মধুঃ প্রাকৃতিক মধু নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া সমাধানেও এর জুড়ি নেই। এতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজও আছে। এটা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এক চা চামচ মধুতে মাত্র ২০ ক্যালরি থাকে। চা, কফিতে চিনি না মিশিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
খেজুরঃ খেজুরে পটাশিয়াম, কপার, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি ৬ থাকে। এটি চিনির চাইতেও মিষ্টি স্বাদের হয়। রক্তে খারাপ কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমাতে খেজুরের জুড়ি নেই।
ফলের জ্যামঃ মিষ্টি স্বাদের ফল দিয়ে বানানো জ্যাম শরীরের জন্য উপকারী। জাম, আপেল, নাশপাতি, আঙ্গুর দিয়ে বানানো জ্যাম চিনির পরিবর্তে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
আখের রসঃ আখের রস প্রকৃতির আশ্চর্য দান। এই পানীয়টি শরীরে দারুণভাবে শক্তি জোগায়। পাশাপাশি এটি ত্বকের টোনার হিসেবে, পরিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে এবং নানা ধরনের রোগ সারাতে সাহায্য করে। কিন্তু অন্যসব পানীয় পান করলেও আমরা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আখের রস রাখি না। রাস্তাঘাটে যেসব আখের রস পাওয়া যায় সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়াও এর একটি কারণ।
কাঠালঃ বর্তমানে কাঠাল সারাবছরই পাওয়া যায়। চিনির বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন খাবারে কাঠালের কোষ ব্যবহার করা যায়। কাঠালের বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবারও প্রস্তুত করা যায়। যেগুলোতে চিনির বদলে কাঠালের কোষ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কলাঃ কলা একটি প্রাকৃতিক খাবার। কলা চিনির মতই মিষ্টি জাতীয় একটি ফল। অনেকেই দুধ ভাত আর চিনি মাখিয়ে খেতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে চিনির বিকল্প হিসেবে কলা যোগ করা যেতে পারে।
স্টেভিয়াঃ এটি এক ধরনের ভেষজ পাতা। গবেষণায় দেখা গেছে, এর অনেকগুলো পাতা একসঙ্গে নিলে এটি খেতে চিনির চাইতেও মিষ্টি লাগে। এটি দাঁতের ক্ষয়রোগ রোধ করে। স্কিন কেয়ার হিসেবে কাজ করে, তাই ত্বকের কোমলতা এবং লাবণ্য বৃদ্ধি করে। স্বাদ বৃদ্ধিকারক হিসেবেও স্টেভিয়ার অনেক চাহিদা রয়েছে। চা, কফি, মিষ্টি, দই, বেকারি ফুড, আইসক্রিম, কোমল পানীয়সহ এ জাতীয় নানা খাদ্যপণ্য তৈরিতে স্টেভিয়া ব্যবহার করা যায়। এর ভেষজ উপাদান মানুষের দেহে কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।