আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:২৬
এম, এ কাশেম : আল্লাহর শ্রেষ্ঠজীব মানুষ। সেই শ্রেষ্টত্ব’র গরিমা/বাহাদুরীতে আমি/আমরা ভুলে যাই শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান’র মালিক ‘মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন’কে! আল্লাহ চাইলে অ-নেক, অনেক কিছু দিয়ে তিনি উনার বান্দাদের খুশি করতে পারেন। কিন্তু, বান্দারা উনাকে কি দিয়ে খুশি করতে পারেন/পারবেন? এমন কিছু কি নেই বান্দারা আল্লাহ কে যে খুশি করতে পারেন? অবশ্যই আছে। আর তা হলো এক মাত্র নামাজ। আমি আল্লাহর কোরআন-হাদিস সম্পর্কে একেবারেই অন-ভিজ্ঞ। তবে, আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান-বুদ্ধি (যৎ সামান্য বললে ভুল হবে) তে বলতে পারি-একজন মুসলমান হিসেবে আল্লাহ কে খুশি করার একমাত্র মাধমে হচ্ছে ‘নামাজ’ এবং আল্লাহর নির্দেশনা মোতাবেক নিজেকে পরিচালনা করা। আমি আমাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমি একজন সাংবাদিক। দীর্ঘ প্রায় ২২/২৩ বছর সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছি। কারো দালালী-চামচামী করতে না পারার কারণে অভাব আমার নিত্য জীবন সঙ্গী হয়ে পড়ে। সাংবাদিকতা পেশার বিগত সময় গুলোতে লাখ লাখ টাকা চোখের সামনে দিয়ে এসেছে এবং গেছে ও কিন্তু লোভী মানসিকতা কে সামাল দিয়ে রাখতে পারার কারণে আল্লাহ নিশ্চয়ই আমার ওপর খুশি আছেন না হয় আমি বেঁচে ও থাকতে পারতাম না। শোকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ।ইচ্ছে করলে বৈধ- অবৈধ বিবেচনায় না রেখে ওই টাকা নিজের পকেটস্থ করে আরাম- আয়েসী জীবন পরিচালনা করার অধিকারী হতে পারতাম। বর্তমান সময়ে কতো-ই যে অভাবে আছি তা বলে বুঝানো যাবে না। এ সময়তে ও যদি দু’নম্বরী ধান্দায় ঘূরতাম বা কারো দালালী-চামচামী করতাম তা হলে ও অভাব আমাকে ষ্পর্ষ করতে পারতো না। লেখার প্রাসঙ্গিকতা নামাজ : আল্লাহ কে খুশি করার প্রথম ও শেষ পন্থা হচ্ছে নামাজ। যাহা নিজে-ই প্রমানিত। অতিত সময় গুলোর কথা আপাতত: বাদ দিয়ে রোজার মাস ও ঈদ’র সময়ের কথা বলবো। একজন মুসলমান ঘরের সন্তান হিসেবে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। সাথে নামাজ ও বাদ যাওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া, আল্লাহর নির্দেশনা মোতাবেক অন্যান্য ধর্মীয় সব কিছু মেনে চলার ও কোনো বিকল্প নেই। রোজা শুরু হওয়ার দু/চার দিন আগে ও রোজা রাখার খাদ্য-দ্রব্য সহ এমন কোনো জিনিষাধি ছিলো না। এবং ছিলো না কোনো টাকা-পয়সা ও। এমতাবস্থায় মহা দুশ্চিন্তার মধো দিন-রজনী পার করে যাচ্ছিলাম। ‘বলছিলাম নামাজ এ শান্তি নামাজ এ মূক্তি’। এমন দুশ্চিন্তাগ্রস্থতার মাঝে আল্লাহ উনার রহমত’র ছায়া ঢেলে দিলেন আমার ওপর। প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে ও রোজা রাখা এবং রোজার মাস পার করার একটা ব্যবস্থা করে দিলেন তিনি আমাকে। শেষ হীন শোকরিয়া মহান রাব্বুল আল আমীন’র দরবারে। প্রথম রোজার সেহরী খেয়ে মসজিদে গিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করার পর আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে মোনাজাত করে শোকরিয়া আদায় করে আল্লাহর পবিত্র নাম মুখে রেখে রোজার মাস এ রোজা রাখা শুরু করেছিলাম। এ ভাবে শেষ রোজা পর্যন্ত চলমান রেখেছিলাম সে অবস্থা। শেষ হতে চলেছে রোজা এবং ক্রমশ: সামনের দিকে ধাবমান খুশির ঈদ’র দিনোক্ষণ। কিন্তু, নেই কোনো ঈদ’র প্রস্তুতি! আল্লাহর ওপর রেখেছি একমাত্র ভরসা। আল্লাহর ওপর আস্থা- বিশ্বাষ দু’টো-ই অন্তরে লালন করে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে শান্তনা দিয়ে যাচ্ছি। প্রায় অনেকের-ই ঈদ’র কেনা-কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে অথচ, আমার? তাতে ও আল্লাহর সু’শীতল ছায়া আমার ওপর!! আমি মনে-প্রানে বিশ্বাষ করে জোর গলায় বলতে পারি- পুরো রোজার মাস এ রোজা রাখা এবং নামাজ আদায় করা ও নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে ঈদ’র জন্য যে ফরিয়াদ করেছিলাম তা তিনি কবুল করেছেন বিধায়-ই ‘ঈদ’ পার করার সুযোগ ও তিনি করে দিয়েছেন আমাকে। ‘নামাজ’ এ আল্লাহর নৈকট্য লাভের কি যে সুযোগ রয়েছে তা আর বেশী বাড়িয়ে বলার জ্ঞান-বুদ্ধির অভাব রয়েছে আমার। এ ছাড়া, ‘নামাজ’ শরীরের জন্য যে কতোটা উপকারী তা একমাত্র পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী ব্যাক্তি/মুসল্লিরা আমার থেকে বেশী বলতে পারবেন। ভোর-সকাল এর আলো-বাতাস এবং শারীরিক কসরত: সহ সব কিছু মিলিয়ে দিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ’র প্রথম ওয়াক্ত ‘ফজর’র নামাজ যে শরীরের জন্য কতোটুকু উপকারী তা আমার ক্ষুদ্র ভাষায় ব্যাক্ত করার মতো নয়। হে আল্লাহ্ সবাই কে তা বুঝতে জ্ঞান দান করুন। আমীন।
লেখক : নিজস্ব প্রতিনিধি (উত্তর চট্টগ্রাম) মীরসরাই। ব্যুরো প্রধান ‘বিডি দিনকাল’ চট্টগ্রাম।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |