আজ বুধবার | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:৩৮
বিডি দিনকাল ডেস্ক : নকল স্বর্ণের বার, ম্যাগনেটিক পিলার ও কয়েন বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চক্রটি কাস্টমসের মালামাল হিসেবে বিমানবন্দর থেকে জব্দ করা স্বর্ণের বার বিক্রি করার কথা বলে এগারো কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চক্রের মূলহোতা কাস্টমস পরিচালকের এপিএস হিসেবে পরিচয় দিয়ে কম দামে স্বর্ণের বার কিনে দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতো। পরে নকল স্বর্ণের বার আসল বলে কথিত কেমিস্ট ও পরমাণু বিশেষজ্ঞ সেগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে বিশ্বাস অর্জন করাতো। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাশার মোল্লা, সোহাগ হোসেন মিন্টু, দ্বীন মোহাম্মদ, জুয়েল শিকদার, মোজাম্মেল খান ওরফে আকাশ, আলী আকবর, জামাল ফরাজী, সোহেল শিকদার, বিল্লাল হোসেন ও শাহরিয়ার ইকবাল।
গতকাল ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি দক্ষিণ) সঞ্জিত কুমার রায়।
তিনি বলেন, গত রোববার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি নকল স্বর্ণের বার, বার তৈরির মেশিন, তামার তার, তার গলানোর কেমিক্যাল, হিউম্যান রাইটসের নকল আইডি কার্ড ও সিভিল এভিয়েশনের নকল আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা নকল সোনার বার, ম্যাগনেটিক পিলার ও কয়েন, কাস্টমসের মালামাল বিক্রির সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। গ্রেপ্তারকৃত বাশার মোল্লা নিজেকে কাস্টমস পরিচালকের এপিএস হিসেবে পরিচয় দিয়ে কম দামে স্বর্ণের বার কিনে দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে। ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ হোসেন মিন্টু নিজেকে কাস্টমস পরিচালক অ্যাডমিন হিসেবে ক্রেতার সঙ্গে দেখা করে বিশ্বস্ততা অর্জন করে।
দ্বীন মোহাম্মদ ও জুয়েল শিকদার স্বর্ণকার হিসেবে নকল সোনার বার তৈরি করে। কথিত ডা. মোজাম্মেল খান নিজেকে কেমিস্ট ও পরমাণু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দেয়। আলী আকবর নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর হিসেবে পরিচয় দেন। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত জামাল ফরাজী, সোহেল শিকদার, বিল্লাল হোসেন এবং শাহরিয়ার ইকবাল ক্রেতা যোগাড় করে পরমাণু বিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যায় এবং ম্যাগনেটিক পিলার, কয়েন ও সোনার বার পরীক্ষা করে সঠিক আছে কিনা প্রতিবেদন দেয়। সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা একেকজন একেক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ম্যাগনেটিক পিলার, কয়েন ও স্বর্ণের বার সরবরাহ করার কথা বলে সুকৌশলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কলাবাগান, দক্ষিণখান, উত্তরা পূর্ব থানা, কাশিমপুর থানা ও বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ভাটারা ও বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা দুটি মামলা তদন্তকালে এক নারী ভুক্তভোগীর সন্ধান পাই। তিনি নিজে এই চক্রের ভুক্তভোগী। তিনি তার ভাটারা ও বসুন্ধরা এলাকার দু’টি ফ্ল্যাট বিক্রি করে প্রতারক চক্রকে টাকা দিয়ে সর্বস্বান্ত হন। ওই মামলার এজহারভুক্ত আসামিসহ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ এই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি’র এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্যরা শুধু ভুয়া পরিচয়ই দেয়নি, তারা ভুয়া আইডি কার্ড প্রদর্শন করতো। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য তারা স্বনামধন্য হোটেলে পার্টির আয়োজন করে। অতি লোভে বা অধিক মুনাফার লোভে পড়ে অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত কাউকে নিজের অর্থ তুলে দিবে না। প্রতারক চক্র সম্পর্কে কোনো তথ্য পেলে প্রাথমিক পর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশকে অবহিত করুন। আমরা সর্বোচ্চ আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো। যাতে করে নতুন করে আর কেউ চক্রের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে সব না হারান বলেও অনুরোধ জানান ডিবি’র এই কর্মকর্তা।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:19 PM |
Isha | 6:40 PM |