এস.এম.মনির হোসেন জীবন- বহুল কাঙ্খিত তুরাগ থানা আওয়ামী লীগ ও ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন আজ রোববার (২৪ জুলাই)- ২০২২ বিকেল ৩ টায় তুরাগের কামার পাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্টিত হবে। ইতিমধ্যে সম্মেলনকে ঘিরে সকল ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া সর্বত্র এলাকা জুড়ে নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে থানা আওয়ামীলীগেরর মধ্যে চলছে নতুন হিসাব। তুরাগ থানা আওয়ামীলীগে সভাপতি পদে আসছে নতুন মূখ। কে হতে যাচ্ছে আগামী দিনের সভাপতি। এ নিয়ে স্থানীয় নেতা- কর্মীদের মাঝে চলছে আলোচনা ও পর্যালোচনা। একাধিক প্রার্থী আলোচনায় থাকলেও যোগ্যতা এবং কর্মী ও জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন ২ থেকে ৩ জন। তাদের মধ্যে অন্যতম শনিবার রাতে কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এবং তুরাগের জনপ্রিয় এই নেতার সাথে আওয়ামীলীগের দীর্ঘ দিনের রাজনীতে তার ত্যাগ, নেতাকর্মীদের ভালোবাসা, ৫৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী জনপ্রিয় হয়ে ওঠার বিষয়ে একান্ত খোলামেলা আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এবিষয়ে তুরাগের একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, আলহাজ্ব মো, নাজিম উদ্দিন জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপি- জামাত বিরোধী আন্দোলনসহ এক এগারোর সংকট মূহুর্তেও তিনি আন্দোলনে ছিলেন অগ্রদূত। তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি, জালিয়াতি- চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যুতা, দখল- বেদখল, সন্তাসী, সংগঠন বা শৃঙ্খলা বিরোধী কোন অভিযোগ নেই। তিনি তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও জনসাধারণের জনপ্রিয় নেতা। আলহাজ্ব মো, নাজির উদ্দিন এই প্রতিবেদককে জানান, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সে ও তার আপন ছোট দুই ভাই জসিম উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন ছাত্রলীগে স্বক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সংগঠনকে কর্মী বান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সব ধরনের দুর্নীতি ও সংগঠন শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড থেকে নিজে যেমন দূরে ছিলাম কর্মীদেরকেও একই পথে হাঁটার উপদেশ দিয়েছি। তাই তুরাগে আমি দীর্ঘ দিন স্বচচতার সাথে রাজনীতি করার কারণে আমার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করতে পারেনি। তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা- কর্মীদের সূত্রে জানা যায়, এই ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে তুরাগে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
শেষ মুহুত্বে চলছে নানা সমীকরণ। সর্বমহলে বইছে জল্পনা কল্পনা। এ সম্মেলনের মাধ্যমে তুরাগ থানা এবং এর অধীনস্হ ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নং মোট ৩টি ওয়ার্ডের নতুন কমিটি গঠন করা হবে। তবে, থানাটির এবারের কমিটি নিয়ে রয়েছে জটিল এক সমীকরণ। বিশেষ করে দলের হাইকমান্ড ও শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা বলছে, দলের তৃণমূল পর্যায়ের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও প্রকৃত নেতাদেরকে এবার দল মূল্যায়ন করবে এমনটি শোনা যাচেছ। সম্মেলনকে ঘিরে
অনেকেই মনে করছেন, এবার সভাপতি ও সম্পাদক পদে হ্যাভিওয়েট প্রার্থী অনেকেই আছেন। শেয়ানে- শেয়ানে লড়াই হবে: লবিংয়ে দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন দলের পরীক্ষিত ও মাঠ পর্যায়ের তৃণমূলের কতিপয় নেতা। বিশেষ করে তুরাগ থানা ও ৫৩,৫৪ ও ৫২ নং ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে আসতে পারে নতুন মুখ। এমনটি শোনা যাচেছ। তবে, সম্মেলনের শেষ মুহুত্বের প্রচার- প্রচারনা- লবিংয়ে মাঠেঘাটে এবং তৃনমূলে সবার চেয়ে দৌঁড়ে এগিয়ে আলহাজ্ব মো, নাজিম উদ্দিন। এদিকে, তুরাগের স্থানীয় তৃনমূল পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উত্তরা বিভাগের সাতটি থানার মধ্যে তুরাগ থানাটিতে গত প্রায় ১৯/ ২০ বছর থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন হরিরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্বা প্রয়াত মো, আবুল হাসিম। তার সঙ্গে চলতি সেশনে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন এমডি হালিম। প্রয়াত সভাপতি আবুল হাসিম এর মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তুরাগ থানা আওয়ামীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন। তুরাগ থানা আওয়ামী লীগে প্রয়াত সভাপতির পরই নাসির উদ্দিনের নাম ঘুরেফিরে আসে। কিন্তু নানা কারণে তিনি এ থানায় মূল নেতৃত্বে আসতে পারেননি। তাই এবারের তুরাগ থানা আওয়ামীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে তিনিও একজন সভাপতি পদ প্রার্থী হয়েছেন।
আওয়ামীগের স্হানীরা নেতাকর্মীরা এই প্রতিবেদককে জানান, এছাড়া সভাপতি পদে আরো তিন জন প্রার্থীর কথা শোনা যায়, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন তুরাগ থানা আওয়ামীগের সহসভাপতি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, দক্ষ সংগঠক, ত্যাগী, তৃণমূল পর্যায়ের দলের পরীক্ষিত নেতা নুরুল ইসলাম সুরুজ, তুরাগ থানা আওয়ামীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব মো, লেহাজ উদ্দিন এবং তুরাগ থানা আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক এমডি হালিম। এদিকে, ৫৩নং ওয়ার্ডে সভাপতি প্রার্থী হয়েছে তুরাগ থানা আওয়ামীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব মো, নাজিম উদ্দিন। ওয়ার্ড সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে সর্বাধিক আলোচনায় রয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, আওয়ামীগের একনিষ্ঠ মাঠ পর্যায়ের কর্মী, দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত পরিশ্রমি নেতা আলহাজ্ব মো, নাজিম উদ্দিন, সাবেক ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী নেতা নুরুল ইসলাম নূরু মেম্বার, সাবেক ইউপি মেম্বার আলহাজ্ব মো, কফিল উদ্দিন (মেম্বার), তুরাগ থানা আওয়ামীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জিয়াউল হক জামাল এবং সাবেক ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীগের সভাপতি সভাপতি মো, মনসুর আহমেদ। ৫৪নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন, সাবেক ইউপি মেম্বার আবুল হোসেন প্রধান, হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারন সম্মাদক মাহাবুবুল ইসলাম (একবাল মাস্টার)সহ অনেকের নাম শোনা যাচেছ।
আওয়ামীগের তৃণমূলের দলীয় নেতা কর্মীরা এই প্রতিবেদককে জানান, এদের মধ্যে দলের হ্যাভিওয়েট প্রার্থী হলেন তুরাগ থানা আওয়ামীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মো, নাজিম উদ্দিন। ইতিপূর্বে তিনি তুরাগ থানা আওয়ামীগের সাবেক সদস্য, ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাবেক সদস্য ছিলেন। তুরাগ থানা কমিউনিটি পুলিশের সহসভাপতি এবং ফুলবাড়িয়া বাইতুল ফালা জামে মসজিদের প্রতিষ্টাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি তুরাগের ফুলবাড়িয়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার গরিব, মেহনতি, এতিম, অসহায়, সুস্হ, বয়স্ক, বিধবা নারীদের ঈদ ও করোনাভাইরাস মহামারি সময়ে স্হানীয় এমপি মহোদয়ের উপস্হিতে সাহার্য্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ত্রাণসামগ্রী বিতরন করেছেন। একটি নির্ভরযোগ্য দলীয় সূত্র বলছে, এবারের সম্মেলনে যারা প্রার্থী হয়েছে তাদের বিগত দিনের দলীয় পারফরমেন্স, বিগত বিএনপি- জামাত জোট সরকারের আমলে হামলা মামলা, জেল, জুলুম, দলীয় কর্মকাণ্ড, সামাজিক কর্মকাণ্ড, যারা রাজ পথে মিটিং মিছিলে ছিলেন, আওয়ামীগের দূর দিনে মাঠে ছিলেন, দলের জন্য নিরলস ভাবে দেশের আপামর মানুষের জন্য কাজ কটেছেন, এখনও করছেন সেই সব ত্যাগী, তৃণমূল পর্যায়ের প্রকৃত এবং পরীক্ষিত নেতাদেরকে দল এবার মূল্যায়ন করবে।