আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৫৩
আবু বকর সিদ্দিক,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ -জয়পুরহাটে আবার কিডনি বেচাকেনা শুরু হয়েছে। কিডনি বেচাকেনা দালাল চক্রের প্রধানসহ ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ। শনিবার দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেড রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কালাই উপজেলার থল গ্রামের মৃত সিরাজের ছেলে সাহারুল (৩৮), উলিপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ হোসেন চপল (৩১), জয়পুর বহুতি গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে মোশাররফ হোসেন (৩৫), মৃত মোবারকের ছেলে মোকাররম (৫৪), ভেরেন্ডি গ্রামের জাহান আলমের ছেলে শাহারুল আলম (৩৫), দুর্গাপুর গ্রামের মৃত বছির উদ্দীন ফকিরের ছেলে সাইদুল ফকির (৪৫) ও সদর উপজেলার হানাইল বম্বু গ্রামের আঃ সাত্তারের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৪০)।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে কালাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিরীহ, ঋণগ্রস্ত ও দরিদ্র মানুষদের ফুসলিয়ে তাদের কিডনি বিক্রি করে আসছিলেন। এই চক্রের কয়েকজন নিজেও কিডনী বিক্রি করেছিল, পরে নিজেরাই চক্রের সাথে জড়িয়ে যায়। গরীব মানুষদের প্রথমে মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন দিয়ে ঢাকা ও ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কোন হাসপাতালে তারা কিডনী অপসারণ করায়। পরে ভুক্তোভুগির সাথে চুক্তির অর্ধেক টাকাও না দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তারা। এই চক্রকে ধরার জন্য অনেক দিন থেকে মাঠে ছিল পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। কয়েকদিন আগে কালাই উপজেলা থেকে কয়েকজন লোক নিখোঁজ হয়। এরপর জানা যায় ওই এলাকার চক্রের প্রধান কাওছার ও সাত্তারের মাধ্যমে তারা দুবাই ও ভারতে অবস্থান করছে। এমন অভিযোগে গত রাতে অভিযান চালিয়ে কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের বহুতি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ভেরেন্ডী, বহুতি, জয়পুর বহুতি, বোড়াই,নওয়ানা, উলিপুর সহ অন্তত ১০/১২ গ্রামের ২ শতাধিক অভাবী মানুষ এনজিও ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে দিশাহারা হয়ে দায় থেকে মুক্তি পেতে দালাল চক্রের মাধ্যমে নিজের শরীরের কিডনী বিক্রি করেছে । দালালদের মাধ্যমে কিডনী বিক্রি করার চাঞ্চল্যকর খবর গত ১২ বছর আগে এই মাসে মাছরাঙা টেলিভিশনসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। আর তখনই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ প্রশাসন। ২০১১ সালের ২৮ আগষ্ট কালাই থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আব্দুস সাত্তার, আব্দুল করিম ও গোলাম মোস্তফা নামে ৩ কিডনী চক্রের মূল হোতাসহ ১০ জনকে। দেয়া হয় তাদের বিরুদ্ধে মামলা। যাদের ৬ জনই দেশের স্বনামধন্য হাসপাতালের কতিপয় নামকরা চিকিৎসকদের এ ঘটনায় জড়িত করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেয়। কিন্তু ঘটনার ২ বছর পর মামলার কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ায় নতুন করে শুরু হয়েছে কিডনী কেনা-বেচা কার্যক্রম । গত কয়েক মাসে জেলার পাঁচবিেিতএই তৎপরতা আবার বৃদ্ধি পেয়েছ্ েএপর্যন্ত ১৩ টি মামলা হয়েছে ,এখন মামলাগুলো বিচার প্রক্রিয়াধন\
অভাবী মানুষই তাদের কিডনী বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে । অতীতে একই পরিবারের ৪ জন তাদের কিডনী বিক্রি করেছেন অভাবের তাড়নায় । দালাল চক্রের জামিনে মুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী। দালালরা আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে পুনরায় কিডনী ব্যবসার দিকে ঝুকে পড়ছে ।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |