আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:৩৮
ঢাকা:-শীতে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিমানবন্দরসহ সকল প্রবেশ পথে বাধ্যতামূলক পরীক্ষা এবং বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টিনে রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখন আবার সময় এসে গেছে, যারা বাইরে থেকে আমাদের দেশে আসবেন তাদের পরীক্ষা করা, কোয়ারেন্টিনে রাখা-এটা আমাদের এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি পোর্টে আগের মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কেউ ঢুকতে গেলেই করোনাভাইরাস নিয়ে ঢুকছে কিনা-সেটা পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আমি আশা করি, সেটা আপনারা করবেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর দেশের অর্থনীতি যেমন গতিশীলতা পেয়েছে তেমনি আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
যুবকদের জন্য সরকার প্রদত্ত নানা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে নিজেদেরই নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বা উদ্যোক্তা হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। সরকার ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতির জন্য সনদ প্রদানের চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও তিনি অনুষ্ঠানে জানান। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ বছরের বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ২১ জন স্বনির্ভর যুবক এবং ৫টি সফল যুব সংগঠন যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ পুরস্কার দেয়া হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আখতার হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন। পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে সাইফুর রহমান এবং সামিয়া রহমান অনুষ্ঠানে নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট এবং খাম ও অবমুক্ত করা হয়। ‘মুজিব বর্ষের আহ্বান, যুব কর্মসংস্থান,’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পুনরায় ব্যাপকভাবে দেখা দেয়ায় ইতিমধ্যে ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লকডাউন করা হয়েছে। কাজেই আমাদের সবাইকে একটু সুরক্ষিত থাকতে হবে। তিনি বলেন, যেকোনো কাজে সবাই মাস্ক ব্যবহার করবেন। যেকোনো জনসমাগম বা মার্কেটে যাবেন বা কারো সঙ্গে মিশবেন তখন অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করে নিজেকে এবং অপরকেও সুরক্ষিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই নিয়ম মেনে চলবেন। কারণ, যেভাবে এই করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করেছি সেভাবেই যেন রক্ষা করতে পারি। সবাই এটাকে একটা দায়িত্ব হিসেবে নেবেন সেটাই আমরা চাই।
করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য সরকার ঘোষিত ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা দিয়েছি যেন আমাদের অর্থনীতির গতিটা অব্যাহত থাকে। সরকারের যথাযথ পদক্ষেপে দেশের অর্থনীতি এখনো সচল রয়েছে, যেটা অনেক উন্নত দেশও এখন করতে পারছে না, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এর মাঝেই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশের টানেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প এবং রাস্তা-ঘাটসহ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান। যেগুলো সম্পন্ন হলে আরো বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। অতীতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তার সরকার ঘোষিত ২১ দফা নির্দেশনা প্রদানেরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আমাদের যুব সমাজ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারছে। তবে, এটারও একটা স্বীকৃতির দরকার রয়েছে। বিয়ের বাজারে মেয়ের বাবারা ফ্রিল্যান্সারদের মূল্যায়ন করে না, এমনকি ভালো স্কুল অভিভাবকদের আয়ের নিশ্চয়তা না পেয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তি পর্যন্ত করতে চায় না- এমন অভিযোগও তার কাছে এসেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, কোনো কাজে গেলে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সোর্স অব ইনকাম দেখাতে পারে না, সেজন্য আমরা এ বিষয়ে স্বীকৃতির চিন্তা-ভাবনা করছি, যে একটা সুযোগ সৃষ্টি করে দেবো। যাতে তারা কাজ করতে পারে। সরকার কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, এসএমই ফাউন্ডেশন করে দিয়েছে যার মাধ্যমে যুব সমাজ শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, চাকরি দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে, নিজেরা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করবে। আজকে যারা তরুণ-যুবক ভবিষ্যতে এই দেশটি তারাই পরিচালনা করবে উল্লেখ করে ’৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছর এবং পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক পরবর্তী আরো ৮ বছর জাতির জীবন থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ৭৫ এর পর দেশ যে অবস্থায় ছিল, সে রকম ব্যর্থতায় পুনরায় পর্যবসিত হোক সরকার চায় না, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেরকম অন্ধকার যুগ আর বাংলার মানুষের জীবনে যেন না আসে। তারা যে আলোর পথে আজ যাত্রা শুরু করেছে, সেটাই যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদক- এই ধরনের কাজের সঙ্গে যেন কেউ সম্পৃক্ত না হয়। কাজেই জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের যে অবস্থান সেটা কিন্তু কঠোর থাকবে। তিনি বলেন, এখানে কারো জীবনের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। যুবকদের জন্য সরকারের ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি চালুর উপকারিতাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সন্তানদের লেখাপড়ার বিষয়ে একটু নজর রাখার এবং সরকারের প্রচেষ্টায় সংসদ টিভির মাধ্যমে অনলাইন এডুকেশনেরও পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |