আজ বৃহস্পতিবার | ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৯ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:৩১
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-টাঙ্গাইলের গোপালপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফনের ছয় দিন পর এ ঘটনায় প্রেমিকসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। নিহত স্কুলছাত্রী গোপালপুর উপজেলার বাসিন্দা। এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার বেঙ্গুলা গ্রামের নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (২৮), ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিনজারপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহমেদ হৃদয় (২৩), একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান টিটু (২৮) ও মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৭)।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত কৃষ্ণ চন্দ্র দাস প্রতারণা করে ব্যবসায়ী সানি আহমেদ পরিচয়ে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কের পর গত ২ আগস্ট দেখা করার কথা বলে স্কুলছাত্রীকে স্থানীয় বাজারে ডেকে নেয়। পরে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার কথা বলে বন্ধু মিজানুর রহমানের ধনবাড়ী উপজেলার চাঁলাষ মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর স্কুলছাত্রী বুঝতে পারে সানি আহমেদ মুসলিম নয়। তখন স্কুলছাত্রী পালানোর চেষ্টা করলে বাসায় আটকে রাখে। সেখানে কৃষ্ণ চন্দ্র তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আশঙ্কায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীকে হত্যা করে কৃষ্ণ চন্দ্র দাস।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘হত্যার পর সৌরভ, মেহেদী ও মিজানুরকে সঙ্গে নিয়ে লাশ বস্তাবন্দি করে কৃষ্ণ চন্দ্র। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে লোকজন থাকায় নদীতে লাশ ফেলতে ব্যর্থ হয় তারা। একপর্যায়ে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের পাশে লাশ ফেলে রাখে। পরদিন দুপুরে ভূঞাপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ভূঞাপুরের একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়। গত ৫ আগস্ট স্কুলছাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়।’
এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানায় মামলা হলে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পিবিআই মূল আসামিসহ চার জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘নিখোঁজের তিন দিন পর পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারি মেয়েকে হত্যা হয়েছে। তার লাশটিও আমরা পাইনি। ছবি দেখে শনাক্ত করেছি। মেয়ে হত্যায় জড়িত সব আসামির ফাঁসি চাই আমি।’
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:08 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |