- প্রচ্ছদ
-
- খুলনা
- নড়াইলের অধিকাংশ মানুষ টিসিবি পণ্যের সেবা থেকে বঞ্চিত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষেরা
নড়াইলের অধিকাংশ মানুষ টিসিবি পণ্যের সেবা থেকে বঞ্চিত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষেরা
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল, ২০২১ ৮:৫৩ অপরাহ্ণ
উজ্জ্বল রায় (নড়াইল জেলা) প্রতিনিধি: নড়াইলের অধিকাংশ মানুষ টিসিবি পণ্যের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সদর উপজেলায় ১০ জন ডিলারের মধ্যে মাত্র একজন টিসিবি (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য উত্তোলন করেছেন। ফলে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
করোনার প্রভাবে বাজারে বিভিন্ন পণ্য চড়া মূল্যে বিক্রি হওয়ায় টিসিবি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে তালিকাভুক্ত ডিলাররা পণ্য উত্তোলন না করায় গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনার প্রভাব এবং রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে গত ১৮মার্চ থেকে নড়াইলে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু হয়। এক কেজি টিসিবির ছোলা ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৫৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ২০ টাকা, খেজুর ৮০ টাকা এবং এক লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেখানে খুচরা বাজারে এক কেজি ছোলা ৬৫ টাকা, মসুর ডাল ৭০ টাকা, চিনি ৬৮টাকা এবং এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৩৯ টাকা, খেজুর ১২০, পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রিবর্তমানে জেলায় টিসিবির মোট ৩১ জন সাধারণ ও ভ্রাম্যমাণ ডিলার থাকলেও সদরে ১০ জনের মধ্যে একজন, লোহাগড়ায় ১৪ জনের মধ্যে আটজন এবং কালিয়ায় সাতজনের মধ্যে পাঁচজন পণ্য তুলেছেন।
সদর উপজেলায় টিসিবি পণ্য উত্তোলনকারী একমাত্র ভ্রাম্যমাণ ডিলার হাফেজা এন্টারপ্রাইজের মালিক বেনজির আহম্মেদ বুলু বলেন, টিসিবি খুলনা থেকে প্রতি চালানে ১২০০ লিটার তেল, ছোলা এক হাজার কেজি, চিনি ৭০০ কেজি, ডাল ৩০০ কেজি এবং খেজুর ১০০ কেজি তুলেছি। বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা থাকায় পণ্য ফুরিয়ে গেলে আবার মাল এনে বিক্রি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, জেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় পণ্য বিক্রি করছি।
নড়াইল শহরের এক ভোত্তা বলেন, রমজান মাসে ও করোনার জন্য দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পণ্য কিনতে হিমশিম কেতে হচ্ছে। টিসিবির ডিলাররা সবাই পণ্য উত্তোলন করলে মধ্যবিত্ত এবং নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষরা সহজে এসব পণ্য কিনতে পারতো। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।
টিসিবি খুলনা বিভাগীয় প্রধান মো. আনিচুর রহমান বলেন, জেলায় ৩১ ডিলারের মধ্যে পণ্য তুলছেন ১৪ জন। যেসব ডিলার টিসিবি পণ্য তুলছেন না এবং ডিলারশিপ নবায়ন করেননি রমজানের পর তাদের ব্যাপারে হেড অফিসে জানানো হবে। হেড অফিসের সুপারিশ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, যাতে প্রত্যেক ডিলার টিসিবি পণ্য উত্তোলন করেন সেটা আমরা চেষ্টা করবো
Please follow and like us:
20 20