আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:০৩
বিডি দিনকাল ডেস্ক:-স্কোর বোর্ডে ১২৮ রান উঠতেই ৮ উইকেট হারায় তামিম একাদশ। সেখান থেকে মেহেদী হাসান একাই দলকে টানেন। এর মাঝে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে ৫২ মিনিট। তবে ফের মাঠে নেমে আউট হয়ার আগে খেলেন এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস। মূলত তার ব্যাটেই প্রেসিডেন্ট’স কাপে প্রথম দল হিসেবে ২০০ ছাড়ানো দলীয় সংগ্রহ পায় তামিম একাদশ। প্রথম ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ একাদশ করেছিল ১৯৬ আর দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম একাদশ অলআউট হয়েছিল ১০৩ রানে।
আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ২২১ রানে থামে তামিম ইকবালের দল। তবে আজ বৃহস্পতিবার ও ম্যাচ শুরু হয়েছিল তামিম যুগলের ব্যর্থতা দিয়ে। আগের ম্যাচে অধিনায়ক তামিম ২ রানে আউট হয়েছিলেন।
তার সঙ্গে ওপেন করতে নামা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিম ২৭ রানে সাজঘরে ফেরেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে জুনিয়র তামিম ৮ রানে আউট হয়ে যান। তামিম ইকবাল আউট হওয়ার আগে করেন ৩৩ রান। আজ বৃহস্পতিবার ও দুই তামিমের সফল যুগলবন্দির দেখা মেলেনি।
রান হচ্ছে না বলে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম থেকে উড়িয়ে আনা হয় কিউরেটর প্রবীন হিংগানিকারকে। কারণ মিরপুর স্টেডিয়াম ও দেশের প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা করোনা মহামারির কারণে এখনো নিজ দেশ শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরতে পারেননি। হয়তো ভারতীয় কিউরেটর প্রবীনের কল্যাণেই চরিত্র বদলেছে মিরপুরের উইকেটের। এরপরও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ দিনও বোলাররাই শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন ম্যাচ। টসে জিতে তামিম একাদশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে দেরি করেননি তরুণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ১৪ রানে জুনিয়র তামিমকে সাজঘরে ফেরান পেসার আল আমিন হোসেন। আল আমিনের প্রথম ওভারে দুটি চার হাঁকিয়ে ছিলেন তামিম। একই কায়দায় বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর ১২ রান করা এনামুল হক বিজয়কে সাজঘরের পথ দেখান আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। পরে অফ স্পিনার নাঈম হাসানের শিকার ৪ রান করা মোহাম্মদ মিঠুন।
দলীয় ৬০ রানেই ৩ উইকেটের পতন। ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ধারণা করা হচ্ছিল এই দিন তিনি হয়তো বড় ইনিংস খেলতে পারবেন। তবে স্কোর বোর্ডে আরো ৫ রান যোগ হতেই তামিমও হাল ছাড়েন। নাঈম হাসানের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেন ৪৫ বলে ৩৩ রান। তাকে সঙ্গ দিতে আসা তরুণ শাহাদাত হোসেন লড়াই চালিয়ে যান। তাকে সঙ্গ দিতে এসে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। লেগ স্পিনার রিশাদের প্রথম শিকার হন তিনি ব্যক্তিগত ১২ রানে ।
এরপর দলের হাল ধরতে এসেছিলেন অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলী। কিন্তু তাকে দাড়ানোর সুযোগ দেয়নি পেসার আল আমিন। প্রেসিডেন্ট কাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে আউট হন ২ রান করে। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলা শাহাদাত লেগ স্পিনার রিশাতের শিকার হন ৫২ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে। ম্যাচে আল আমিন তার তৃতীয় শিকার তুলে নিতে দেরি করেনি। তরুণ পেস আলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে মাত্র ৩ রানেই ফিরিয়ে দেন। এক কথায় তামিম একাদশের ব্যাটিংয়ের মেরুদ্বন্ড ভেঙে দেয় শান্ত একাদশের বোলাররা।
তবে সখান থেকে স্পিনার তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে দারুন এক ইনিংস খেলে মেহেদি হাসান। এই অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে ৫৭ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ের মারে করেন ৮২ রান। শেষ পর্যন্ত তাইজুল অপারিত ছিলেন ২০ রানে। শান্ত একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন আল আমিন। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নেন লেগ স্পিনার রিশাদ ও অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |