আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:৫৯
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:-শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় পদ্মানদীর ভাঙ্গনে বড়কান্দি ও পালেরচর ইউনিয়নে প্রায় দুইশতাধিক পরিবারের বাড়ি-ঘর সহ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো। তারা বাপ-দাদার ভিটে মাটি ফেলে কোথাও দুরবর্তী জায়গায় উচু জমিতে ঘর বানিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছে। তারা এখন কর্মহীনও হয়ে পড়েছে। তাদের পেটে খুবই অভাব। যে লোকটি কালকে ছিল বাদশা; আজকে সে ভিখারী। বিশেষ করে জুলাই মাস শুরুর সাথে সাথে পদ্মানদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বড়কান্দি ইউনিয়নের রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি, খলিফা কান্দি ও দুর্গারহাট গ্রামের প্রায় দুইশতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি, ফসলী জমি সহ কিছু মসজিদ, মাদ্রাসা পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বিকে মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও দূর্গারহাট বাজার হুমকির মুখে রয়েছে। পদ্মার ভাঙ্গনের শো শো শব্দে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় এলাকাবাসীর। সর্বদা আতংকে থাকে ঐ এলাকার মানুষ; কোন সময় যেন তাদের মাথা গোজার ঠাই বাড়ি টুকু ভেঙ্গে নিয়ে যায় নদী।
এদিকে, পালেরচর ইউনিয়নের কাথুরিয়া মোহন ফকির কান্দি, ফরাজি কান্দি, দেওয়ান কান্দি, হুকুম আলী সরদার কান্দি, রাঢ়ি কান্দি এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানেও প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে শতাধিক বাড়ি ঘর ও ফসলী জমি। সেখানে বাড়ির লোকজন করোনায় লকডাউন থাকার কারণে কোন কাজ কর্ম করতে পারছেনা। অনেকদিন যাবৎ তারা বেকার হয়ে ঘরে বসে আছে। হাতে কোন টাকা পয়সা নেই। তাই তারা ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কোন টাকা পয়সা যোগাড় করতে পারছেনা। তারা সুদে টাকা এনে ঘর ভাঙ্গতে মিস্ত্রির পারিশ্রমিক দিচ্ছে। তীব্র ভাঙ্গনের মুখে নদীর পাড়ের লোকজন অসহায় হয়ে পড়েছে। কোথায় যাবে কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা।
এব্যাপারে বড়কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষার শুরুতে বড়কান্দি ইউনিয়নে ব্যাপক ভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। মানুষ বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিতেও সময় পাচ্ছেনা। তাই তাদের জন্য জরুরী ভিত্তিত্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। ইতোমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি পদ্মানদী গ্রাস করে নিয়ে গেছে। মানুষের মাথাগোজার ঠাই নেই। আমি পরিষদের পক্ষ থেকে দুইশত পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি করে জিআর চাল বিতরণ করেছি। এছাড়াও আমার সাধ্যমতো তাদের সহায়তা করে যাচ্ছি।
এব্যাপারে পালেরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা জুলহাস (মেম্বার) বলেন, পালেরচর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার পদ্মানদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে আরও শতাধিক পরিবার। জরুরী ভিত্তিত্বে ব্যবস্থা না নিয়ে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে ঐসব এলাকা।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |