- প্রচ্ছদ
-
- প্রবাসের সংবাদ
- জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিশেহারা জাতীকে আলোর পথ দেখিয়ে ছিলেন- জিল্লুর রহমান
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিশেহারা জাতীকে আলোর পথ দেখিয়ে ছিলেন- জিল্লুর রহমান
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ
বিডি দিনকাল ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করলে এদেশে গণতন্ত্র মুক্ত হবে না। কারণ গণতন্ত্র এবং বেগম খালেদা জিয়া অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমেরিকা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান আরো বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি সৃষ্টি করে ১৯ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্মান জনক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিশেহারা জাতীকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন। একদলীয় শাসন থেকে জনগণকে মুক্তি দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সল্প সময়ের শাসনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন। আইনের শাসন,যোগ্যতার সাথে প্রশাসন ও নিষ্ঠার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করে সারা পৃথিবীর কাছে শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন।জিয়াউর রহমান ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। তিনি দেশের ক্রান্তিকালে বার বার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দেশকে যেমন স্বাধীন করেছিলেন। আবার ১৯৭৫ সালে দেশের অবস্থা যখন ভয়াবহ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যখন হুমকির মুখে পড়েছিল ঠিক তখন সিপাহি-জনতা তাঁকে আবার দেশের ক্ষমতায় আসীন করেন। তিনি একদলীয় বাকশাল বিলুপ্ত করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে একটি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
জিল্লুর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সেই ব্যক্তি, সেই নেত্রী, যে সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। গৃহবধূ ছিলেন ঘরে বাস করতেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনী ছিলেন। জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর যখন বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য কাঁদছিল, সেই সময় বেগম জিয়া বেরিয়ে এসেছেন, রাজপথে নেমেছেন। মানুষকে সাথে নিয়ে দীর্ঘ ৯টা বছর লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। স্বৈরাচারকে পরাজিত করে তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।দেশজুড়ে আবারো শুরু হয়েছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন, মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। সেই আন্দোলনে অচিরেই গণতন্ত্রের বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ
সোমবার ২৬ শে ডিসেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটেস জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আমেরিকা শাখার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্বা দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্বা দলের সহসভাপতি আলহাজ্ব বাবর উদ্দিনের সভ্পতিত্বে এবং অসুস্হ্য থাকায় সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্বা মোহাম্মদ সুরুজ্জামানের অনুপস্হিতিতে সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এবং মুক্তিযুদ্বের প্রজন্ম নেতা আব্দুল বাতেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি যুক্তরাষ্ট্রের আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু,প্রধান বক্তা ছিলেন মুলধারার রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সিনিওর সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি সাবেক সাধারন সম্পাদক কামাল পাশা বাবুল,সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুস সবুর, সাবেক কোষাধক্ষ্য জসীম উদ্দীন ভুইয়া, বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন সবুজ,যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের আহবায়ক ইন্জিনিয়ার সায়েম। এ ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাবেক সাধারন সম্পাদক কাওসার আহমেদ, বর্তমান সদস্য সচীব জাহাংগীর সোহরাওয়ার্দী, সাবেক ছাত্রনেতা শোয়েব আহমেদ,কোকো পরিষদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রাজু, বীর মুক্তিযোদ্বা ও শ্রমিক দলের সিনিওর সহ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ,বীর মুক্তিযোদ্বা ও শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্বা মীর মশিউর রহমান,বীর মুক্তিযোদ্বা সুলতান খান,যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিওর সহ সভাপতি তরিকুল্লাহ দীপু, আলী মিলন, বাদল মীর্জা, ছাত্রদল নেতা ফরিদ খোন্দকার, রিপন মিয়া,হাসান আহমেদ, মীর্যা আজম প্রমুখ। এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Please follow and like us:
20 20