আজ শনিবার | ২০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৪ঠা রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৩৪

শিরোনাম :

নতুন প্রজন্ম, যারা আমাদের সবচেয়ে বড় আশার উৎস:দিনাজপুরে মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারিরীক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে ‘ফিরোজায়’ যান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ২২৭ জন প্রার্থী চাকরি ফেরত পেতে পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন দেশে মোট ভোটার বেড়ে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জনে দাঁড়িয়েছে:নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ অবশেষে বাংলাদেশের জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম ব্যক্তির যে শক্তি আছে সেই শক্তির কাছে সরকারের শক্তি একেবারে নস্যি:প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের কারণে আওয়ামী লীগ এক ধরণের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে:সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলামপন্থি সেই রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, ’৭১ এ আপনাদের রাজনৈতিক ভূমিকা কী ছিল?:রুহুল কবির রিজভী ক্যাপাসিটির নামে হাসিনার সরকার ১৫ বছরে অনেক টাকা নিয়ে গেছে…. প্রায় এক লাখ কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছে: ইকবাল হাসান মাহমুদ সাবেক এটর্নি জেনারেল প্রয়াত এ এফ হাসান আরিফের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল: লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম

সেদিন পিলখানায় কী ঘটেছিল ডিজি মইনুলের বয়ানে

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম। বাংলা আউটলুক নামে একটি অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, পিলখানার পরিস্থিতি বিশেষ করে অস্ত্রাগারের পরিবেশ দেখে পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছিল এটি পরিকল্পিতভাবেই ঘটানো হয়েছিল এবং সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার পেছনের লোকজন ২০-২১ দিন আগেই এখানে ঢুকেছিল।

পনের বছর আগে পিলখানায় কথিত বিডিআর বিদ্রোহে সাতান্ন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর বিডিআর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান মো. মইনুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাইফেলসের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি করা হয়। জুলাই ২০১৫ সালে তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। পিলখানার মর্মান্তিক ঘটনার নানা দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি।

বাংলা আউটলুক: বিদ্রোহের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় ২৮ ফেব্রুয়ারি আপনাকে তৎকালীন বিডিআর’র দ্বায়িত্ব দেয়া হলো; পিলখানায় গিয়ে কী দেখলেন?

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম: চারদিকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড ছড়ান-ছিটান। সেখানে যে ধরনের হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, তার তেমন কোনো আলামত ছিল না। কোনো রক্তের চিহ্ন নেই। খুব যত্নে ধুয়ে-মুছে পরিপাটি করে রাখা হয়েছে।

ওই দিনই সন্ধ্যায় পিলখানা থেকে যারা বাইরে চলে গিয়েছিল, তাদের ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয় টেলিভিশনে। আমি তখন মহাপরিচালক, আমিই জানি না। সবখানে অস্ত্রশস্ত্র, গ্রেনেড ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আমি জানালাম, এখনই ঢোকানো যাবে না।
বাংলা আউটলুক: আপনি পরবর্তীতে যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল, সেই কমিটিতে ছিলেন; পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে কী মনে হয়েছিল? এটি কি হঠাৎই ঘটেছিল?

মইনুল ইসলাম: হ্যাঁ। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল তখন সচিব ছিলেন। তিনিও ওই কমিটিতে ছিলেন। আমি সিভিলদের নিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ করেছিলাম। সরকারকে চিঠিও দিয়েছিলাম। ঘটনার আগে-পরে চাইনিজদের বিষয়গুলোও আমলে নিতে বলেছিলাম। সেই সময়ের কন্ট্যাক্টগুলোর ব্যপারেও খোঁজ নিতে বলা হয়েছিল। ইন্ডিয়ার বিষয়েও খোঁজ নেয়া জরুরি ছিল।

বাংলা আউটলুক: চাইনিজরা ওই দিন কী করছিল?

মইনুল ইসলাম: তখন বিডিআর’র সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়ের কার্যক্রম চলমান ছিল। এগুলো ছিলো স্নাইপার রাইফেল। সেগুলো চীন ডেলিভারি দেওয়ার পর সে সম্পর্কে বিডিআর সদস্যদের ধারণা দিতে একটি টিম পিলখানায় অবস্থান করছিল। ঘটনার দিন গোলাগুলি কিছুটা বন্ধ হলে তারা নিরাপদেই বের হয়ে গিয়েছিল। তদন্তে তাদের বিষয়েও খোঁজ নেয়া প্রয়োজন ছিল।

বাংলা আউটলুক: ইন্ডিয়ানদের প্রসঙ্গ আসলো কেন?

মইনুল ইসলাম: স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ইন্ডিয়ান বিএসএফ পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বর্ডারের খুব কাছে অবস্থান নিয়েছিল। যুদ্ধের পর ইন্ডিয়ান বিএসএফ কয়েকটি ঘাঁটি ছেড়েছিল। আবার কোথাও কোথাও ছাড়েনি। বিডিআরের তুলনায় ইন্ডিয়ান বিএসএফ দুর্বল ছিল। কারণ বিএসএফের কমান্ডিংয়ে আর্মি ছিল না। কিন্তু বিডিআরের কমান্ডে ছিল আর্মি। ইন্ডিয়ান বিএসএফ তাদের ক্যাম্পের সীমা পেরিয়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিওপিতে অবস্থান করছিল সেই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে। ১৯৭৫ সালের পর ১৯৮১ সালের আগে ইন্ডিয়ান বিএসএফকে বাংলাদেশের বিওপি ছাড়তে বাধ্য করার জন্য বেশ কয়েকটি অপারেশন শুরু হয়েছিল। অপারেশনে ইন্ডিয়ান বিএসএফ পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। ইন্ডিয়া এটার কাউন্টার কখনো করেনি বা করতে পারেনি। সেই সক্ষমতা বিএসএফের ছিলও না। সেই সুযোগও বিএসএফ পায়নি। ইন্ডিয়া সবসময়ই চেয়েছিল, কীভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা যায়। পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল মোক্ষম সময়। সেনাবাহিনীর সবগুলো মেধাবী কর্মকর্তাকে দু’দিনের মধ্যে গুলি করে মেরে ফেলা হলো। এটা সবাই সেভাবেই দেখে। এই বিষয়টিও তখন আমলে নেয়া জরুরি ছিলো, বিভিন্ন পক্ষ থেকে কথাও এসেছিল। এর ওপর পিলখানার পরিস্থিতি বিশেষ করে অস্ত্রাগারের পরিবেশ দেখে পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছিল এটি পরিকল্পিত ভাবেই ঘটানো হয়েছিল এবং সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার পেছনের লোকজন ২০-২১ দিন আগেই এখানে ঢুকেছিল।

বাংলা আউটলুক: ইন্ডিয়ার সম্পৃক্ততা কি আপনাদের অনুমান ছিলো? না কোনো আলামত পেয়েছিলেন?

মইনুল ইসলাম: আমাদের কাছে মনে হয়েছে। সিম্পটমগুলো (লক্ষণ) ফুটে উঠেছিল, বিভিন্ন সময় ইন্ডিয়ান পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছিল। তারা বিরোধিতা করেছিল কেন বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড আর্মি দ্বারা পরিচালিত হয়। ইন্ডিয়া সবসময়ই বিডিআরের কমান্ডিংয়ে আর্মি এবং ১৯৮১ সালের আগের বেশ কয়েকটি অপারেশন এবং পরবর্তিতেও বেশ কয়েকটি অপারেশন নিয়ে প্রতিশোধপরায়ণ ছিল। তারা চেষ্টাও করেছিল। এখানেই পরিষ্কার, এখানে ইন্ডিয়ার ইন্ধন ছিল। আমরা যখন বিডিআর (বিজিবি) রিফর্ম করি তখনও ইন্ডিয়ানদের অনেক বাধার মুখে পড়েছি। আর্মি কেন বিডিআরকে কমান্ড করে এটাও ইন্ডিয়া সহ্য করতে পারত না। সঠিক তদন্ত করলে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসত। আরো অনেকের সম্পৃক্ততা ছিল। তা-ও বেরিয়ে আসত।

বাংলা আউটলুক: আর কাদের সম্পৃক্ততা ছিল বলে মনে হয়েছে?

মইনুল ইসলাম: স্থানীয় রাজনৈতিক একটি পক্ষের সম্পৃক্ততা ছিল। বিদ্রোহের আগে বেশ কয়েকবার স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সদর দপ্তরে বিভিন্ন ক্যাম্পে দ্বায়িত্ব পালনকালে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিডিআরের অভিযুক্ত জওয়ানদের পক্ষে দাবি নিয়ে যেতে দেখা গেছে। বিদ্রোহের দিন বিডিআরের কিছু লোক রিভেঞ্জ (প্রতিশোধপরায়ণ) ছিল। তাদের সাথে আশপাশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন ছিল। কেন বিডিআর আর্মি অফিসার দ্বারা পরিচালিত হবে- এসব নিয়ে কথাও বলেছেন তারা। ঘটনার দিন পিলখানায় গোলাগুলি চলছে, আশপাশের সাধারণ মানুষ জীবন নিয়ে নিরাপদে সরে যাচ্ছিলেন। আর পাশেই বিদ্রোহীদের পক্ষে আজিমপুরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ রাস্তায় মিছিলও করেছে। নিশ্চয়ই তাদেরও সমর্থন ছিল এই ঘটনায়। আর তারাও নিশ্চিত ছিল তাদের ওপর কেউ গুলি করবে না। সেগুলোও তদন্ত করা হয়নি। সবকটি পক্ষ মিলেই আর্মিকে শেষ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল।

বাংলা আউটলুক: আর কী কী দুর্বলতা বা অসামঞ্জস্যতা দেখেছিলেন সেই দিন?

মইনুল ইসলাম: প্রতি বছরই একই প্রোগ্রাম হয়, একই আয়োজন থাকে। গতানুগতিকই কিছু কমিটি থাকে। কমিটিগুলোতে বিডিআরের অফিসারদেরই (ডিএডি) ইনচার্জ করা হতো। কিন্তু ওই বছরই (২০০৯ সালে) সকল কমিটির হেড করা হয়েছিল আর্মি থেকে আসা অফিসারদের। কেন আর্মি অফিসারদের প্রধান করা হলো? আর আর্মি অফিসরাদের সাথে আগ্নেয়াস্ত্র দেয়া হলো না। আগ্নেয়াস্ত্রের কমান্ডিং ক্ষমতা রাখা হলো বিডিআর অফিসারদের (ডিএডি) নিয়ন্ত্রণে। তার মানে আর্মি অফিসারদের হাতে কোনো অস্ত্র দেয়া হলো না। অস্ত্র থাকল বিডিআরদের হাতেই। এ বিষয়টিরই তো হিসেব মেলেনি। এর কারণটা কী? আগে-পরে করা হলো না; কিন্তু ওই বছর কেন করা হলো? এটা তো দরকার ছিল না। করা হলো, কিন্তু আগে যখন বিডিআর’র ডিএডিরা এই দ্বায়িত্বে ছিল, তখন আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার অনুমোদন ছিল, কিন্তু যখন আর্মি অফিসারদের ওইসব কমিটির প্রধান করা হলো, অস্ত্র দেয়া হলো, কিন্তু বিডিআর’র নিয়ন্ত্রণে রাখা হলো কমান্ডিং পাওয়ার।

বাংলা আউটলুক: অস্ত্রাগার, গোলাবারুদের দ্বায়িত্বে কারা ছিল?

মইনুল ইসলাম: আর্মির অফিসারদের দায়িত্বে ছিল। গার্ড কমান্ডাররা তাদের গ্রেফতার করেছিল। গোলাবারুদ এবং অস্ত্রাগার সবই লুট হয়েছিল। সব তো নিয়ে বের হয়ে যায়নি। যার যখন যা লেগেছে, তারা নিয়ে বেরিয়ে গেছে। যখন হিসেব শুরু হলো, কতগুলো ছিল, কতগুলো আমরা পেলাম, তা না হলে তো স্টক (মজুত) মিলবে না। গোলাবারুদ এবং অস্ত্র সব গণনা করা হলো। সমস্ত গোলাবারুদের বক্স থাকে সিল করা। যেগুলো সিলড সেগুলো চেক করিনি। বক্সের ওপর ওজন লেখা থাকে, মেপেছি। স্যাম্পল চেক করেছি, ঠিক ছিল। যেগুলো ঠিক ছিল না, সেগুলো চেক করে দেখেছি। গ্রেনেডের ভেতরে ফিউজ দেওয়া। মানে রেডি টু ইউজ (ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা)। এটা কী করে সম্ভব! গ্রেনেড এবং ফিউজ আলাদা বক্সে থাকে। এটি ছিলো অস্বাভাবিক ঘটনা। এরকম অনেকগুলো বক্স ছিল। এটি আগে থেকেই রেডি করা ছিল। তার মানে আগে থেকেই ভেতর থেকে কেউ এ কাজ করেছে। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। এ বিষয়টিও তদন্ত করা হয়নি। আমাদের খতিয়ে দেখতেও দেয়া হয়নি।

বাংলা আউটলুক: আপনি কী বলতে চাইছেন, এই বিদ্রোহে প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো?

মইনুল ইসলাম: অবশ্যই ইন্ডিয়ার মদদ ছিলো। কারণ আমাদের তো আর কোনো শত্রু ছিলো না। মিয়ানমারের কিছুই করার ছিল না।

বাংলা আউটলুক: আপনাদের তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোন প্রতিবন্ধকতা ছিলো?

মইনুল ইসলাম: আমরা ডিজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি এদের যুক্ত করে তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। কে কার কাছে কল করছে, কী বলছে। এসব বিষয় বের করার জন্য কল রেকর্ড বের করতে বলেছিলাম। এ রকম একটি অস্বাভাবিক ঘটনায় অনেক ধরনের আলামত থাকে, সেগুলো বের করা জরুরি ছিলো। কিন্তু তা করতে দেয়া হয়নি। তথ্য চেয়েও আমরা পাইনি। বলা হয়েছিল, এগুলো সিক্রেট। তাহলে আমরা তদন্ত করব কীভাবে? এ বিষয়ে সরকারকে এটা চিঠিও দিয়েছিলাম। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল আমাদর কমিটির প্রধান ছিলেন।

বাংলা আউটলুক: তদন্তে আর কী কী অস্বাভাবিক ঘটনা পেয়েছিলেন?

মইনুল ইসলাম: আরেকটি বিষয়, আমাদের কাছে খটকা লেগেছিল। সেটি হচ্ছে পিলখানার ভেতরে দু’দিনব্যাপী অফিসারদের হত্যা করা হচ্ছিল। ভেতর থেকে বাঁচার আকুতি শোনা যাচ্ছিল। বাইরে র‌্যাব ঘিরে রেখেছিল। আর্মি ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিল। কিন্তু তখন আর্মিকে বলা হয়েছিল, ভেতরে ঢুকলে দেশে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে। তাদের ঢুকতে দেয়া হলো না কেন? এখানে অবশ্যই কোনো একটা অদৃশ্য শক্তি ইশারা করেছে। তাদের নির্দেশেই আর্মিকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এটা পরিষ্কার।

বাংলা আউটলুক: আপনারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন?

মইনুল ইসলাম: আমরা একটা প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম। আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়া, তথ্য চেয়ে না পাওয়ায় আমাদের সেই প্রতিবেদন আমলে নেয়া হয়নি। আমাদের ৭-৮ জনের ওই তদন্ত কমিটি একসাথে মিটিংও করতে পারিনি।

বাংলা আউটলুক: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হয়েছে, আপনার মন্তব্য কি?

মইনুল ইসলাম: এখানে দুই ধরনের অপরাধের বিচার হয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহের কারণ এবং পরিকল্পনা বেরই করা হলো না।সূত্র:মানবজমিন

Please follow and like us:
error20
fb-share-icon
fb-share-icon20

এক্সক্লুসিভ জাতীয় প্রধান খবর প্রশাসন

আরও পড়ুন

গত ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

  • আর্কাইভ

    বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জড়িত আসামি তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হাসান আটক

    কারওয়ান বাজার এলাকার তালিকাভুক্ত শীর্ষ চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী রাসেল জমাদ্দার ওরফে রাসেলকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ

    ১১টি মামলার আসামি পেশাদার ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী সাইদুলকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ

    বিপিএলে ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচে দিনের দ্বিতীয় খেলায় খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২০ রানে হেরেছে ঢাকা

    নতুন প্রজন্ম, যারা আমাদের সবচেয়ে বড় আশার উৎস:দিনাজপুরে মির্জা ফখরুল

    আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজী ও দখলদারিত্বের অভিযোগে ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আমিন-কে বহিস্কার

    গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকায় স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর’র পিএস জুয়েল মোল্লার নাম!

    ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত আনিসুর- সেক্রেটারি শাকিল মনোনীত

    উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি’র সাবেক প্রচার সম্পাদক’র মৃততে উত্তর বিএনপি’র আহবায়ক আমিনুল এবং সদস্য সচিব মোস্তফা জামান’র শোকবার্তা

    সারিনা আলম কনস্ট্রাকশন এর বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

    খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারিরীক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে ‘ফিরোজায়’ যান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

    বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ২২৭ জন প্রার্থী চাকরি ফেরত পেতে পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন

    চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) প্রথমার্ধে দেশের রফতানি আয় বেড়েছে ১২.৮৪ শতাংশ

    হৃদরোগ হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে পুলিশ লাইন হাসপাতালে ওষুধ নিতে যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় মারা গেছেন এক পুলিশ কনস্টেবল

    আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতায় ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে:আমিনুল হক

    দেশে মোট ভোটার বেড়ে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জনে দাঁড়িয়েছে:নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ

    অবশেষে বাংলাদেশের জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম

    রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে ১ জন নিহত

    ব্যক্তির যে শক্তি আছে সেই শক্তির কাছে সরকারের শক্তি একেবারে নস্যি:প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

    রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের কারণে আওয়ামী লীগ এক ধরণের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে:সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল

    ইসলামপন্থি সেই রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, ’৭১ এ আপনাদের রাজনৈতিক ভূমিকা কী ছিল?:রুহুল কবির রিজভী

    ক্যাপাসিটির নামে হাসিনার সরকার ১৫ বছরে অনেক টাকা নিয়ে গেছে…. প্রায় এক লাখ কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছে: ইকবাল হাসান মাহমুদ

    সুপ্রিম কোর্ট বার আয়োজিত বই মেলা আগামী রোববার উদ্বোধন করবেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ

    কুড়িগ্রামে আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

    শিক্ষকতার পাশাপাশি শিক্ষকদের এ সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে- ডা: সালাউদ্দিন বাবু

    রাণীশংকৈল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণের উদ্বোধন

    রাণীশংকৈলে জাতীয় পার্টির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    নানা আয়োজনে জাজিরায় ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ৭৫ বোতল ফেনসিডিল সহ ১ মাদক ব্যবসায়ী আটক

    সাবেক এটর্নি জেনারেল প্রয়াত এ এফ হাসান আরিফের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

    • Dhaka, Bangladesh
      শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫
      SalatTime
      Fajr5:21 AM
      Sunrise6:42 AM
      Zuhr12:03 PM
      Asr3:05 PM
      Magrib5:25 PM
      Isha6:46 PM
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুল হাসান বাবলু
    ই-মেইলঃ dk.kamrul@gmail.com
    copyright @ বাংলাদেশ দিনকাল / বিডি দিনকাল ( www.bddinkal.com )
    বিডি দিনকাল মাল্টি মিডিয়া (প্রা:) লিমিটেড প্রতিষ্ঠান।