আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৫১
এম, এ কাশেম , চট্টগ্রাম : এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে ১০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন প্রায় ৩২৩ কোটি টাকায় ক্রয় করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ৮ অক্টোবর এই নতুন ইঞ্জিন বসানোর প্রথম যাত্রাতেই ‘চট্টগ্রাম মেইল’ ট্রেন ঢাকায় যাওয়ার পথে তেজগাঁও স্টেশনে বিকল হয়ে পড়ে।
এভাবে বছর বছর রেলওয়ে পূর্বা লে ট্রেনের যাত্রাপথে দিন দিন বাড়ছে লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) বিকলের ঘটনা। গত তিন মাসে পূর্বা লের ৭০টি ট্রেনের ইঞ্জিন চলন্ত অবস্থায় বিকল হয়ে যায়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ও ঢাকামুখি ট্রেনের ইঞ্জিন ২৪ বার বিকল হয়েছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। যেখানে যানজট ও সঠিক সময়ে পৌঁছাতে যাত্রীরা ট্রেনকে বেছে নিচ্ছেন সেখানে ইঞ্জিন বিকলের কারণে যাত্রাপথে হচ্ছে সময় নষ্ট এবং নানাবিধ: দুর্ভোগ।
ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পেছনে প্রয়োজনীয় তদারকির অভাব রয়েছে বলে জানান্ দিলেন রেল সংশ্লিষ্টরা। এর পেছনে যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের গাফেলতি ও দেখছেন অনেকে।
গত শনিবার (৬ জুলাই) রেলওয়ে পূর্বা ল দপ্তর থেকে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ার তথ্য পেয়েছেন সাংবাদিকরা।
সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়েছে ২৮ বার। এর মধ্যে ১ ঘণ্টার ও বেশি সময় বিকল ছিলো ২৩ বার, ১ ঘণ্টার কম ৫ বার। এর মধ্যে চট্টগ্রাম রুটে ৭ বার ট্রেন বিকল হয়েছে। ট্রেনগুলোর মধ্যে বিজয় এক্সপ্রেস ১ বার (ইঞ্জিন নম্বর-২৯১৯), কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ১ বার (২৭০৯), উদয়ন এক্সপ্রেস ১ বার (২৯২৭), ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ১ বার (২৭১৯), মালবাহী ২ বার (২৬১৩ এবং ২৬০৪) ও তেলবাহী ১ বার (৩০১০)।
হিসেব মতে, জুন মাসে ইঞ্জিন বিকল হয়েছে ২৯ বার। যার মধ্যে ১ ঘণ্টার ও বেশি সময় ধরে বিকল ছিলো ১৯ বার, ১ ঘণ্টার কম ছিলো ১০ বার। এর মধ্যে চট্টগ্রাম রুটের ট্রেন বিকল হয়েছে ১১ বার। ট্রেনগুলোর মধ্যে চট্টলা এক্সপ্রেস ৩ বার (ইঞ্জিন নম্বর-২৯১৩, ২৬১০ এবং ২৬০৩), তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ১ বার (৩০১১), পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ১ বার (২৯২৬), কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ১ বার (২৬০৯), মহানগর এক্সপ্রেস ১ বার (২৬০৩), মেঘনা এক্সপ্রেস ১ বার (২৯২৪), দোহাজারী লোকাল ১ বার (এমসি-১০২৮৩), মালবাহী ট্রেন ১ বার (২৬০৩) ও কন্টেইনারবাহী ১ বার (২০২২)।
এছাড়া জুলাই মাসে ১৩ বার চলতি পথে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। এর মধ্যে ১২ বার ট্রেনের ইঞ্জিন-ই বিকল ছিলো ১ ঘণ্টার ও বেশি সময় ধরে। ১ বার বিকল ছিলো এক ঘণ্টার কম সময়। এরমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন বিকল হয়েছে ৬ বার। ট্রেনগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে বিজয় এক্সপ্রেস ১ বার (ইঞ্জিন নম্বর-২৯২৪), সাগরিকা এক্সপ্রেস ২ বার (৩০০৫ এবং ৩০০২) ও নাজিরহাট-দোহাজারী লোকাল ৩ বার (৩০০৫, ২৩১৭ এবং ২৩২৪) ।
এসব বিষয় তদারকির দায়িত্ব যান্ত্রিক প্রকৌশলের। নিয়মিত তদারকি না হওয়ার কারণে প্রায় সময় এ ধরনের ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু, এ দপ্তরের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন প্রায় সময় অফিসে থাকেন না বলে জানা গেছে। অফিসের চেয়ে তিনি সামাজিক সংগঠনে বেশি সময় দেন। তিনি রোটারী ক্লাব উওরা ঢাকার সভাপতি, কুমিল্লার বৃহত্তর সমিতির সভাপতি, আকবরশাহ এমপ্লিয়জ কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি, রেলওয়ে জোনাল স্পোর্টসের সভাপতি পদে ও আছেন। এ ছাড়া তিনি রেলওয়েমেন্স স্টোরসের সাবেক পরিচালক ছিলেন।
এক-ই সাথে তার বিরুদ্ধে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ রাজনীতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে রেল শ্রমিক লীগের একাংশের কাছ থেকে।
তবে, ওই যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২৩০০, ২০২২, ২৪০০, ২৮০০ সিরিজের ইঞ্জিনগুলো আমার জানা মতে ত্রæটিযুক্ত। স্পেয়ার পার্টস না থাকায় সমস্যা হয়।’
ত্রæটিযুক্ত ইঞ্জিন দিয়ে কি ভাবে যাত্রীসেবা দেয়া হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইঞ্জিন বিকলের তথ্য দেখে জানাতে পারবো। তবে, এ ক্ষেত্রে তদারকির কোনো অভাব নেই বলে তিনি দাবি করেন।’
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |