আজ সোমবার | ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১:৩২
ডেস্ক : বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদী দখল করে গড়ে ওঠা এমপি আসলামুল হকের মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা ইকোনমিক জোন অবৈধ। ৮টি সরকারি সংস্থার যৌথ তদন্ত ও সুপারিশের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। উচ্ছেদের নির্দেশও দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
আসলামুল হক। তিনি একজন আইন প্রণেতা। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদী দখল করে গড়ে তুলেছেন পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ইকোনমিক জোন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে গেলে বাঁধার মুখে পড়ে সরকারি সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন নদীর এক ইঞ্চি জায়গাও দখল করেননি।
এনিয়ে কম ঘোলা হয়নি জল। জমি নিজের দাবি করে উচ্চ আদালতে গেছেন এমপি আসলামুল হক। আদালতের নির্দেশে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নেতৃত্বে সরকারি আরো ৮টি সংস্থাকে নিয়ে করা যৌথ জরিপ ও শুনানি শেষে প্রতিবেদন দিয়েছে কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাগজে কলমে পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ইকোনমিক জোনের ৫১ একর জায়গা থাকলেও; বাস্তবে দখলে রয়েছে ৫৪ একর। যার মধ্যে ১৩ একর জায়গা পুরোপুরি নদীর মধ্যে। আর তীরভূমি ও বন্দরসীমা মিলে রয়েছে প্রায় ৮ একর। বাকি ৩৩ একর জায়গা রাজউকের ড্যাপের বন্যা প্রবণ বা ফ্ল্যাড ফ্লো জোন। যেখানে কোনো স্থাপনা করা বেআইনি।
নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর হক জানান, যাচাই বাছাই ও সংশ্লিষ্ট সবার মতামতে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি।
এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক জানান, নদী রক্ষায় কারো পরিচয় মুখ্য নয়। ফিরিয়ে দেয়া হবে নদীর জায়গা। যৌথ জরিপ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে দখলদারকেই স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:19 AM |
Sunrise | 6:40 AM |
Zuhr | 12:01 PM |
Asr | 3:01 PM |
Magrib | 5:21 PM |
Isha | 6:42 PM |