- প্রচ্ছদ
-
- খুলনা
- নড়াইলের পল্লীতে গৃহবধুর অপমৃত্যু মামলার ৫ মাস পর হত্যা মামলা দায়ের , গ্রেফতার ৩
নড়াইলের পল্লীতে গৃহবধুর অপমৃত্যু মামলার ৫ মাস পর হত্যা মামলা দায়ের , গ্রেফতার ৩
প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ৪:২৬ অপরাহ্ণ
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ-নড়াইলের নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের টোনা গ্রামে রেহানা বেগম নামে এক গৃহবধুর অপমৃত্যুর মামলা দায়ের এর ৫ মাস পরে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই মোঃ আল আমিন মীর। চলতি বছরের ১ লা জুলাই নিহত রেহানার স্বামী নজরুল ইসলাম তার ভাইকে ফোন করে জানায় তার বোন আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু নিহতের পরিবার সেটা মেনে নিতে পারেনি। কারন রেহানার স্বামী নজরুল ইসলাম প্রায়ই যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন করত। দীর্ঘ ৫ মাস পর ৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) পোষ্টমর্টেম রিপোর্টে জানা যায়, রেহানাকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর (বুধবার) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১-ক/৩০ ধারায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে রেহানার স্বামীসহ ৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৩। আসামীরা হলেন টোনা গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে ও নিহত রেহার স্বামী মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৯), নাইমুল ইসলাম (৩৫), নুর আলম (৩২), নাইমুল ইসলামের স্ত্রী তহমিনা খাতুন এবং একই গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী নুরজাহান (৩৮)। মৃত রেহানা বেগম খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার সোনাকুড় গ্রামের মৃত হেমায়েত মীরের মেয়ে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ লা আগষ্ট টোনা গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে মোঃ নজরুল ইসলামের সহিত খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার সোনাকুড় গ্রামের মৃত হেমায়েত মীরের মেয়ে রেহানার ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহ পরবর্তীতে যৌতুকের দাবিতে নজরুল রেহানাকে প্রায়ই শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতো। ঘটনার দিন চলতি বছরের ১লা জুলাই সকালে রেহানা তার ভাইকে ফোন করে তার ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের খবর দেয় এবং ওই দিনই রেহানার স্বামী নজরুল ইসলাম বিকাল সাড়ে ৫ টায় তার শশুর বাড়ী ফোন করে জানায় রেহানা আত্মহত্যা করেছে। তাদের ঘরে খাদিজা নামে ১০ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ রোকসানা খাতুন বলেন,পোষ্টমর্টেম রিপোর্টের যানা যায় নিহত রেহানাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়।তাই নিহত রেহানার ভাই বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন এবং ৩ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Please follow and like us:
20 20