- প্রচ্ছদ
-
- খুলনা
- নড়াইলে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১০দফা বিধি নিষেধ আরোপ
নড়াইলে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১০দফা বিধি নিষেধ আরোপ
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৪২ অপরাহ্ণ
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে: -নড়াইলে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১০দফা বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। করোনার চলমান বিস্তার ঠেকাতে করণীয় নির্ধারণে বুধবার কোভিট ১৯ জেলা নিয়ন্ত্রন কমিটির এ জরুরি সভায় এ বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আজ দুপুরে কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঘরের বাইরে মাক্স ব্যবহারসহ কোরানা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘোষিত বিধিনিষেধ প্রতিপালনে সর্বধারণকে বাধ্য করতে প্রশাসনের পকষ থেকে কড়াকড়ি আরোপের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায়পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার), সদর হাসপাতলের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধাক ডাঃ মোঃ আসাদ উজ জামান,সিভিল সার্জন নাসিমা আকতার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রতন কুমার হালদার, এদিকে সরকার করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে । ১৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে এ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। গত ১০ জানুয়ারি বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো
১. দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেঁস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শান্তির সম্মুখীন হতে হবে।
২. অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
৩. রেঁস্তোরায় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোন টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
৪. ১২ বছরের ঊর্ধ্বের সব ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫. স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দরসমূহে স্ক্রিনিং-এর সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টসমূহে ক্রু-দের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও আগত ট্রাকের সঙ্গে শুধুমাত্র ড্রাইভার থাকতে পারবে। কোনো সহকারী আসতে পারবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৬. ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তাবিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্বপ্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।
৭. বিদেশ থেকে আগত যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড ১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সকল মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
৯. সর্বসাধারণের করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ নেবে। এক্ষেত্রে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তা গ্রহণ করবে।
১০. কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে
১১. কোনো এলাকায় ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয় প্রজ্ঞপনে
Please follow and like us:
20 20