আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:১৬
সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শেষে বাণিজ্য সচিব হয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে আসা সেলিম উদ্দিন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর আস্থাভাজন ছিলেন সেলিম উদ্দিন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকাকালে তাকে পছন্দ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিয়ে আসা হয়। বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলায় হওয়ায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সুপারিশে সচিব হন তিনি। কিন্তু আগস্টের পট পরিবর্তনের পরেও একই পদে বহাল তবিয়তে আছেন সেলিম উদ্দিন। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়, তবে তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি তিনি। এ কারণে ফ্যাসিস্ট মন্ত্রীদের কাছের লোক হওয়ায় বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সচিব থাকাকালে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) বিভিন্ন টেন্ডারে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেলিম উদ্দিন পর্দার আড়াল থেকে আগের সরকারের সিন্ডিকেট চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলেছন। ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন শীর্ষ গ্রুপের সঙ্গে আতাতের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ১৮ই এপ্রিল সয়াবিন তেল ও পাম তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছিল। বিশ্ববাজারে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের মূল্য বেড়েছে। এর মধ্যে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের মূল্য ১৪.৮ শতাংশ এবং পাম তেলের মূল্য ১৮.৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। অথচ বৈঠকের প্রস্তাবে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য না বাড়িয়ে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা ও স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছিল।
নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালে আনতে ইতিমধ্যেই ৭টি অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ককর তুলে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অথচ এর সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। বরং সরকারের দেয়া এসব সুবিধা সিন্ডিকেটের পকেটে চলে যাচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আফসোস করে বলেছেন, অনেক কর ও শুল্ক কমিয়েছি। তারপরও দাম কমেনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দাম বাড়ার পেছনে আওয়ামী লীগের নেতারা এখনো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারাই এখনো কারসাজিতে সক্রিয়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এখনো সেই সিন্ডিকেটের হদিস খুঁজে বের করতে পারেনি। এ জন্য বাণিজ্য সচিব সেলিম উদ্দিনকে দায়ি করছেন অনেকেই।
বর্তমানে বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু বাণিজ্য সচিবের গাফলতির কারণে মনিটরিংয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই বলে মনে করছেন ক্রেতারা। কিছু কোম্পানিকে সুবিধা দিতেই চুপচাপ তিনি। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কর্মরত পতিত আওয়ামী সরকারের নিয়োগকৃত কর্মকর্তারাই বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
গত ১৫ই অক্টোবর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছিলেন, সিন্ডিকেট শনাক্ত এবং ভেঙে দেয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু খোদ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিন্ডিকেট রক্ষায় জড়িত। ফলে কোনো সুফল আসছে না।
সিন্ডিকেট দমনে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আছে। এই সংস্থাটিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে নিষ্ক্রয় রয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া আওয়ামী সরকারের অনুগত কর্মকর্তাদের এই প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ থাকায় তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেনি। সূত্র:মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |