আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:৪৫
পাবনা :- পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন
। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদি চারা বটতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলী (৩৫) সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই। চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহতের ঘটনায় ভাড়ারা ইউনিয়নের ওই পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু সাইদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদ খান এবং অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলীর সমর্থকদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকালে পোস্টার লাগানো নিয়ে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়ায়।
এ সময় কমপক্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইয়াছিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রাজশাহী যাওয়ার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১০টার পরে আমার হয়ে যারা প্রচারণা চালিয়েছেন তাদের মধ্যে চার-পাঁচজনের বাড়িতে গিয়ে সাঈদ চেয়ারম্যানসহ ১০-১৫ জন হামলা করেছেন। আমার হয়ে ভোট না করার জন্যও তাদের হুমকি দিয়েছেন। তখন থেকেই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে আহতদের আমার সমর্থকরা দেখতে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে।’ অপরদিকে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আবু সাঈদ খান অভিযোগ করে বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে আমার লোকজন নৌকার ভোট চাইতে গেলে কালাম মেম্বারকে সুলতানের লোকজন হাতুড়িপেটা করে। সকালে আমি তাকে দেখতে যাই। ফিরে আসার পথে কোলাদী ইন্দ্রার মোড়ে এলে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সুলতানের লোকজন আমাদের ওপর গুলি করে। এ সময় আমাকে চতুরদিক থেকে ঘিরে ধরলে আমার ছোট ভাই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আমি পাশের ড্রেনে লাফিয়ে না পড়লে আমাকে তারা হত্যা করতো।
এ ঘটনায় আমার কয়েকজন সমর্থক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন।’ পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ইয়াছিন আলী রাজশাহী নেয়ার পথে মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে পাবনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কায়সার আলম বলেন, বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত হওয়ায়, ২০১০ সালের ইউপি নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে ভাড়ারা ইউনিয়নে ওই পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন করা হবে কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |