আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:১৬
টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ.কে.এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে বোর্ডের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছেন। তাদের ম্যানেজ করেই চলতো এই সার্টিফিকেট জালিয়াতির কাজ। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, কয়েক দিন আগে পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগারি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পায় ডিবি। এই সার্টিফিকেট জাল নয়। সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়, শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাতেন। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতেন। তারপর রেজাল্ট অনুযায়ী টাকা নিতেন। তবে ৩৫ হাজারের কমে কোনো সার্টিফিকেট বিক্রি করতেন না। এরপর সার্টিফিকেট বানানোর পরে সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। এসব সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছে, অনেকে এদেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, আবার অনেকে চাকরিও করছে।
এভাবে দীর্ঘদিনে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছে। ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ.কে.এম শামসুজ্জামানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন। শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ বের করার বিষয়ে শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন, বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করতেন তিনি। সকলের সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করতেন তিনি। তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানতেন। সকলেই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে অপরাধ গোপন রাখতেন। গোয়েন্দা প্রধান বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়ে অভিযোগ উঠলে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেককিছু বেড়িয়ে আসছে। ফলে সেটাও ধামাচাপা দেয়া হয়। নিজেরা না বোঝার দোহাই দিয়ে অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও বিষয়টি টের পেয়ে চুপ হয়ে যায়। ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেছেন, শামসুজ্জামান আমাদের বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সকলেই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাইকে ম্যানেজ করে আসল সার্টিফিকেট বানিয়ে সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট কোন কোন প্রতিষ্ঠান কিনেছেন সেগুলো জানার চেষ্টা চলছে। আমরা সবকিছুই তদন্ত করছি। তার কাছ থেকে অনেক সার্টিফিকেটও জব্দ করা হয়েছে। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোনো রাঘব বোয়াল জড়িত থাকার তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |