আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৪৩
ঢাকা : একাত্তরের রণাঙ্গনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত নেতারা।
রোববার (২৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে পৃথক কর্মসূচিতে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সমর্থিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে প্রথম সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় কাজল তার কক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
ব্যারিস্টার কাজল বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অসামান্য অবদান একটি মীমাংসিত সত্য। ১৯৭১ সালে দিশেহারা এ জাতির ক্রান্তিকালে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান যদি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করতেন ও চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন, তাহলে আজ বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো কিনা সেটাই যেখানে প্রশ্ন, সেখানে মুক্তিযুদ্ধকালে রণাঙ্গনে শহীদ জিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন উত্থাপন মুক্তিযুদ্ধের প্রতি চরম অবমাননার শামিল। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সরকার একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যে সাহসিকতা ও ভূমিকা রেখেছিলেন তার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বীরোত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের মতো এমন একজন বীর সেনানী এবং সফল রাষ্ট্রনায়ক সম্পর্কে তার চরিত্রে কালিমা লেপনের যে অপচেষ্টা সম্প্রতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে করা হয়েছে, সেটি অত্যন্ত বিভ্রান্তিমূলক এবং ইতিহাসের মীমাংসিত সত্যের বিকৃতি। এ ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে দেশপ্রেমিক সাধারণ মানুষকেও ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ বিনির্মাণে শহীদ জিয়ার অবদান চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিক উল্লাহর নেতৃত্বে দ্বিতীয় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির দক্ষিণ হলে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট শফিক উল্লাহ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্যাড ও স্মারক ব্যবহার করে জনসম্মুখে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের ব্যক্তিগত বক্তব্যকে প্রচার করে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা হয়েছে মাত্র। এই বিবৃতি একান্ত তার ব্যক্তিগত বক্তব্য, যা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নয়। কারণ এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি-সম্পাদক থেকে অনেকেই জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং আছেন। কিন্তু আইনজীবী নেতারা নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনকে কখনোই রাজনৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেননি। দল-মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে সবসময় তারা বদ্ধপরিকর ও আপসহীন ছিলেন। অথচ আজ সুপ্রিম কোর্ট বারের প্যাড ব্যবহার করে নিজ রাজনৈতিক দলের মত প্রকাশ করার মতো সস্তা রাজনীতি করে সমিতির দীর্ঘদিনের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার চক্রান্ত শুরু করা হলো।
অ্যাডভোকেট শফিক উল্লাহ আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের বক্তব্য তার দলীয় বক্তব্য, যা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বক্তব্য নয় বরং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্যাড ও স্মারক তাদের হীন দলীয় ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে বারের ঐতিহ্য ও রীতিনীতি লংঘনের মতো জঘন্য অপরাধ করেছেন। অনতিবিলম্বে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |