আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:৩৫
আবুবকর সিদ্দিক,জয়পুরহাট প্রতিনিধি :- রাজশাহী বিভাগের ৮ টি জেলার মধ্যে ছোট জেলা জয়পুরহাট, সীমান্ত ঘেষা এই বিভাগের সর্ব শেষ জেলাটি হলো জয়পুরহাট। নলকুপের পানি ও কৃষি জমির অপচয় কমানো এবং সেচ এলাকা বৃদ্ধিরজন্য সেচ কাজে ব্যবহার্য পানি বিতরন নির্মান ,কম খরচে সেচ সুবিধা প্রদানের জন্য সেচ যন্ত্র বিদ্যুতায়ন।সেচের গভীর নলকুপ হতে আর্সেনিক যুক্ত খাবার পানি সরবরাহ করা,শস্য বহুমুথী করনের জন্য ফসলের উৎপাদন নিবিড়তা বৃদ্ধি কল্পে উন্নত জাতের বীজ বিতরন,ভু –পরিস্থ পানিবৃদ্ধিও জন্য খাল,বাড়ী ,ও পুকুর খনন এবং সেচ কাজে ব্যাবহার করার লক্ষে বরেন্দ্র প্রকল্প সরকার চালু করেছিল। কিন্তু দুখের বিষয় এগুলো কিছুই চালু করেনি জয়পুরহাট জেলায়।দীর্ঘ এক যুগের বেশী সময় এই জেলায় বরেন্দ্র প্রকল্প চালু হলেও জয়পুহাটে বরেন্দ্র বহুমুখী কতৃপক্ষের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা ও গাফলতির ফলে ফলে কৃষকরা শত শত একর জমিতে পানি দিতে না পারায় প্রকল্পটি ভবিষৎ এখন অন্ধকার।
সবচেয়ে সুবিধা হলো এই জেলায় বরেন্দ্র কতৃপক্ষকে খুব একটা গভীর নলকুপ বসাতে হয়নি। কৃষকরা যারা দীর্ঘদিন থেকে গভীর নলকুপ নিজ খরচায় ক্রয় কওে নিজেই বসিয়ে নিয়েছিল। এবং বিএডিসির কাছে থেকে কৃষক সমিতির মাধ্যমে বসিয়ে নিয়েছিল সেই নলকুপগলো স্বেচ্ছায় মালিকানা ছেড়ে দিয়ে বরেন্দ্র কতৃপক্ষের নিকট হ¯াÍন্তর করে বিশেষ শর্তে। ডিপের যিনি মালিক তিনি থাকবেন অপারেটর হিসেবে, আর প্রতি ঘন্টা ১১০ টাকা প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে কৃষকরা পানি পাবে। অপারেটর সন্মানী হিসেবে পাবে প্রতি ঘন্টা ১০ টাকা হিসেবে। যাবতীয় খরচ করবে বরেন্দ্র কতৃপক্ষ। নলকুপের ঘড় মেরামত, মিটার পুড়ে গেলে মিটার , ও ট্রান্সফরমার উঠা নামা সব , এমনকি বিদুৎ বীল পেইড করবে বরেন্দ্র কতৃপক্ষ।
এবং নলকুপের স্কীম সম্প্রসারন, সেচ কাজের সুবিদার্থে নালা সম্প্রসারন , মটর পুড়ে গেলে বরেন্দ্র কতৃপক্ষকেই বহন করতে হবে সব খরচ।
জয়পুরহাট জেলায় বরেন্দ্র কতৃপক্ষের ৩৫৯ টি মাত্র গভীর নলকুপ রয়েছে । আর সেচের আওতায় ২১ হাজার ৩৬০ একর জমি তে পানি সরবরাহ করছ্ ে। কিন্তু বিধি বাম জয়পুরহাটের কৃষকদেও ।প্রথম পর্য্যায়ে ৬০ একর জমি যদি স্কিম এলাকায় থাকে তাহলে বরেন্দ্র কতৃপক্ষ তাকে সব সুযোগ দিবে বলে অংগিকার কওে গভীর নলকুপগুলো কৃষকের নিকট থেকে নিয়ে নেয়।
এখন কৃষকরা নলকুপের মালিকও নয় আবার তাদেও সব কিছুই নিজেই ক্রয় করে লাগাতে হয়। চক ভারুনিয়ার কৃষক ও অপরেটার সাবেক ইউপি সদস্য জানালেন তার ক্ষোভ ও দুখের কথা। নিজের ধনে নিজেই যেনে চোর। তিনি বলেন আমি একটি মিটার নেয়ার জন্য অনেক দিন থেকে ধর্না দিয়ে শেষে ৫০০০ হাজার টাকা সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাককে দিয়ে মিটারটি নিয়েিেছ। আমার নলকুপের দরজা আমি লাগিয়েছিলাম সেই দরজা এখন ভেংগেছে সেটাও মেরামত কওে দেয়নি। এমনকি ট্রান্সফরমার উঠা নামা ও বিল আমাকেই দিতে হয়েছে। আমাকে যদি আর ৫০০ ফিট স্কিম বাড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে আমার গোটা এলাকায় আমি কৃষককে অল্পমুল্যে পানি সরবরাহ করতে পারব।
দোগাছির রহিম আলী অপরেটার জানান অফিস থেকে কোন প্রকার মেগনেট্রিক,সিওমো,পাম্প ,উঠানামা খরচ আমাদের দেয়না। আমাদেরকেই সব খরচ করতে হয়্ ্তাহলে বরেন্দ্রকে দিয়ে আমাদেও কিলাব হলো? আমরা যারা অপারেটার আছি অফিসে গেলে এসও মোস্তাক নিরবাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম জানান আমার উত্তর পেচুলিয়া গ্রামে একটি গভীর নলকুপ ২০০৯ সাল থেকে বরেন্দ্র কতৃপক্ষ চালায়। আজ অবধি পাইপ লাইন হয়নি।আমি পাইপের কথা সহকারী প্রকৌশলী কে বললে তিনি বললেন খাজনার চেয়ে বাজনা বেশী।১৫০০০ হাজার টাকা দিলে আমি কাজ শুরু করব। আমি ২৫০০০ হাজার টাকা দিয়েছি ,পরবর্তী কালে পাইপ নালার কাজ শুরু করেন।সেই পাইপ নালাতে ঠিকমত রড দেয়নাই সীমেন্টও সেই রকম , পানি ছেড়ে দিলে ২৫ টি ছিদ্র বের হয়। আমি সেগুলো নিজেই সেরে নেই। অল্প দুরে একটি শ্যালো মেশিন আছে আমি ঐখানে নালা দিতে গেলে ওএসও বাধাদেয়। পওে জানতে পারলাম শ্যালো মালিকের কছে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। খাস চিরুলার অপারেটর আজিজুল হক জানান আমাকে ৯৮ টি পাইপ দিয়েছে আমার ডিপে, কিন্তু আউট লেটের কাজ শুরু করেনি।
উপ সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাক আমার কাছে ১৫০০০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী কওে আমি টাকা না দেয়ায় এখন পর্যন্ত আমার কাজটি হয়নি।
এসব দুণিতীর জন্য রাজশাহী বরেন্দ্রবহুমুখী নির্বহী পরিচালক বরাবর ভুক্ত ভোগীরা গত ১৬-০২-২২ তারিখে ,বিচার দাবী কওে অভিযোগ দায়ের করেছে জানালেন অপরেটররা। বরেন্দ্রর কাজ প্রকৌশলীর বন্ধু বান্বব দেও মাঝে কোটি কোটি টাকার কাজ প্রসেসের মাধ্যমে পাইয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার ও অভিযোগ আছে নিরর্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি নয়া শতাব্দীকে জানালেন ঘটনা সত্য নয়। কৃষককেই ৫০০০ হাজার টাকা দিয়ে অফিস থেকে মিটার নিতে হবে। ট্রান্স ফরমার উঠানামা বীল কৃষককেই দিতে হবে। আমরা শুধু বিদুৎ বীল পরিশোধ করব। স্কীম বাড়ানোর জন্য ৩০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়কে তিনি অস্বিীকার করেন। এবং টেন্ডার তার নিজ বন্ধুকে পাইয়ে দিয়ে কোটি টাকা ইনকামের কথা ওি তিনি অস্বিীকার করেন\
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |