আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:৫৮
বাংলাদেশে আইফোনসহ দামি স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার, আবার ভারত থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন, চোরাচালানের মাধ্যমে কসমেটিক, শাড়ি ও থ্রি পিস এনে বাংলাদেশে বিক্রি করে একটি চক্র। ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মশিউর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে এই চক্রের নয় জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ভারতীয় নাগরিক রাজা শাও, পঙ্কজ বিশ্বাস, উৎপল মাইটি, দীপঙ্কর ঘোষ, রাজু দাস, সুজন দাস, এস কে আজগর আলী, লারাইব আশ্রাব, সমরজিৎ দাস ও বাংলাদেশি নাগরিক মুরাদ গাজী। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ২১টি দামী মোবাইল ফোনসহ চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে আনা বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস, শাড়ি, থ্রি পিস, ৫টি ভারতীয় পাসপোর্ট ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মধ্য বাড্ডায় ঘটনাস্থলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটা চক্র বাংলাদেশের দামী মোবাইল ফোন আইফোন, স্যামসাং ফোনসহ অন্যান্য স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করতো। আবার ভারতে চুরি হওয়া কিছু মোবাইল ফোন বাংলাদেশে এনে বিক্রি করতো। গতকাল বুধবার ( ৬ মার্চ) দিবাগত রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশী মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিক্স, সেক্স পীল ও জেল বিক্রি করে আসছে। গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে জব্দ করা মালামাল কোনটাই বৈধ পথে আনা হয়নি। কলকাতা থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে যে আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল করে সেই ট্রেনে করে তারা দীর্ঘদিন ধরে কোন ট্যাক্স পরিশোধ না করে এই ভারতীয় মালামাল গুলো চোরাই পথে বাংলাদেশ আনে এবং বিক্রি করে থাকে।
গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে ইতোপূর্বে তারা কাপড়ের গাট্টির মধ্যে শত শত চোরাই মোবাইল, শত শত বোতল মদ এবং বিয়ার বাংলাদেশে এনে বিক্রি করেছে। রমজান মাস ও ঈদের পূর্বে মদ বিয়ার না এনে কোন শুল্ক ও ভ্যাট পরিশোধ না করে অবৈধভাবে শুধু কসমেটিক্স, কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, সেক্স পিল জেল এনে তারা মজুদ করতেছিল।
তিনি আরো বলেন, এই চক্রের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।সূত্র : ডিএমপি
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |