ষড়যন্ত্র করে দঃবিঃ আইনের ১৮৮ ধারা মোতাবেক আদালতে ৩৬৭ নং মামলার অধিনে ২৩/৩/২২ ইং তারিখে আবেদন করেন যার প্রসেস নম্বর ৮১৩। এবারো বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের তদন্ত কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গ্রহন পুর্বক বাদী পক্ষের মামলা খারিজ করে দেন বিজ্ঞ আদালত। সর্বশেষে আব্দুল মান্নান,তার ছোট ভাই আব্দুল মোতালেবকে বাদী করে দিয়ে ওমান বাংলাদেশ দুতাবাসের মাধ্যমে আনোয়ার গংদের বিরুদ্ধে ওই নালিশি সম্পত্তির উপর আরেকটি অভিযোগ করেন । লক্ষিপুর জেলা পুলিশ সুপার অভিযোগ প্রাপ্তি যার স্বারক নং ২৩৫৫ তাং ৩০-০৭-২২ ইং । এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার জন্য আগামী ১৬-০৮-২২ইং তারিখে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে বিবাদী গংদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ্ভাবে পুলিশি হয়রানী ও ভয়ভিতির মাধ্যমে বিবাদীদের নালিশি সম্পত্তি দখল করে নির্মান কাজ করছেন বাদী পক্ষরা।
বশিক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমির হোসেনের নিকট এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমির সঠিক কাগজপত্র যার আছে সেই প্রকৃত মালিক। তবে কেহ যদি চিন্তা করে মামলা হামলা করে হযরানী করবে তা করতে পারে তবে কি সে জমির মালিক হতে পারবে। যেহেতু মামলা চলছে আইন মোতাবেক যার জমি সে মালিক হবে। এই বিষয় নিয়ে কেহই কখনো বসেনি তবে বাদী/বিবাদী যদি স্থানীয় ভাবে বসে সমাধান করতো তাহলে মামলা মোকাদদমার দরকার ছিলোনা।
আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম এর নিকট আনোয়ার গংদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা আর নালিশি সম্পত্তি দখল নেওয়ার ঘটনার ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনোয়ার গংরা নালিশি সম্পত্তি অর্ধশত বছর ধরে দখলে রয়েছে এবং তারাই প্রকৃত মালিক। মান্নান গংরা তাদের হয়রানী করার জন্য মামলা করে আসছে। তাছারা আমরা স্থানীয় ভাবে উভয় পক্ষকে মিমাংসা করে দিয়েছি । এখনতো আর মামলার প্রয়োজন হয়না। মান্নান গংরা যে কয়টি মামলা করেছে সব গুলো মামলা বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের তদন্ত কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গ্রহন পুর্বক বাদী পক্ষের মামলা খারিজ হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহফুজ এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয় নাই।.
Please follow and like us:
20 20