আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:৪৫
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:- টাঙ্গাইলে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে হেরে ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিনের তৈরি একটি মসজিদ ভেঙে নিয়ে গেছেন পরাজিত চেয়ারম্যান। টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম এমন কাজ করেছেন। গত ১১ নভেম্বর ওই ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া (নৌকা প্রতীক)। নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম মুক্তার নিকট পরাজিত হন। গোলাম কিবরিয়া সখিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিনের ছেলে। নির্বাচনে হেরে তাঁর মসজিদ ভেঙে নেওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নতুন চেয়ারম্যান এখনো শপথ গ্রহণ করেননি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে উপজেলার বহুরিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গোলাম কিবরিয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের দিকে ওই ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে পারিবারিক অর্থায়নে টিন দিয়ে একটি মসজিদ তৈরি করেন চেয়ারম্যান। ১১ নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলমের কাছে হেরে যান। হেরে যাওয়ার ক্ষোভে গত মঙ্গলবার তিনি টিনের তৈরি মসজিদ ভেঙে ট্রাকে করে নিয়ে যান বলে জানান গ্রামবাসী। মসজিদের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদটি ভেঙে নেওয়ার ঘটনায় ইউনিয়নবাসীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি কাজটি ভালো করেননি। ওই স্থানে আমরা গ্রামবাসী মিলে একটি পাকা মসজিদ স্থাপন করব।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমার খালাতো ভাই ইব্রাহিম হোসেনের ব্যক্তিগত টাকায় ওই মসজিদ টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে ওই স্থানে কেউ নামাজ আদায় করছেন না। খালাতো ভাইয়ের অনুমতি নিয়েই মসজিদটি সরিয়ে বেলতলী এলাকায় নেওয়া হয়েছে।’ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরে আলম বলেন, ‘আমি এখনো শপথ নিইনি। ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের ওয়াকফ করা জমিতে যেহেতু মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল, অতএব ওই মসজিদ ভেঙে নেওয়ার অধিকার ওই চেয়ারম্যানের নেই। আমরা ওই স্থানে একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করব।’
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |