আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:০১
এসএম রুবেল , চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সহ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের পর ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক আব্দুল্লাহ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা-চাকপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম (কালু ডাক্তার) এর ছেলে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইমপেরিয়াল পলিটেকনিক ইনিস্টিউটের ডিপ্লোমার ছাত্র।
শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (১১ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে তাকে সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের বারঘরিয়া-বাজারপাড়া গ্রামের এক মেয়ের ঘর থেকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনার পর ওই মেয়ে, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে সদর মডেল থানায়।
স্থানীয়রা জানান, ওই মেয়ের সঙ্গে ৬/৭ মাস ধরে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
এর পর থেকে আবদুল্লাহ এলাকায় ঘুরে-ফিরে ওই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। শনিবার রাতে সে অনৈতিক কাজের জন্য মেয়ের বাড়িতে যান।
এসময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক বাড়ির দেয়াল টপকিয়ে ভিতরে ঢুকে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে মারধর করে। পরে গভীর রাতে পুলিশ গিয়ে আবদুল্লাহ সহ ওই মেয়েকে থানায় নিয়ে আসেন।
ওই মেয়ে বারঘরিয়া-বাজারপাড়া গ্রামের প্রবাসী টুটুলের মেয়ে শারমিন আক্তার (১৮)।
এ ঘটনার পর তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে এলাকাবাসী আবদুল্লাহকে সকল পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং আবদুল্লাহকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে একটি মহল রাত-ভোর তদবির করেছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত আবদুল্লাহ নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন।
এরপর সকাল হলেই ঘটনার দৃশ্যপট পাল্টায়। ওই মেয়ে বাদী হয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে ওই মেয়ে দাবি করেন, অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ বিভিন্ন সময় তাকে প্রেম ভালোবাসার প্রস্তাব দিয়ে ঘরে আসতে চাইতো। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে তার মা ও বোনের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। পরে কয়েকজন দেয়াল টপকিয়ে প্রতিবেশিদের সাথে নিয়ে ছুটে এসে আব্দুল্লাহকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাহিদ সিকদার (০১৭৪০৮৬৯৯৯৪) ও সাধারণ সম্পাদক ড. সাইফ জামান আনন্দ (০১৭১২০১৮৯২৫) ‘র সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও রিসিভ না করাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, ওই মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করায় আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। আর আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি পক্ষ তদবির করেন মামলা না নিয়ে, আবদুল্লাহকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য। অপরাধী যেই হোক আমার কাছে কোন প্রকার ছাড় নেই। আমি মামলা নিয়েছি এবং আদালতে প্রেরণ করেছি।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |