আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৩৬
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- আব্বু (পীর হাবিবুর রহমান) বলেছে, যদি ভালো রেজাল্ট করো তবে তোমাদেরকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়, নির্যাতিত ও সৎ মানুষটির সঙ্গে দেখা করাবো: অন্তর (সম্ভবত নাম)
আব্বু (পীর হাবিবুর রহমান) সব সময় আপনার কথা বলে, আমাদের জন্য দোয়া করবেন: চন্দ্রস্মিতা (সম্ভবত নাম)
যেখানেই যাও দেশের মুখ উজ্জ্বল কোরো এবং দেশের কল্যাণে দেশেই ফিরে এসো কারণ তোমাদেরকেই এদেশের হাল ধরতে হবে: বেগম খালেদা জিয়া
@ কৈফত : প্রবাদে আছে “কাক নাকি কাকের মাংস খায় না!” তাইতো আমি প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার মত নগণ্য মাঠের একজন শিক্ষানবিশ, প্রথিতযশা সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা নিয়ে কথা বলার সাহস দেখাচ্ছে! শুধু তাই নয় প্রতিনিয়ত একপ্রকার যুদ্ধ করতে হচ্ছে! যদিও আমার অস্ত্র ক্যামেরা, কলম নয়! তবুও অনেকের নীরবতাই আমাকে এই সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে।
আমি ভালো করেই জানি, এ কারণে আমাকে অনেকেই অপছন্দ করেন, তাচ্ছিল্য করে কেউ কেউ বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, ইচরে পাকা সহ নানা কটু কথা বলেন। তবে আমি মোটেও দমবার পাত্র নয়! @
বাবুল তালুকদার: প্রথমেই একটি ঘটনা দিয়ে শুরু করলাম ( সময়কাল ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ২০১২ ইং তারিখ, সময় রাত প্রায় ১১ টা ) ।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক নির্ধারিত ছিল। সে কারণে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতা ছাড়া নেতাকর্মী ও সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে বৈঠকটি নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে অনুষ্ঠিত হয়, এবং চলে রাত্র সাড়ে দশটা পর্যন্ত। এ সময় আমি অনুষ্ঠান কাভার করে ছবি পত্রিকায় রিলিজ করে বাসায় যাওয়ার প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ভাই টেলিফোনে কথা বলতে বলতে আমাকে বললেন, বাবুল তুমি যেওনা একটু অপেক্ষা করো। আমি কিছু বলার আগেই তিনি বললেন, পীর হাবিব ভাই ফোন করেছে তার ছেলে মেয়েদের ম্যাডামের সঙ্গে ছবি তুলে দিতে হবে। পরক্ষণই আমি বললাম অবশ্যই ভাই, আমি আছি।
এর ঠিক ১০/১৫ মিনিট পর বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার শফিউল আলম দোলন ভাই আমাকে কল করে বলল, বাবুল তুমি আছো? আমি বললাম, জ্বি ভাই আমি আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছি।
এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিচতলায় বৈঠক শেষ করে দোতালায় তার কক্ষে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এর কিছুক্ষণ পরেই, শফিউল আলম দোলন ভাই সিনিয়র সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে উপস্থিত হন।
এসময় শিমুল ভাই আমাদের সকলকে নিয়ে দোতালায় ম্যাডামের রুমে প্রবেশ করলেন, বৈঠক চলাকালে আমাদের প্রবেশে একটু বিব্রতবোধ করেন, পরক্ষণেই শিমুল ভাই বিশিষ্ট সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের দুই ছেলেমেয়ের সাক্ষাতে কথা শুনেই তিনি সম্মতি প্রদান করেন।
এসময় ম্যাডাম তাদেরকে কাছে টেনে নিয়ে জিজ্ঞেস করেন বাবা তোমাদের নাম কি? এ সময় তারা জবাব দেন, সম্ভবত ছেলেটি নাম অন্তর ও মেয়েটি নাম চন্দ্রস্মিতা নাম বলে জানান।
ঠিক তখনই ছেলেটিকে বেগম খালেদা জিয়া জিজ্ঞেস করেন, তুমি কোন ক্লাসে পড়ো? ছেলেটি উত্তর দেয় “সম্ভবত” ও লেভেল। এর পরক্ষনেই ছেলেটি বলতে থাকে খালামণি, আব্বু আমাদের বলেছে, যদি ভালো রেজাল্ট করো তবে তোমাদেরকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়, নির্যাতিত ও সৎ মানুষটির সঙ্গে দেখা করাবো।
এসময় বেগম খালেদা জিয়া হাসতে হাসতে দলের সিনিয়র নেতাদের দিকে তাকিয়ে ছেলেও মেয়েটিকে আদর করতে করতে বলেন, তোমরা কি দেশের বাইরে চলে যাবে? তবে বাবারা একটি কথা মনে রেখো, তোমরা যেখানেই যাও দেশের মুখ উজ্জ্বল কোরো এবং দেশের কল্যাণে দেশেই ফিরে এসো কারণ তোমাদের কেই এদেশের হাল ধরতে হবে।
পরক্ষনেই মেয়েটি বলে, খালামণি আব্বু সব সময় আপনার কথা বলে, আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
এ সময় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসা বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল ভাই শফিউল আলম দোলন ভাই কে বলেন, দোলন যাও রাত অনেক হয়ে গেছে । এরমধ্যে আমারও ছবি তোলা শেষ হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিচে নেমে তাদের পেনড্রাইভে ছবিগুলো দিয়ে দিই।
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে,
শ্রদ্ধেয় সিনিয়র প্রথিতযশা সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান ভাইয়ের মত মানুষ ঘরে যখন সন্তানদের শেখায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয়, নির্যাতিত ও সৎ নেত্রী। আর সেই কিনা ধারাবাহিকভাবে মন্দ কথার ঝুড়ি নিয়ে পত্রিকার পাতা ভারী করে। আফসোস বড়ই আফসোস….
সবচাইতে কষ্টের বিষয় হল মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবিসংবাদিত জীবন্ত কিংবদন্তি নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, যখন তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত, পাশাপাশি ডায়াবেটিকস, কিডনি, ফুসফুস, হাতে-পায়ে আর্থারাইটিস, চোখ, লাঞ্চ ও শ্বাসকষ্ট সহ নানান শারীরিক জটিল সমস্যায় ভুগছেন এবং তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কোনভাবেই সুচিকিৎসা এ দেশে সম্ভব নয়। তাকে বাঁচাতে উন্নত তিনটি দেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ঠিক তখনই এ নিয়ে প্রথিতযশা কোন সাংবাদিকরা একটি কলম লিখছেন না! উপরন্ত ইনিয়ে বিনিয়ে তাকে দোষী করে পত্রপত্রিকায় রম্য রচনা প্রসব করেছেন!
বলতে লজ্জা লাগে সম্প্রতি, বিএনপি মহাসচিব গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলতে বাধ্য হলেন, কিছু কিছু টিভি চ্যানেল ও কিছু কিছু পত্রিকার সাংবাদিকরা হাইপার জার্নালিজম করছেন। অতিসম্প্রতি এই মহাসচিবই অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে এই গুলশান কার্যালয় সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছিলেন এই গণতন্ত্রের অবিসংবাদিত নেত্রীকে নিয়ে আপনারা অন্তত একটি মানবিক নিউজ করতে পারেন না? তার প্রতি এত জুলুম নির্যাতন হচ্ছে তা নিয়ে একটি কলম আপনারা লিখতে অথবা বলতে পারেন না ?
পরিশেষে শুধু এটুকুই বলবো, হায়রে প্রথিতযশা সাংবাদিক ও নিষ্ঠুর সাংবাদিকতা! ধিক তোমাদের ধিক …..
বাবুল তালুকদার
১২/৩/২০২১ ইং
বৃহস্পতিবার
রাত ৩ টা ১৭ মিনিট
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: তার ছেলে মেয়েরা দেশের বাহিরে পড়ালেখা করে কিনা সেটা জানতে পারিনি, যদি আপনারা কেউ জানেন তবে আমাকে জানাবেন প্লিজ, কারণ প্রিয় নেত্রী ভবিষ্যৎবাণী সঠিক হয় কিনা জানতে চাই! ধন্যবাদ)- সংগ্রহ:ফেইসবুক
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |