আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৫২
শায়রুল কবির খান :-শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৭১ সাল ২৫ মার্চ পাক আর্মি ঘুমন্ত নগরীতে আক্রমণের পর তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে “স্বাধীনতা ঘোষণা’র” মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশ ও পরবর্তীতে রাষ্ট্র পরিচালনায় আধুনিক স্ব-নির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান সমূহ প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের সবার মাঝে প্রতিফলন ঘটাতে চেষ্টা করবো।
১, পাকিস্তান সামরিক জান্তা পূর্ব পাকিস্তান নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর ২৫ মার্চ মধ্য রাতে আক্রমণ করার পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (তখনকার মেজর জিয়া) বিদ্রোহ করে “ইউ রিভোল্ট” উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে “ঐতিহাসিক স্বাধীনতা” ঘোষণা করেন।
২, জাতিস্বত্তা-কে আত্মমর্যাদায় বলিয়ান করেছেন “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ”-এর ভিত্তিতে।
৩, স্ব-নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ১৯ দফা কর্মসূচী প্রনয়ণ করেন।
৪, ধর্মীয় মর্যাদাকে সমন্বিত রাখতে সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযুক্ত করেন।
৫, বিশ্ব দরবারে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ-কে স্হায়ী রুপায়ন করতে প্রবর্তণ করেন “স্বাধীনতা পদক”।
৬, অনুরূপ ভাবে বিশ্ব দরবারে ভাষা শহীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে “একুশে পদক” প্রবর্তণ করেন।
৭, শহীদ মুক্তিযুদ্ধাদের স্বরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে রাজধানী ঢাকা’র অদুরে সাভার নবীনগরে নির্মাণ করেন দৃষ্টিনন্দন “জাতীয় স্মৃতিসৌধ”।
৮, মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য চিত্র সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠিত করেন “জাতীয় ফিল্ম আর্কাইভ”।
৯, শিশু’র চিন্তা শক্তি-কে বিকশিত করে তুলতে গঠন করেন “শিশু একাডেমি” ও জাতীয় টেলিভিশনে বিশেষ প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান “নতুন কুঁড়ি” প্রবর্তণ করেন।
১০, যুব শ্রেণী-কে কর্মক্ষম করে তুলতে (বিশেষ করে স্বল্প শিক্ষিত) যুব প্রশিক্ষণ চালু করেন।
১১, মহিলাদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন।
১২, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য প্রবীণ নিবাস ধারণা তৈরি করেন।
১৩, খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের জন্য কৃষি প্রশিক্ষণ, সেচ মেশিন ও সেচ উপকরণ সহজিকরণ করেন।
১৪, খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্জনে সারাদেশে থানা পর্যায়ে খাদ্য গোডাউন তৈরি করেন।
১৫, সু-শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এই শ্লোগান-কে ধারণ করে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করে গড়ে তুলেন।
১৬, স্বাস্থ্যসেবা এবং জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা-কে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলেন “দুটি সন্তান সুখি পরিবার” একটি হলে দুটি নয়,দুটি হলে আর নয় এই শ্লোগানে।
১৭, চিকিৎসা সেবায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান স্হাপন করেন আইসিডিডিআরবি ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনিস্টিউট।
১৮, সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরে এনে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তুলেন।
১৯, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ তার আত্মমর্যাদা “বন্ধুত্ব সম্পর্ক পররাষ্ট্র নীতি” এই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শীর্ষ সংগঠন “সার্ক”-এর প্রতিষ্ঠা করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশ-কে চীনের স্বীকৃতি দেওয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাফল্য অর্জন করেন।
২০, ভঙ্গুর অর্থনীতি তলাবিহীন ঝুড়ি উপাধি গুছিয়ে অর্থনীতি’র স্বচ্ছলতা সামাজিক শক্তি ফিরে আনতে অসাধারণ দুটি ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। (এক) প্রবাসে শ্রম রপ্তানি করতে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয় অধিনে জনশক্তি ও কর্ম সংস্থান ব্যেূরো প্রতিষ্ঠা করা, (দুই) বাংলাদেশ ব্যাংকে’র সরাসরি আর্থিক সহযোগিতায় রপ্তানি পণ্য পোশাক কারখানা চালু করা।
২১, ভূগর্ভস্থ পানি বৃদ্ধি, জলাশয়ে পানি প্রবাহ, নদীর পানির গতি বৃদ্ধি, সেচ ব্যবস্থায় পানির সরবরাহ খাল খনন কর্মসূচী গ্রহণ করেন।
২২, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর শৃঙ্খলা রক্ষায় “গ্রাম সরকার”-পদ্ধতি ও “গণশিক্ষা” চালু করেন।
২৩, দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যুগোপযোগী দেশে বিদেশে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা কার্যকর করেন।
২৪, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রেস ইনিস্টিউট, প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন।
২৫, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র পূর্ণ প্রবর্তন করে নতুন নতুন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হয়।
২৬, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশেই প্রথম জাপান সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় “বাংলাদেশ টেলিভিশন” রঙিন সম্প্রচার শুরু করেন।
২৭, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি সুস্থধারা ফিরে আনতে সময় মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থা করেন।
২৮, জাতীয় প্রেস ক্লাবে’র ভিত্তি প্রস্তর স্হাপন করেন।
২৯, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ-এর নেতৃত্বে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
৩০, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস-এর নেতৃত্বে গ্রামীণ ব্যাংক (যা প্রথম গ্রামীণ প্রজেক্ট নামে ছিল)- প্রতিষ্ঠায় আগ্রণী ভূমিকা রাখা।
৩১, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর ঘোষিত ১৯ দফা’য় শেষ দফা “জাতীয় ঐক্য ও সংহতি” যা তিনি সবসময় জোর দিয়েছেন।
৩২, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাত্র ৩৯ বছর বয়সে রাষ্ট্র নেতৃত্বে এসে প্রায় ৫ বছর সময়ে তলাবিহীন ঝুড়ি’র কলংক গুছিয়ে গণতন্ত্র ফিরে দিয়ে আধুনিক স্ব-নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন।
“তিনি কিংবদন্তি রাষ্ট্র নায়ক, ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে’র জনক”।
(লেখক পরিচিতঃ- সদস্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইং ও বিএনপি মিডিয়া সেল।)
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |