আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:০৬
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- পেশায় ব্যবসায়ী, থাকেন দুবাই। উভয়ে বাঙালী হওয়ায় সম্পর্ক হয় ভালোই৷ সেই সুবাদে ব্যবসায় প্রসার, মুনাফা বৃদ্ধি ও সম্পর্কন্নোয়নের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এর পপুলার রিয়েল স্টেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ শুরু করেন তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া নামক এক আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। তার পরিচয় হয় ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলমের মাধ্যমে। এক সময় তাদের ব্যবসায় আরও প্রসার ও মুনাফা বৃদ্ধির প্রলোভন দেখিয়ে ৩১ লক্ষ দেরহাম হাতিয়ে নেন তোফায়েল আহমেদ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার কাছাকাছি। এরপর কথা মতো কাজ না হলে সন্দেহ হয় তার উপর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টাকা নেয়ার সময় প্রদানকৃত রশিদ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর জাল করে এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া। নিজেকে জটিলতা মুক্ত রাখতে শাহ আলমের নামে দুবাইয়ের নাইফ পুলিশ স্টেশনে একটি মামলাও করেন তিনি।
পরে শাহ আলম তার আইনজীবী নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় গেলে তার মামলাটি মিথ্যা এবং জাল স্বাক্ষর সম্বলিত প্রমাণাদি ভূয়া প্রমাণিত হয়। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে অন্য একজনের পাসপোর্ট পুলিশের কাছে জমা দিয়ে স্বপরিবারে দেশে ফিরে গা ঢাকা দেন।
অভিযুক্ত তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া ফেনি ফুলগাজীর আপোকারিয়া আমজাদ হাটের মৃত আবু আহমেদ ভূঁইয়ার ছেলে। এছাড়াও ফেনী সদরের পাঠান বাড়ি রোডে “ভূঁইয়া মহল” নামে তার আরও একটি বাড়ি রয়েছে।
ভূয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে পপুলার রিয়েল স্টেট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম বলেন, দুবাইয়ে একটি অফিসে কাজের উদ্দেশ্যে যাতায়াতের সুবাদে তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমরা উভয়ে বাংলাদেশি হওয়াতে দ্রুত ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর নতুন একটি প্রোজেক্ট নিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হয়। এরজন্য সে টাকা দিতে বলে। আমি সবমিলিয়ে ৩১ লক্ষ দেরহাম প্রদান করি তার হাতে। সে টাকা নিয়ে তার অফিসের মালিক স্বাক্ষরিত ও সিলমোহর যুক্ত প্রমাণপত্র/রশিদ দেয় আমাকে। কিছু দিন পর কথা কাজে মিল না পাওয়াতে আমার সন্দেহ হয়। যাচাই করে জানতে পারি আমাকে দেয়া রশিদের মাধ্যমে লেনদেন সঠিক হয়নি। শুধু তাই নয়, কফিলের (মালিক) যে স্বাক্ষর সেখানে দেয়া হয়েছে সেটিও জাল/ভূয়া। পরবর্তীতে তোফায়েল আহমেদকে আর ওই অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রবাস কল্যাণ মন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি বলেন, একজন বাংলাদেশি হয়ে আরেকজন বাংলাদেশির এমন বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলে কৌশলে দেশে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে তোফায়েল ও তার পরিবার। এতে করে বাংলাদেশিদের প্রতি এখানকার ব্যবসায়ীদের আস্থা ও ভরসার জায়গা বিনষ্ট হচ্ছে। প্রবাসে এমন অপরাধ কর্মকাণ্ডের পরও দেশে গিয়ে বহাল তবিয়তে আছে সে। বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রবাস কল্যাণ মন্ত্রীসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
পপুলার রিয়েল স্টেটের কর্ণধার দুবাইয়ের স্থানীয় ব্যবসায়ী মুরাদ হোসেন মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের দেশটি খুবই শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ, সুবিধা ও নিরাপত্তা থাকায় সবাই কাজের জন্য আসে, কাজ করে। কিন্তু কেউ চাইলে আমার টাকা নিয়ে চলে যেতে পারে না। এমন কিছু হলে আমাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। এভাবে টাকা আত্মসাৎ করে দেশে চলে গেলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হই। এতে করে তাদের প্রতি বিশ্বাস ও ভরসা কমে যায়। আমরা সবাই মুসলমান বা যে যেই ধর্মেরই হই, প্রতারণা করাকে কোন ধর্মই সমর্থন করে না।
এ ব্যাপারে দুবাই আদালতে তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।–সূত্র : মানবজামিন
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |