আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:২৯
কুমিল্লা:-নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ইমাম ও ছেলেসহ মুয়াজ্জিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় চলছে শোকের মাতম। ওই মসজিদের নিহত ইমাম মাওলানা আবদুল মালেক নেছারি জেলার মুরাদনগর উপজেলার পুটিয়াজুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে। মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. দেলোয়ার হোসেন জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বদরপুর গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে। এ বিস্ফোরণে মুয়াজ্জিনের বড় ছেলে জোনায়েদও মারা গেছেন। রোববার রাতে তাদের লাশ নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. দেলোয়ার হোসেন শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ও তার ছেলে জোনায়েদ শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান। আর শনিবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান ইমাম মাওলানা আব্দুল মালেক নেছারি।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার রাতে মাওলানা আব্দুল মালেক নেছারির জানাজায় বিপুল সংখ্যক লোকজন অংশ নেয়। নিহতের লাশ গ্রামের বাড়ি আসছে- এমন খবরে আশপাশের কয়েক গ্রামের লোক তাকে একনজর দেখার জন্য জড়ো হন। তিনি মুরাদনগর উপজেলার পরমতলা মাদ্রাসা থেকে দাখিল, বাখরনগর মাদ্রাসা থেকে আলিম ও ফাজিল এবং সোনাকান্দা মাদ্রাসা থেকে কামিল পাস করেন। তার মা, স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। পুটিয়াজুরি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ বলেন, মাওলানা আব্দুল মালেক নেছারি সপরিবারে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করলেও এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ছিল তার আত্মিক সম্পর্ক। তিনি সব ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি ছিলেন ভদ্র ও বিনয়ী। আকস্মিক দুর্ঘটনায় তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের মা কমলা খাতুন (৮২) বলেন, দীর্ঘ ২২-২৩ বছর ধরে আমার ছেলে ওই মসজিদে ইমামতি করত। জীবনের শেষ সময়ে এসে আমার প্রাণপ্রিয় ছেলের এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু দেখতে হবে কল্পনাও করি নাই। মনে হচ্ছে, আমার ওপর আকাশ ভেঙে পড়েছে। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |