আজ বুধবার | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:১০
এম, এ কাশেম, ‘বিডি দিনকাল’ চট্টগ্রাম অফিস: তীব্র তাপদহের মধ্যে ও প্রিয়জনদের সাথে মিলিত হয়ে ‘ঈদ’ র খুশিতে শরিক হতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীঁড় দেখা গেছে। মঙ্গলবার ঈদ। তাই সোমবারের মধ্যেই পৌঁছাতে হবে বাড়ি। এ জন্য ভীঁড়, যানজট ও বাড়তি ভাড়ার চাপ কোনো কিছুতে-ই দমিয়ে রাখতে পারছেনা কাউকে! কাঙ্খিত পরিবহনে উঠেই মস্ত বড় স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছেন নারী-পুরুষ যাত্রীরা। স্ব’চোখে দেখলে মনে হবে-এ যেনো নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা।
চট্টগ্রাম থেকে ৬৪ জেলার গণপরিবহন চলাচল করছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বাস টার্মিনাল গুলোর মধ্যে রয়েছে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, অক্সিজেন বাস টার্মিনাল, অলংকার বাস টার্মিনাল, মাদারবাড়ি বাস টার্মিনাল, দামপাড়া বাস টার্মিনাল, কদমতলী বাস টার্মিনাল ও শাহ আমানত বাস টার্মিনাল।
এর মধ্যে অক্সিজেন বাস টার্মিনাল থেকে গাড়ি যাচ্ছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, কাপ্তাই ও খাগড়াাছড়ি। কদমতলী ও অলংকার বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার প্রায় বাস চলছে। দাউদকান্দি, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ল²ীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ দেশের প্রায় জেলা গুলোর রুটে।
অন্যদিকে বহদ্দারহাট ও শাহ আমানত বাস টার্মিনাল থেকে গাড়ি চলাচল করছে বান্দরবান, সাতকানিয়া, কক্সবাজার সহ ২০টি রুটে।
এ দিকে গণপরিবহনের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই বাড়তি ভাড়ায় প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস নিয়ে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের াসথে আরাপ করতে গেলে একজন বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে যাবেন কক্সবাজার। গণপরিবহনের ঝামেলায় না গিয়ে মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে-ই বাড়ি যাচ্ছেন তিনি।
আরেকজন বলেন, ‘সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদহ। বাসে করে রোজার মধ্যে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই গাড়ি রিজার্ভ করে চলে যেতে হচ্ছে। তবে, সে জন্য কিছু বাড়তি টাকা ও দিতে হচ্ছে। তার পর ও অনেকটা শািিন্ততে যাওযা যাবেসে ভরসায়।
একজন মহিলা ব্যাংকার বলেন, ‘২৯ এপ্রিল থেকে সরকারি ছুটি থাকলে ও শনিবার আমাদের ব্যাংক খোলা ছিলো। আর সে জন্য আমি বাড়ি যেতে পারিনি পরিবার নিয়ে। আজ (রোববার) বাড়ি যাওয়ার জন্য বসে আছি। রাস্তায় জ্যাম। এবং যাত্রীর চাপ ও অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেকটা বেশি দেকা যাচ্ছে। তার পর ও যেতে হচ্ছে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে ঈদ করার জন্য। তিনি আরো বলেন- আমাদের সাথে ‘ঈদ’ করবেন বলে উনারা অপেক্ষা করছেন। হাজারো দুর্ভোগ কে পিঁছে ফেলে অবশ্য-ই নাড়ির টানে যেতে হয়/হবে বাড়ি।
গাড়ি চালক/ ষ্টাফরা যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেয়া বা বাদ-প্রদিবাদে তাদের সাথে দুর্বব্যহার করার অভিয়োগ তুলেছেন অনেক যাত্রী।
সৈকত নগরী কক্সবাজার যাওয়ার জন্য গাড়িতে ঊঠাা এক যাত্রী জানান, একেকটি বাস কাউন্টারে গিয়ে দেকতে পাই খুব খারাপ অবস্থা। বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে চালক/ষ্টাফরা দুর্ববহার করছে দেখে.শুনে খুব খারাপ লাগলো। তিনি জাানলেন, আগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পূরবী এসি বাসের টিকিট ছিল ৪০০ টাকা। ওই দিন একটা টিকিটের জন্য ৫০০ টাকার নোট দিই। টিকিট আমার হাতে দেয়ার পর ১০০ টাকা চাইলে কাউন্টার থেকে জানায়, ভাড়া ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ১০০ টাকার ভাড়া বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে, ঈদে যাত্রীর চাপ বেশি থাকার অজুহাত দেখান তারা। পরে আমি টিকিট বাতিল করে দিই।’
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেয়ার কোনো যুক্তি নেই। চাপ বাড়লে তাদের কাছে যাত্রীরা জিম্মি হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির খুব দরকার বলে ও মনে করেন তিনি। এবং যাত্রীদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য ও করেন তিনি।’
চট্টগ্রাম মহানগর বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল চট্টগ্রমের বিভিন্ন সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা’র কারণে গত দু’বছর ঈদে যে চিত্র ছিলো এবার তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার পর ও এবার ঈদে কিছুটা হলেও সাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারছে মানুষ। এবার অনেক আগেই প্রায় সবাই ছুটি পেয়েছে। হাতে কয়েকদিন সময় ও ছিলো, যার ফলে- এবার যাত্রীরা আরামে বাড়ি ফিরতে পারছেন।’
বাড়তি ভাড়া নেয়ার বিষয়ে বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে এবার ৬৪টি জেলার সব রুটেই এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ গাড়ি চলছে। সরকার’র নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে-ই আমরা গাড়িগুলো ছেড়েছি। এবার কিন্তু বাড়তি ভাড়ার কোনো অভিযোগ নেই। যাত্রীদের থেকে হেল্পাররা অল্প টাকা নিচ্ছেন। তাও ৫০/৬০ টাকা বেশি দিচ্ছে যাত্রীরা খুশি মনে, বকশিস হিসেবে। এটাকে আমরা অভিযোগ হিসেবে ধরছি না তাছাড়া যাত্রীদের জোর করা হচ্ছে না।’
চট্টগ্রাম মহানগর বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল’র এহেন কথা হাস্য-রসাত্মক বলে অভিহিত করছেন অনেক যাত্রী সাধারন।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:19 PM |
Isha | 6:40 PM |