আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:২৪
pnbd24:-কুয়েতে এই মুহূর্তে আলোচিত ‘বাংলাদেশি ডেপুটি কাজী পাপুল।’ পুরো নাম শহিদ ইসলাম পাপুল। লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ওই আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের এমপি। কুয়েতের ইতিহাসে মানবপাচার, মানি লন্ডারিং ও প্রতারণার সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর এবং তাৎপর্যপূর্ণ মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার কাজী পাপুল কেস। মাফিয়া বস হিসেবেও কুখ্যাতি পেয়েছেন কাজী পাপুল। ‘বাঙালি’ বলে ডাক পড়ে যাওয়া বহুল আলোচিত এমপি পাপুলের গ্রেপ্তার, জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তি এবং তার কুকর্মের সহযোগী কুয়েতের এমপি, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ অন্তত ৩৩ জনের নাম এসেছে, যা নিয়ে দেশটির পার্লামেন্টে ও রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। পাপুলের সহযোগী অন্তত ৮ জন এখন সিআইডি’র কাস্টডিতে। বড় কর্তাদের চাকরি নেই, তাদের সময় কাটছে আদালতের বারান্দায়। সর্বেশেষ যে খবর এসেছে তাতে পাপুলের কাছ থেকে মিলিয়ন দিনার ঘুষ নিয়ে তাকে রক্ষার দায়িত্ব নেয়া মেজর জেনারেল মাজান আল জারাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম বরাবরই সাফাই গাইছেন অভিযুক্ত পাপুলের পক্ষে। তিনি তাকে ক্লিন সার্টিফিকেট সংগ্রহও করে দিয়েছে, যখন ফেব্রুয়ারিতে সিআইডি’র অভিযানের মুখে দেশটি থেকে পালিয়ে ঢাকায় এসে নিজেকে রক্ষা করছিলেন। ‘বাংলাদেশি এমপি কুয়েত থেকে লাপাত্তা’- শীর্ষক কুয়েত সিটির সংবাদপত্রে রিপোর্ট প্রকাশের পর রাষ্ট্রদূত ঢাকায় মনগড়া রিপোর্ট করেছিলেন। যাতে বিভ্রান্তিতে পড়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। তার সূত্র ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন তখন এক সংবাদ সম্মেলেন এটাকে ‘ফেক নিউজ’ দাবি করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখনও সেই ঘটনার জন্য বিব্রত। তিনি কাল মানবজমিনকে বলেন, পাপুল আমাদের মান-মর্যাদা শেষ করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রদূতও বিষয়টি শুরুতে হয়তো বুঝে উঠতে পারেননি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, যাক তার মেয়াদ শেষ। নতুন যিনি যাচ্ছেন তিনি নতুন করে সবকিছু দেখবেন-বুঝবেন। রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে পাপুলকে অনৈতিক সহযোগিতার অভিযোগ এসেছে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে। বলা হয়েছে, ইমিউনিটি অ্যান্ড প্রিভিলেজ প্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে কুয়েত হয়তো আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করতে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েতের অভিযোগ আসুক, এলে নিশ্চয়ই তদন্ত হবে। মন্ত্রীর দাবি, এমপি পাপুল এবং তার স্ত্রী সংসদে তার কলিগ কিন্তু কোনোদিন তাদের সঙ্গে কথা হয়নি। কুয়েতের সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের পর তিনি তাদের সম্পর্কে জেনেছেন। উল্লেখ্য, মানব ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগে গত ৬ই জুন কুয়েতের মুশরেক এলাকার বাসা থেকে সিআইডি কাজী শহিদ ইসলামকে আটক করে। তদন্ত কর্মকর্তাদের টানা জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কুয়েতের রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে রেসিডেন্ট পারমিটের ব্যবসার কথা স্বীকার করেন। এর ফলে মানব ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন আর রেসিডেন্ট পারমিট ব্যবসার অভিযোগে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তার পক্ষে কয়েক দফা জামিন চাওয়া হয়েছে, কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আগামী ১৬ই জুলাইয়ের মধ্যে তার আটকাদেশ বিষয়ে আদালতের নতুন নির্দেশনা আসবে বলে জানা গেছে।সূত্র:মানবজামিন (11-7-2020)
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |