আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৫৬
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। গত ২৭শে জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন। দুদকের আইনজীবীর মতে, এ মামলায় সাজা হওয়ার জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে দুদক। তবে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের দাবি, এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে নজিরবিহীন দ্রুততম সময়ে। রাতের অন্ধকারে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এমনকি এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন তাদের আইনজীবীরা যাতে এজলাসে থাকতে না পারে পিপি’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে বের করে দিয়েছে। তবে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের অভিযোগ অসত্য বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু। তিনি মানবজমিনকে বলেন, যথাযথ বিধিবিধান অনুসরণ করেই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ দুপুরে এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত। এজলাসে তাদের আইনজীবীদের থাকতে না দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মামলার শুনানিতে তাদের অনেক আইনজীবীই পর্যবেক্ষক হিসেবে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে আইনি লড়াই করতে পারেননি। আমরা এই মামলার অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছি। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।
গত ২৪শে জুলাই আদালতে সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। গত ২৭শে জুলাই এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা ইউনিটের সভাপতি ও তারেক-জোবাইদার পক্ষে আইনি লড়াই করতে আবেদন জমা দেয়া আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার মানবজমিনকে বলেন, এ মামলায় মোট ৫৭ জন সাক্ষী ছিল। মাত্র ১৬ কার্য দিবসে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। যা আদালত অঙ্গনে নজিরবিহীন। দ্রুত এই মামলা শেষ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ ছিল। দুইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে রাত ৭টা পর্যন্ত। কোর্ট অফিসার হিসেবে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের থাকার আইনগত অধিকার রয়েছে। কিন্তু এই মামলায় আমাদের আইনজীবীদের পিপি’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে বের করে দিয়েছে।
অপরদিকে, দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে মামলাটি তদন্ত করেছে। পর্যালোচনা করে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ১৮টা এক্সিবিটের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা তার অবৈধ উপার্জন এবং ৫৮ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। আদালত তাদেরকে সর্বোচ্চ ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিতে পারবেন। এ পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, আমরা ৪২ জন সাক্ষী দিয়েছি। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আমরা এই অপরাধটা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করছি।
২০০৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান, জোবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। চলতি বছরের গত ১৩ই এপ্রিল তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।সূত্র: মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |